somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মেয়েদের কথা; লজ্জা পুরুষের ভূষণ-৫

০৬ ই ডিসেম্বর, ২০০৮ রাত ১:০৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মনে পড়ে, প্রমীলা আরো একবার আমার ওপর ভীষণ ক্ষেপে গিয়েছিল। তার রেশ ধরে দীর্ঘ প্রায় এক বছর সে আমার দিকে তাকায়নি, মিষ্টি করে এক ঝলক হাসেনি, একটা কথা পর্যন্ত বলেনি।
তখনও নবম শ্রেণীতেই পড়ি। স্যারদের অনুপস্থিতিতে নবম শ্রেণী রীতিমত মাছের বাজার হয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর পর পাশের ক্লাস থেকে স্যারেরা ছুটে এসে যৎসামান্য উত্তম-মধ্যম যোগে চেঁচামেচি থামিয়ে দিয়ে যান। চলে গেলে আগের মত মাছের বাজার বসে। ছাত্র-ছাত্রীরা যে যার মত ক্লাসরুম ছেড়ে বাইরে বেরিয়ে যায়, বারান্দায় ছুটোছুটি করে, মাঠে গিয়ে হল্লা করে।

ঐ সময়টাতে মাবুদ স্যার মাস খানেকের জন্য দেশের বাড়ি ছুটি কাটাতে গিয়েছিলেন। ছুটি শেষে ফেরত এসে যখন এই অবস্থার কথা শুনলেন, তখন তাঁর মাথায় রক্ত চড়ে গেল - কি, নবম শ্রেণীর পোলাপানেরা শেঠ হয়ে গেছে? আচমকা ক্লাসে এসে এমন অবস্থা দেখে জোড়া মোটা বেত দিয়ে আবোল তাবোল পিটাতে শুরু করলেন। পুরো ক্লাস ঠাণ্ডা হয়ে গেল। তারপর ঘোষণা দিলেন, আজ থেকে ক্লাস আওয়ারে তোদের বাইরে যাওয়া বন্ধ। কেউ যদি একটা অকারণ টু-শব্দটি করিস, আমি সেলাই করে মুখ বন্ধ করে দিব।
আমরা যার যার সীটে বসে থরথর করে কাঁপতে থাকলাম।

স্যার মুখখানা খুব গম্ভীর করে কিছুক্ষণ কি যেন ভাবলেন। তারপর আমাকে উদ্দেশ্য করে বললেন, তুই একটা গর্দভের গর্দভ। ক্লাস ক্যাপ্টেন না, একটা গর্দভ। ক্লাসের ওপর কোন কন্ট্রোল নেই। শোন্‌, আজ থেকে এ্যাট এ টাইম এক জনের চেয়ে বেশি বাইরে যাওয়া বন্ধ, নট মোর দ্যান এ সিঙ্গেল স্টুডেন্ট টু বি আউট এ্যাট এ টাইম, ইজ দ্যাট ক্লিয়ার টু ইউ?

স্যারের কথার উত্তর না দিয়ে সবাই চুপ করে মাথা নিচু করে বসে থাকলাম। স্যার আবার আমাকে লক্ষ্য করে বললেন, খাতায় নাম লিখবি, যে-ই বাইরে যাক না কেন, সঙ্গে সঙ্গে খাতায় তুলবি, কেন বাইরে যাচ্ছে, কোথায় যাচ্ছে, কতক্ষণের জন্য যাচ্ছে সব খাতায় তুলে রাখবি। আমার কথার যদি এক চুল এদিক সেদিক হয়, আমি সঙ্গে সঙ্গে টিসি দিয়ে বিদায় করে দিব। আমি কোন ইনডিসিপ্লিন্‌ড ছাত্র স্কুলে রাখবো না।

অতএব ক্লাসে মার্শাল ল জারি করার এখতিয়ার পেয়ে গেলাম। কেউ আমার কথার একচুল এদিক সেদিক করবে, খেয়ে ফেলবো না?

একদিন হঠাৎ দেখি প্রমীলা বেঞ্চি ছেড়ে দরজার দিকে যাচ্ছে। যেতে যেতে আমার দিকে তাকিয়ে বলছে, বাইরে যাচ্ছি।
কোথায় যাচ্ছিস? আমি ডাকলাম।
বাইরে। প্রমীলা যেতে যেতে গম্ভীর মুখে জবাব দেয়।
আমি উঠে ওর সামনে গিয়ে পথ আগলে দাঁড়াই। বলি, কোথায় যাচ্ছিস তা না বলেই হন হন করে চলে যাচ্ছিস যে?
ও কণ্ঠে ঝাঁঝ এনে বললো, পথ ছাড়্‌।
সত্যি কথা, ওর দেমাগের কাছে আমি নরম হয়ে গেলাম। স্বর সামান্য নামিয়ে জিজ্ঞাসা করলাম, কেন যাচ্ছিস?
প্রমীলা সে কথার কোন জবাব না দিয়ে আবারো তীক্ষ্ণ স্বরে বললো, পথ ছাড়্‌।
আমার মনেও জেদ চাপলো। বাইরে যাবি তো যাবি, কোথায় যাবি তা না বলে যাবি তো না বলবি, তবে কেন যাবি অন্তত সেটা বলে যাবি তো? পুরো ক্লাসের সামনে প্রমীলাকে সামলানো আমার মর্যাদা রক্ষার লড়াইয়ে পরিণত হলো! আমি গলায় জোর এনে বললাম, তোকে বলতে হবে তুই কোথায় যাবি এবং কেন যাবি। তার আগে ছাড়ছি না। বলেই দরজার সামনে আমার দু-হাত প্রসারিত করে বীরের মত পথ আটকে দাঁড়িয়ে থাকলাম।

প্রমীলাও নাছোড়বান্দা, সে কিছুতেই বলবে না যে কোথায় যাবে। দেখলাম, প্রমীলার সর্বাঙ্গ কাঁপছে। এক সময় ওর কণ্ঠে বিস্ফোরণ ঘটলো, রাগে ফেটে পড়ে বললো, সবই কি বলতে হবে? ছেলেদের কাছে সব বলা যায়? যা, আমি বাইরেই যাব না।
প্রমীলা বাইরে গেল না। নিজের জায়গায় গিয়ে ফুলে ফেঁপে ডোল হয়ে বসে থাকলো। ওর অন্তরে তখন তুমুল ঝড় বইছিল, আমি বুঝতে পারছিলাম।
কিছু পরে যখন ক্লাসে শিক্ষক এলেন, প্রমীলা তাঁর কাছ থেকে অনুমতি নিয়েই বাইরে গেল। স্যার অবশ্য প্রমীলাকে বাইরে যাবার কারণ জিজ্ঞাসা করেননি।

প্রমীলার সাথে এতটুকু দ্বন্দ্ব থেকে আমার আরেকটি জ্ঞান হয়েছিল, মেয়েদের কাছে সবকিছু জানতে চাওয়া যায় না, মেয়েরাও সব কিছু ছেলেদেরকে বলতে পারে না। কি জানি, আমারই অঞ্চতা, আমারই বোঝা উচিত ছিল প্রমীলা তখন কোথায় যেতে চেয়েছিল। যেমন স্যারের কাছে বলা মাত্র তিনি সঙ্গে সঙ্গে মাথা নিচু করে বললেন, যাও, দ্বিতীয় একটি শব্দ তিনি উচ্চারণ করলেন না। প্রমীলা বাইরে চলে গেল, যেতে যেতে আমার দিকে তাকিয়ে একটি চোখের তীর ছুঁড়ে দিল, যেন আগুন, দাবদাহ, আমার বুকে এসে তা বিঁধলো। আর তাতে আমি জ্বলে পুড়ে নিঃশেষ হতে থাকলাম।
এরপর প্রায় বছর খানেক কেটে গেছে, একটি দিনের জন্যও প্রমীলা ক্লাস আওয়ারে বাইরে যায়নি। কোন কথা বলেনি। এমনকি ভুল করেও একটি বারের জন্য আমার দিকে তাকায়নি। আমার কত সাধ হতো, আহা, ও যদি একবার বলতো, বাইরে যাচ্ছি, আমার প্রাণ ভরে যেত।

প্রমীলার সাথে যেদিন পুনরায় কথা বলা শুরু করি সেদিন খুব মজা হয়েছিল। ততদিনে আমরা দশম শ্রেণীতে উঠে গেছি। স্কুলে বার্ষিক বনভোজনের আয়োজন করা হয়েছে। যদিও বনে ভোজনকে বনভোজন বলা হয়, কিন্তু আমরা স্কুলেই ভোজনের আয়োজন করলাম।
অতএব মহাসমারোহে একদিন সকালবেলা স্কুল-ভোজনের বাজনা বেজে উঠলো। যথাসময়ে রং মাখামাখি শুরু হয়ে গেল। আমি শান্ত স্থির গোবেচারার মত স্কুল মাঠের আম্রকাননে চেয়ার পেতে বসে থাকলাম। সেখানে অবশ্য শাহজাহান, কবির উদ্দিন এবং শেরখানও ছিল।

মাঠের উত্তর-পশ্চিম কর্ণারে মাবুদ স্যারের বাসা। ম্যাডাম দেশের বাড়িতে থাকেন বলে প্রায় পুরো বাসাটাই খালি পড়ে থাকে। স্কুল-প্রিয় মাবুদ স্যার বলতে গেলে দিনের পুরোটা সময় কাটান তাঁর অফিসেই। আর এই ফাঁকে কোমল-অকোমল-দুষ্টুমতি ছাত্রীগুলো দ্বিতীয় কমনরুম হিসাবে ও-বাসায় আড্ডা জমায় যখন তখন। বাড়ির ভিতরে দুটি বড় বড় বড়ই গাছ আছে, একটি তেঁতুল গাছ, কয়েকটি আম গাছ, আরো প্রচুর নাম-না-জানা মৌসুমী ফলের গাছ আছে। ও-গুলোর পরিচর্যা করেন স্কুলের বর্ষীয়ান দফতরী সিকিম আলী চাচা। আমাদের ছেলেদের ঞ্চানমতে ঐ সমস্ত ফলগাছের একটি ফলও কোনদিন সিকিম আলী চাচার পেটে যায়নি, স্কুলের একটি ছাত্রও একটি ফলের দানা চোখে দেখেনি, না কোন শিক্ষক-শিক্ষিকা ওসব ফল-ফলাদির স্বাদ আস্বাদন করেছেন কোনদিন। তাহলে বুঝতেই পারছেন, মেয়েগুলোর জিহ্‌বা কতখানি লম্বা হয়ে গিয়েছিল।

হঠাৎ দেখি সারা গায়ে রং মেখে সং সাজা অবস্থায় ঐ বাসা থেকে হন্ত দন্ত হয়ে আমাদের দিকে ছুটে আসছে ইমরান মিয়া। এসে হাঁপাতে হাঁপাতে ইমরান বললো, ঐ, তোরা তাড়াতাড়ি আয়, দেখ মেয়েরা আমাকে রং দিয়ে কি করেছে। আমি একা ওদের সাথে পারি না।
শেরখান একটা কঠিন বকা দিয়ে বললো, পারো না তো একা একা এতগুলোর সাথে লড়তে যাও কেন, কদু?

শাহজাহান খুব উত্তেজিত হয়ে উঠলো। ততক্ষণে করিম এবং বাবুলও জড়ো হয়ে গেছে। করিম একটা করিমসুলভ গালি দিয়ে বললো, ওদের গায়ে এতই শক্তি? চল তো দেখি। বলেই ঐদিকে ছুট। আমি বসেই ছিলাম। করিম মাঝপথ থেকে ফেরত এসে বললো, তুমি কি শালা (করিমসুলভ গালি) নাকি? তোমার (করিমসুলভ গালি) নেই? জলদি চল্‌। বলেই আমাকে জোর করে টেনে নিয়ে চললো।

বাড়ির ভিতরে ঢুকেই ওরা মেয়েগুলোর ওপর চড়াও হলো। বালতি ভরে মেয়েরা রং গুলিয়েছিল। করিম বড় পটু ও উদ্যমী। মেয়েদের হাত থেকে মগ কেড়ে নিয়ে ওদের গোলানো রঙে ওদেরকেই নাইয়ে দিল। মেয়েগুলো কলকল খলখল ছলছল ঝলমল করতে লাগলো। আমি অবশ্য তখনো নির্জীব, এক কোণায় দাঁড়িয়ে মজা দেখছিলাম। হঠাৎ মনে হলো আমার মাথায়-চোখে-মুখে বুঝি আকাশ থেকে ধুলাবালি ঝরছে। পেছন ফিরেই দেখি প্রমীলা - সে মিটিমিটি হাসছে, আর ছোট এক টুকরো কাগজের প্যাকেট থেকে আমার মাথায় রঙের গুঁড়ো ঢেলে দিচ্ছে। আমি এমন একটি দিনের অপেক্ষায় ছিলাম বহুদিন ধরে, এমন একটা সুযোগের জন্য। এক থাবায় ওর হাতের প্যাকেটটা কেড়ে নিলাম। তারপর চুলের গোছা ধরে টেনে বসিয়ে রঙের গুঁড়ো ছেড়ে দিলাম - মাথায়, ঘাড়ে, পিঠে, বুকে, প্রমীলার পুরো শরীরে। ও শুধু খিলখিল করে হাসতে থাকলো, আর ছুটে পালাবার চেষ্টা করতে লাগলো --- ছেড়ে দে, ছেড়ে দে রে ভাই, মাফ চাই, ছেড়ে দে -----
প্রমীলার সাথে এভাবেই ঠাণ্ডা যুদ্ধের অবসান হয়েছিল।

প্রমীলার হাসিটা ছিল বেজায় মিষ্টি। প্রতিদিন অপেক্ষায় থাকতাম কখন প্রমীলার এক টুকরো মিষ্টি হাসি দেখতে পাব। স্কুলে আসার পথে, ছুটির পরে, কিংবা ক্লাসে, কিংবা বারান্দায়, কিংবা মাঠে প্রমীলার সাথে চোখাচোখি হলেই সে এক ঝলক মিষ্টি হাসি ছুঁড়ে দিত, আর আমার অন্তরের ভুবন সেই মিষ্টি হাসির আভায় রঙ্গিন হয়ে থাকতো। যদি বা কদাচিৎ একদিন এতটুকু হাসি না জুটতো, সেদিন কি যে খারাপ লাগতো! মনে হতো, প্রমীলা আজ আমার কথা একটুও মনে করেনি।

প্রমীলাকে একদিন রাতে স্বপ্নে দেখলাম। দেখলাম প্রমীলা আমাদের ক্লাসমেট নয়, একজন গুরু-গম্ভীর ভদ্রমহিলা, চোখে চশমা, পরনে মোটা লাল-পেড়ে শাড়ি, হাতে তার এক জোড়া লম্বা বেত। সে আমাদের ক্লাস টিচার। বাংলা পড়াচ্ছে। আমি ক্লাসের সবচাইতে দুর্বল ছাত্রদের একজন। আমাকে জিজ্ঞাসা করছে, 'প্রেমিল' শব্দের স্ত্রীলিঙ্গ বলো। আমি বলছি, আমি জানি না ম্যাডাম, জানি না, জানি না, জানি না ----

ম্যাডাম ভীষণ ক্ষেপে গিয়ে বললেন, সবচেয়ে সহজ শব্দটার লিঙ্গ রূপান্তর পারো না, তো আমার সাথে আবার প্রেম করতে সাধ হয় কেন, গাধা--- গাধা--- গাধা -----
প্রমীলার বেত্রাঘাতে আমার ঘুম ভেঙ্গে গেল। মনে হচ্ছিল তখনো ব্যথায় পিঠটা টাটাচ্ছিল। আমার চোখ দিয়ে পানি বের হয়ে এল --- প্রমীলা রে, তোকে আমি কত ভালোবাসি তা তুই জানিস না রে!

পরদিন ক্লাসে ঢুকতেই জহির এসে কানে কানে বললো, দোস্ত, একটা কাজ করতে হবে।
বললাম, কি কাজ?
চিঠি। একখানা জব্বর করে প্রেমের চিঠি লিখতে হবে।
কার কাছে?
পরে বলবো। চল্‌ টয়লেটে যাই।
ধূর গাধা, টয়লেটে গিয়ে কি হবে?
টয়লেটে গিয়েই লিখতে হবে। ক্লাসে এত পোলাপানের সামনে লিখা যায় নাকি?
হুঁহ্‌, শালার টয়লেটে গন্ধ না? আর দাঁড়িয়ে প্রেমপত্র লিখা যায়? তা-ও আবার দু-জনে এক সঙ্গে এক টয়লেটে! ফাজিল!
জহির একটু ভেবে বললো, তাহলে আরেকটা কাজ করা যায়।
কি কাজ?
তুই বাড়ি থেকে লিখে নিয়ে আসবি।
বললাম, ঠিক আছে। কিন্তু লিখবোটা কার কাছে?
জহির আমার থুতনী টিপে বললো, চান্দু, এটাও জানো না?
আমি বললাম, না, জানি না।
জহির একট্বখানি রহস্য করে হাসলো, ঠোঁট বাঁকা করে। তারপর ফিসফিস করে কানে কানে বললো, প্র-মী-লা ----

প্রমীলার উদ্দেশ্যে জহিরকে আমি কত আবেগঘন চিঠি লিখে দিয়েছি! সেগুলো জহিরের মনের কথা নয়, আমার মনের কথা। প্রমীলা কি কোনদিনই তা বোঝেনি? বুঝলেই বা কি? সে তো আর আমার নয়, জহিরের।
জহিরের কাছে প্রমীলার অনেক গল্প শুনেছি, তা শুনে শুনে আমার বুকে কেবলই দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে উঠতো।
প্রমীলার কোন চিঠি পড়ার সৌভাগ্য অবশ্য আমার কোনদিন হয়নি; হলে বুঝতে পারতাম আমার কথার উত্তরে প্রমীলার মনের কথাগুলো কিরূপ ছিল।

শুধু কি জহির, পরে কতজনকেই তো কত ডজন ডজন রসালো প্রেমপত্র লিখে দিয়েছিলাম। আমাদের ক্লাসে তো আর প্রেমিকের অভাব ছিল না, অভাব ছিল শুধু মেধাবী ছাত্রের।
আমি যতগুলো প্রেমপত্র লিখে দিয়েছিলাম, যদি তার শতকরা বিশ ভাগ চিঠিও প্রকৃত প্রাপকের হাতে গিয়ে পৌঁছে থাকে, তাহলে অন্তত আমাদের ক্লাসের দশটি মেয়ের কাছে আমার মনের গোপন কথাগুলো পৌঁছে গেছে। কিন্তু নিয়তি কি নিষ্ঠুর, ও-গুলো আমার নামে নয়, অন্যদের নামে। আসলে আমার জীবনে সত্যি কোন প্রেম ছিল না। জীবন ধূসর মরুভূমি।



অন্তরবাসিনী, উপন্যাস, প্রকাশকাল একুশে বইমেলা ২০০৪

পর্ব-১
পর্ব-২
পর্ব-৩
পর্ব-৪
পর্ব-৫
পর্ব-৬
পর্ব-৭
পর্ব-৮
পর্ব-৯
পর্ব-১০
পর্ব-১১
পর্ব-১২
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০১৫ রাত ৮:০৭
২টি মন্তব্য ২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

সৎ মানুষ দেশে নেই,ব্লগে আছে তো?

লিখেছেন শূন্য সারমর্ম, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১:৪৮








আশেপাশে সৎ মানুষ কেমন দেখা যায়? উনারা তো নাকি একা থাকে, সময় সুযোগে সৃষ্টিকর্তা নিজের কাছে তুলে নেয় যা আমাদের ডেফিনিশনে তাড়াতাড়ি চলে যাওয়া বলে। আপনি জীবনে যতগুলো বসন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

গরমান্ত দুপুরের আলাপ

লিখেছেন কালো যাদুকর, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:৫৯




মাঝে মাঝে মনে হয় ব্লগে কেন আসি? সোজা উত্তর- আড্ডা দেয়ার জন্য। এই যে ২০/২৫ জন ব্লগারদের নাম দেখা যাচ্ছে, অথচ একজন আরেক জনের সাথে সরাসরি কথা... ...বাকিটুকু পড়ুন

রাজীব নূর কোথায়?

লিখেছেন অধীতি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:২৪

আমি ব্লগে আসার পর প্রথম যাদের মন্তব্য পাই এবং যাদেরকে ব্লগে নিয়মিত দেখি তাদের মধ্যে রাজীব নূর অন্যতম। ব্যস্ততার মধ্যে ব্লগে কম আসা হয় তাই খোঁজ-খবর জানিনা। হঠাৎ দু'একদিন ধরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বৃষ্টির জন্য নামাজ পড়তে চায়।

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৩৮



ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কিছু শিক্ষার্থী গত বুধবার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে বৃষ্টি নামানোর জন্য ইসতিসকার নামাজ পড়বে তার অনুমতি নিতে গিয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এটির অনুমতি দেয়নি, যার জন্য তারা সোশ্যাল... ...বাকিটুকু পড়ুন

=তুমি সুলতান সুলেমান-আমি হুররাম=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৮ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৮:৩৬



©কাজী ফাতেমা ছবি

মন প্রাসাদের রাজা তুমি, রাণী তোমার আমি
সোনার প্রাসাদ নাই বা গড়লে, প্রেমের প্রাসাদ দামী।

হও সুলেমান তুমি আমার , হুররাম আমি হবো
মন হেরেমে সংগোপনে, তুমি আমি রবো।

ছোট্ট প্রাসাদ দেবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×