সূরাঃ ২ বাকারা, ২৮৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮৬। আল্লাহ কারো উপর এমন কোন কষ্ট দায়ক দায়িত্ব অর্পণ করেন না যা তার সাধ্যাতীত।সে ভাল যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। সে মন্দ যা উপার্জন করে তার প্রতিফল তার। হে আমাদের প্রতিপালক যদি আমরা ভুলে যাই অথবা আমাদের ত্রুটি হয় তবে আমাদেরকে পাকড়াও করো না। হে আমাদের প্রতিপালক আমাদের পূর্ববর্তিগণের উপর যেমন গুরু দায়িত্ব অর্পণ করেছিলে আমাদের উপর তেমন দায়িত্ব অর্পণ করবেন না।হে আমাদের প্রতিপালক এমন ভার আমাদের উপর অর্পণ করবেন না যা বহন করার শক্তি আমাদের নেই।আমাদের পাপ মোছন করুন, আমাদেরকে ক্ষমা করুন, আমাদের প্রতি দয়া করুন, আপনিই আমাদের অভিভাবক। সুতরাং কাফির সম্প্রদায়ের উপর আমাদেরকে জয়যুক্ত করুন।
সূরাঃ ৮ আনফাল, ৬৭ থেকে ৬৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬৭।দেশে ব্যাপকভাবে শত্রুকে পরাভূত না করা পর্যন্ত বন্দী রাখা কোন নবির উচিত নয়। তোমরা পার্থিব সম্পদ কামনা কর। আল্লাহ চান পরকালের কল্যাণ। আল্লাহ পরাক্রমশালী প্রজ্ঞাময়।
৬৮। আল্লাহর পূর্ব বিধান না থাকলে তোমরা যা গ্রহণ করেছ সেজন্য তোমরা মহাশাস্তিতে আক্রান্ত হতে।
৬৯। যুদ্ধে যা লাভ করেছ তা’ বৈধ ও উত্তম বলে ভোগ কর। আর আল্লাহকে ভয় কর, আল্লাহ ক্ষমাশীল, দয়ালু।
সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০১ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০১। মরুবাসীদের মধ্যে যারা তোমাদের আশেপাশে আছে তাদের কেউ কেউ মুনাফিক। মদীনাবাসীদের মধ্যেও কেউ কেউ মোনাফেকী রোগে আক্রান্ত। তুমি তাদের সম্পর্কে জান না। আমরা তাদের সম্পর্কে জানি।আমারা সিগ্র তাদেরকে দু’বার শাস্তি দেব। এরপর তারা মহা শাস্তির দিকে যাত্রা করবে।
সূরাঃ ৯ তাওবা, ১০৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৭। আর যারা মসজিদ নির্মাণ করেছে ক্ষতি সাধন, কুফুরী ও মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে এবং ইতিপূর্বে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের বিরুদ্ধে যে সংগ্রাম করেছে তার গোপন ঘাঁটি হিসেবে ব্যবহারের জন্য, তারা শপথ করেই বলবে তারা ভাল কিছু করার জন্যই ওটা করেছে; আর আল্লাহ সাক্ষি দিচ্ছেন নিশ্চয়ই তারা মিথ্যাবাদী।
* হাদিসের মান নির্ধারণের প্রচলিত পদ্ধতি হলো হাদিসের রাবী সহিহ সাব্যস্ত হলে হাদিস সহিহ সাব্যস্ত হবে। কিন্তু আল্লাহ বলছেন সহিহ লোকেরও ভুল থাকতে পারে। এমনকি রাসূলের (সা.) একটি কাজকেও আল্লাহ উচিত নয় বলেছেন। আর কে সহিহ এবং কে মোনাফেক সেটা আল্লাহ ছাড়া কেউ জানে না। দেখা গেল মোনাফেককেই কেউ একজন সহিহ সাব্যস্ত করে বসে আছে। আর মোনাফেকের কাজ হলো ক্ষতি সাধন, কুফুরী ও মুমিনদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির উদ্দেশ্যে যা হাদিস নয় তা’ হাদিস হিসাবে প্রচার করা।কেউ মোনাফেক চিনতে ভুল করলে তার হাদিসের মান নির্ধারণ সুনিশ্চিতভাবে ভুল হবে।
সূরাঃ ২, বাকারা। ১০৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
১০৬। আমরা কোন আয়াত মানসুখ বা রহিত করলে অথবা ভুলে যেতে দিলে তা’হতে উত্তম বা তার সমতুল্য কোন আয়াত আমরা প্রদান করে থাকি।তুমি কি জান না যে আল্লাহ সর্ব বিষয়ে সর্ব শক্তিমান।
সূরাঃ ৫৩ নাজম, ৩ নং ও ৪ নং আয়াতের অনুবাদ-
৩। আর সে মনগড়া কথা বলে না।
৪। এটাতো ওহি যা তার প্রতি ওহি হিসেবেই পাঠানো হয়।
সূরা: ৯ তাওবা, ১২২ নং আয়াতের অনুবাদ-
১২২। আর মু’মিনদের এটাও উচিৎ নয় যে (জিহাদের জন্য) সবাই একত্রে বের হয়ে পড়বে। সুতরাং এমন কেন করা হয় না যে, তাদের প্রত্যেক বড় দল হতে এক একটি ছোট দল (জিহাদে) বের হয় যাতে অবশিষ্ট লোক ফিকাহ (দীনের গভীর জ্ঞান) অর্জন করতে থাকে। আর যাতে তারা নিজ কওমকে ভয় প্রদর্শন করে, যাতে তারা সাবধান হয়।
সূরা: ৪৫ জাছিয়া, ৬ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। এগুলি আল্লাহর আয়াত, যা আমি তোমার নিকট যথাযথভাবে তিলাওয়াত করছি। সুতরাং আল্লাহর এবং তাঁর আয়াতের পরিবর্তে তারা কোন হাদিসে বিশ্বাস করবে?
* কোরআন এবং এর বিবরণ হাদিসে মানসুখ থাকায় আল্লাহ ফিকাহের মান্যতা সাব্যস্ত করেছেন। ফিকাহের পরিবর্তে উপস্থাপিত হাদিস আল্লাহ বাতিল করেছেন। সুতরাং এমন হাদিস সহিহ হলেও তা’ আমলযোগ্য নয়।আর মানসুখ হলে কোরআনই আমলযোগ্য থাকে না হাদিসতো কোরআনের পরের স্থানে।সুতরাং হাদিসের মান সহিহ বললেই হাদিসের মান নির্ধারণ হয় না যদি তা আমলযোগ্য কিনা বলা না হয়। সুতরাং হাদিসের মান নির্ধারণের প্রচলিত পদ্ধতিতে ভরপুর ত্রুটি রয়েছে। সুতরাং ফিকাহের গরমিল হাদিস সুনিশ্চিতভাবে আমলযোগ্য নয়।
সূরাঃ ৪ নিসা, ৫৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
৫৯। হে মুমিনগণ! যদি তোমরা আল্লাহ ও আখিরাতে বিশ্বাস কর তবে তোমরা (ইতায়াত) আনুগত্য কর আল্লাহর, আর (ইতায়াত) আনুগত্য কর রাসুলের, আর যারা তোমাদের মধ্যে আমির।কোন বিষয়ে তোমাদের মধ্যে বিরোধ দেখাদিলে উহা উপস্থাপিত কর আল্লাহ ও রাসুলের নিকট। ওটা উত্তম এবং পরিনামে ভাল।
* রাসূলের (সা.) পর দ্বীনের দায়িত্ব আমিরের। সুতরাং আমির অনুমোদীত নয় এমন কিছু ফিকাহ নয়। হানাফী মাযহাব একমাত্র আমির অনুমোদীত বিধায় এটি ছাড়া আর কিছু ফিকাহ নয়।
সূরাঃ ৩৫ ফাতির, ২৮ নং আয়াতের অনুবাদ-
২৮। এভাবে রং বেরং- এর মানুষ, জন্তু ও আন’আম রয়েছে। নিশ্চয়ই আল্লাহর বান্দাদের মধ্যে (ওলামা) আলেমরাই তাঁকে ভয় করে।নিশ্চয়্ই আল্লাহ পরাক্রমশালী ক্ষমাশীল।
সূরাঃ ২৯ আনকাবুত, ৪৩ নং আয়াতের অনুবাদ-
৪৩।এসব দৃষ্টান্ত আমি মানুষের জন্য পেশ করে থাকি, যেগুলো কেবল আলেমরাই বুঝে থাকে।
সূরাঃ ১০১ কারিয়া, ৬ নং ও ৭ নং আয়াতের অনুবাদ-
৬। তখন যার পাল্লা ভারী হবে
৭। সেতো লাভ করবে সন্তোষ জনক জীবন।
সূরাঃ ৯ তাওবা, ১১৯ নং আয়াতের অনুবাদ-
১১৯। হে মুমিনগণ! আল্লাহকে ভয় কর এবং সাদেকীনদের (সত্যবাদী) সাথে থাক।
* আমির না থাকলে দ্বীনের দায়িত্ব ওলামার। তাদে পাল্লাভারী জামায়াতের অনুমোদন দ্বীন হিসাবে সাব্যস্ত। এর পরিবর্তে উপস্থাপিত কোরআন মানসুখ ও হাদিস বাতিল।বাতিল হাদিসকে সহিহ বলা মস্তবড় আহাম্মকী।হযরত আলীর (রা.) প্রথম খলিফা হওয়া সংক্রান্ত আয়াত মানসুখ ও হাদিস বাতিল। কারণ হযরত আলীর (রা.) প্রথম খলিফা হওয়ার বিষয়টি ওলামার পাল্লাভারী জামায়াত অনুমোদীত নয়।আর ওলামার পাল্লাভারী জামায়াতের অনুমোদন না পাওয়ায় হযরত আলী (রা.) নিজেও তাঁর প্রথম খলিফা হওয়ার দাবী প্রত্যাহার করেছেন। তারপর আমিই প্রথম খলিফা হযরত আলীকে (রা.) এমন কথা বলতে শুনা যায়নি। সুতরাং যারা হযরত আলীকে (রা.) প্রথম খলিফা বলে তারা মিথ্যাবাদী। তাদের সাথে থাকা আল্লাহ হারাম সাব্যস্ত করেছেন।মুসলিমদের মাঝে বিভেদ সৃষ্টি করতেই তারা হাযরত আলীকে প্রথম খলিফা বলে।
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে মে, ২০২৫ ভোর ৫:৪৭