বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রাণপুরুষ জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ১২৫তম জন্মবার্ষিকী আজ। ১৩০৬ সালের ১১ জ্যৈষ্ঠ ভারতের পশ্চিমবঙ্গে বর্ধমান জেলার চুরুলিয়া গ্রামে এক গরিব পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন স্বাধীনতা ও সাম্যের বার্তাবাহী এই মহান কবি।
মাত্র ৯ বছর বয়সে পিতৃহারা হন নজরুল। ওই বয়সেই জীবনযুদ্ধে নামতে হয় তাঁকে। দুখু মিয়া ডাক নামের সার্থকতা প্রমাণেই যেন কবিকে কখনো ভ্রাম্যমাণ লেটোর দলে, কখনো লোকের বাড়িতে গৃহপরিচারক, কখনো রুটির দোকানের কর্মচারী হিসেবে কাজ করতে হয়েছে। জীবনযুদ্ধে সংগ্রামরত কিশোর কবির প্রতি মহৎপ্রাণ এক পুলিশ কর্মকর্তার দৃষ্টি পড়ে। তিনি তাঁকে সন্তানস্নেহে নিয়ে আসেন নিজের কাছে, ভর্তি করে দেন স্কুলে। তবে কবি স্কুলের গন্ডি ডিঙাতে পারেন নি ইতোমধ্যে প্রথম মহাযুদ্ধের দামামা বেজে ওঠায়। দশম শ্রেণিতে পড়ার সময় তিনি যোগ দেন সেনাবাহিনীতে। বলা যায়, সেনাবাহিনীতে যোগ দেওয়ার পরই সাহিত্য সাধনায় মগ্ন হন তিনি।
বাংলা কাব্যজগতে কাজী নজরুল ইসলামের আগমন ধূমকেতুর মতো। কারও মতে কালবৈশাখী ঝড়ের মতো ঘটে তাঁর আগমন। প্রচলিত সমাজব্যবস্থা, বিদেশি শাসন ও শোষণের বিরুদ্ধে কলম ধরেন তিনি। বিদ্রোহ ও বিপ্লবের কবি হিসেবে ‘এলাম, দেখলাম এবং জয় করলাম’ এর মতো সাফল্যও দেখান এই কবি। প্রথম মহাযুদ্ধ শেষে নজরুল যখন বাংলা কাব্যজগতে প্রবেশ করেন, তখন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথের আলোয় আলোকিত এদেশের সাহিত্যাঙ্গন। নোবেল বিজয়ী কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে ঘিরেই আবর্তিত হচ্ছিল বাংলা কাব্যজগৎ। নজরুল নিজের যোগ্যতায় রবীন্দ্র বলয়ের বাইরে বাংলা কাব্য-সাহিত্যের আলাদা জগৎ সৃষ্টিতে কৃতিত্ব দেখান। বিশ্বকবির আশীর্বাদধন্য এ কবি নিজেকে বাংলা কাব্যজগতের অপরিহার্য অংশ হিসেবে তুলে ধরতে সক্ষম হন।
মাত্র ২০ বছর সাহিত্য সাধনার পর ১৯৪২ সালে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন বিদ্রোহ ও বিপ্লবের এই মহান কবি। তারপর ৩৫ বছর বেঁচে থাকলেও এক সময়ের সদা সরব কবি ছিলেন নির্বাক, বাকরুদ্ধ। স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু তাঁকে বাংলাদেশে নিয়ে আসেন। জাতীয় কবির মর্যাদা দিয়ে তাঁর চিকিৎসাসহ সব দায়িত্ব সরকারের ওপর অর্পিত হয়। ১৯৭৬ সালে পরপারে চলে যান প্রেম ও দ্রোহের এই কবি। মহান মুক্তিযুদ্ধে নজরুলের কবিতা ও গান আমাদের সব প্রতিকূলতাকে জয় করার সাহস জুগিয়েছে। জাতীয় কবির জন্মজয়ন্তীতে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা।
উপরের লেখাটুকু বাংলাদেশ প্রতিদিন থেকে তুলে দেয়া হলো।
কোনো প্রফেশনাল শিল্পী নই, একান্ত শখের বশেই আমি গান গেয়ে থাকি, যদিও নিজেও গান লিখি ও সুর করি। এ গানগুলো আমি বিভিন্ন সময়ে গেয়েছি, ইতোপূর্বে ব্লগে শেয়ারও করা হয়েছে। নজরুলের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে এ তিনটি গান শেয়ার করলাম।
প্রথম গানটার সাথে আমার পুরোটা জীবন জড়িয়ে আছে। এ নিয়ে ব্লগে পোস্ট দেয়া হয়েছিল এর আগে। যে দুটি গান পুরোটা জীবন জুড়ে
২ নম্বর গানটি নিয়ে আগের পোস্ট - পরজনমে যদি আসি এ ধরায়
নজরুলের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষেও এর আগে এ তিনটি গান নিয়ে পোস্ট লিখেছিলাম।
১
যারে হাত দিয়ে মালা দিতে পারো নাই
কেন মনে রাখো তারে
সুর : নজরুল
লিংক : প্লিজ এখানে ক্লিক করুন - যারে হাত দিয়ে মালা দিতে পারো নাই
অথবা নীচের লিংকে ক্লিক করুন।
২
পরজনমে যদি আসি এ ধরায়
সুর : শৈলেশ দত্তগুপ্ত
লিংক : প্লিজ এখানে ক্লিক করুন - পরজনমে যদি আসি এ ধরায়
অথবা নীচের লিংকে ক্লিক করুন।
৩
তোমারি আঁখির মতো আকাশের দুটি তারা
সুর : কমল দাশগুপ্ত
লিংক : প্লিজ এখানে ক্লিক করুন - তোমারি আঁখির মতো আকাশের দুটি তারা
অথবা নীচের লিংকে ক্লিক করুন।