somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জলজ পর্যটন সম্ভাবনা এবং সাম্প্রতিক কিছু আশা জাগানিয়া উদ্যোগ।

২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:১১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



নদীমাতৃক দেশ, আমাদের প্রাণপ্রিয় বাংলাদেশ। বাংলাদেশের পরিচিতি তুলে ধরতে গেলে প্রথমেই চলে আসে নদী, বঙ্গোপসাগর এবং বদ্বীপ এই দেশ এর কথা। অথচ আমাদের দেশের পর্যটন ভাবনায় বরাবরই অবহেলিত হয়ে এসেছে এই নদ-নদী, হাওর-বাওর, খাল-বিল সহ পুরো জলজ ভুবনটি। ভারতের কেরালা ভ্রমণে গিয়ে তাদের হাউজবোট কেন্দ্রিক পর্যটন এর বিশাল কর্মযজ্ঞ দেখে মনে হয়েছিল আমাদের দেশে কেন কাপ্তাই লেক, সুন্দরবন, বরিশালের ব্যাকওয়াটার এ নেই হাউজবোট এর মত চমৎকার ব্যবস্থাপনা যা দেশের পর্যটনকে এগিয়ে নিয়ে যেতে পারে বহুদূর। সারা বিশ্বের মোট পর্যটন খাতের বিশাল অংশ আসে ক্রজশিপ, সৈকত সংলগ্ন পর্যটন কার্যক্রম সহ নানান জলজ আধার থেকে। অথচ আমাদের দেশের মূল প্রোথিত আছে যেই নদীকেন্দ্রিকতায়; তা নিয়ে আমাদের দেশের সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান বা কর্ণধার'দের কোন কার্যকর উদ্যোগ চোখে পড়ে না। তবে আজকের লেখার অন্যতম বিষয় সাম্প্রতিক সময়ের কিছু উদ্যোগ যা ভবিষ্যতে জলজ পর্যটন’কে এগিয়ে নিতে বড় ভুমিকা রাখতে পারে বলে মনে করি।

এক সময় সমগ্র দেশব্যাপী প্রায় হাজার খানেক ছোট-বড় নদ-নদী এবং তাদের নানান শাখা-প্রশাখা নিয়ে জালের মত ঘিরে রেখেছিল আমাদের এই দেশকে। সময়ের পরিক্রমায় বর্তমানে তা ৩০০-৫০০ যা মতান্তরে ৭০০'র মত। পানি উন্নয়ন বোর্ড এর পরিসংখ্যান অনুযায়ী দেশে নদীর সংখ্যা এখন ৪০৫ টি। পাউবো কর্তৃক নির্ধারিত দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের নদী (১০২টি) , উত্তর-পশ্চিমাঞ্চলের নদী (১১৫টি), উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদী (৮৭টি), উত্তর-কেন্দ্রীয় অঞ্চলের নদী (৬১টি), পূর্ব-পাহাড়ি অঞ্চলের নদী (১৬টি) এবং দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলের নদী (২৪টি) হিসেবে বিভাজন করে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে। সূত্রঃ বাংলাদেশের নদীর তালিকা । তার সাথে “বাংলাদেশ হাওর ও জলাভূমি উন্নয়ন বোর্ড”এর তথ্যানুসারে দেশে মোট ৪১৪টি হাওর রয়েছে, যা বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ডের হিসাবানুসারে ৪২৩টি। সূত্রঃ বাংলাদেশের হাওরের তালিকা । এছাড়া সারাদেশ ব্যাপী রয়েছে অসংখ্য খাল-বিল সহ নানান জলাধার। এই সকল জলজ আধারগুলোকে পরিকল্পিতভাবে পর্যটন এর জন্য ব্যবহার করলে করোনা পরবর্তী এই সময়ে দেশীয় পর্যটন খাত এর বিকাশ যেমন ঘটবে; তেমনি পর্যটন এর সাথে সংশ্লিষ্ট লাখো মানুষের কর্মসংস্থানে হবে প্রাণসঞ্চার। একই সাথে বিস্তার ঘটবে ইকোট্যুরিজম এবং কমিউনিটি ট্যুরিজম এর সম্ভাবনা। যার হাত ধরে উন্নয়ন ঘটবে প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর। কিন্তু সেইরকম কোন পরিকল্পিত উদ্যোগ কখনো চোখে পড়ে না আমাদের দেশে। তবে আশার কথা সাম্প্রতিক সময়ে কিছু উদ্যোগ বেসরকারী খাতে নেয়া হয়েছে; যা সরকারী সহযোগীতা পেলে বাংলাদেশের অভ্যন্তরীন পর্যটন এর পরিধি বৃদ্ধিতে প্রভাবক এর কাজ করবে বলে আশা করা যায়। আজকের পোস্টের মূল বিষয়বস্তু এই উদ্যোগগুলো নিয়ে। আসুন দেখা যাক সাম্প্রতিক সময়ে বেসরকারী খাতে নেয়া কিছু উদ্যোগ এবং কার্যক্রমঃ

সমুদ্রপথে চট্টগ্রাম এবং কক্সবাজার থেকে সেন্টমার্টিন ভ্রমণঃ বছর দুয়েক আগে সর্বপ্রথম বেসরকারী উদ্যোগে কক্সবাজার হতে মহেশখালী-সোনাদিয়া ডে ক্রজ ট্যুর দিয়ে এই উদ্যোগগুলোর প্রারম্ভিক যাত্রা। যদিও সেই উদ্যোগটি তেমন সাফল্য পায় নাই, কিন্তু কক্সবাজার বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের জন্য কিছুটা ভিন্নতর আয়োজন ছিল যা নিয়মিত হলে কক্সবাজার এ বেড়াতে যাওয়া পর্যটকদের অন্যতম আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হতে পারতো; পর্যটকেরা পেতে পারতো বাড়তি উদ্দীপনা। এর প্রায় বছর খানেক পরে আসে কক্সবাজার থেকে সমুদ্রপথে সরাসরি সেন্টমার্টিন ভ্রমণ এর ক্রজশিপ। যদিও সমুদ্রযাত্রার “সী-সিকনেস” এবং সমুদ্রের ঢেউ এ অস্বাভাবিক দুলুনি নিয়ে সেই আয়োজন প্রশ্নবিদ্ধ হয়েছিল; কিন্তু সকল সীমাবদ্ধতা যদি উত্তরণ করে এই উদ্যোগটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়; তাহলে কিন্তু দেশীয় পর্যটন এর পালে নতুন হাওয়া লাগতে পারে। আর সর্বশেষ সংযুক্ত হয়েছে সরাসরি চট্টগ্রাম থেকে সেন্টমার্টিন চলাচলকারী ক্রজশীপ। যদি সফলভাবে এই শীপ কার্যক্রম অব্যহত থাকে তাহলে ঢাকা থেকে সন্ধ্যের ট্রেনে চট্টগ্রাম রওনা দিয়ে রাত ১১-১১:৩০ এর শীপে চড়ে পরদিন সকালে সেন্টমার্টিন… বদলে যেতে পারে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, সেন্টমার্টিন কেন্দ্রিক পর্যটন এর চেহারা। আর এইসকল ক্রজশীপ এ কেবিন সিস্টেম থাকায় পর্যটকদের সেন্টমার্টিন দ্বীপে রাত্রিযাপন না করে শীপে রাত্রী যাপন করলে চাপ কমতে পারে প্রবাল দ্বীপটিতে। তাই এই উদ্যোগগুলোতে এগিয়ে আসা উচিত সরকারী সংশ্লিষ্ট সকল সংস্থাগুলোকে। পিপিপি (পাবলিক-প্রাইভেট পার্টনারশিপ) এর মাধ্যমে এই উদ্যোগগুলো শতভাগ সফল এবং নিরাপদ করার উদ্যোগ নিলে এগিয়ে যাবে এদেশের পর্যটন খাত, এগিয়ে যাবে দেশের জলজ পর্যটন।

কাপ্তাই লেকে হাউজবোটঃ সদ্য শুরু হওয়া এই উদ্যোগ আমাকে ব্যক্তিগতভাবে উদ্বেলিত করেছে। বহুদিন ধরে আমার স্বপ্ন ছিল, শুরুতে উল্লেখ করা কাপ্তাই লেক, সুন্দরবন, টাঙ্গুয়ার হাওর, বরিশাল ব্যাকওয়াটার এ চলবে হাউজবোট; যেখানে পর্যটকদের জন্য থাকবে সকল ধরনের সুযোগ সুবিধা। রাঙ্গামাটির কাপ্তাই লেকে গত ডিসেম্বর মাস হতে বেসরকারী উদ্যোগে এবং স্থানীয় প্রশাসনের সহায়তায় শুরু হয়েছে ২ দিন ১ রাতের প্যাকেজ নিয়ে হাউজবোট ট্রিপ। এই হাউজবোটে কেরালার হাউজবোটগুলোর মত সুযোগ-সুবিধা রয়েছে; নিঃসন্দেহে যা প্রশংসনীয় উদ্যোগ। আশা করি এই কার্যক্রম অব্যহত থাকবে এবং সরকারী পৃষ্ঠপোষকতায় এর পরিধি আরও বৃদ্ধি পাবে আগত দিনগুলোতে।

টাঙ্গুয়ার হাওড়ে উন্নত নৌযানঃ বিগত বছর দুয়েক হল বেসরকারী উদ্যোগে টাঙ্গুয়ার হাওড়ে চালু হয়েছে হাই-কমোড টয়লেট সহ সকল মৌলিক সুবিধা সম্বলিত নৌযান, যা হাওড় এ বেড়াতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা সম্পন্ন সকলের কাছে সমাদৃত হয়েছে। আমাদের হাওড় অঞ্চলে নিচু ছাঁদের যে নৌযান রয়েছে তাতে করে দুই থেকে তিন দিনের হাওড় ভ্রমণে মানুষের নিত্যনৈমিত্তিক কার্যগুলো সম্পাদনে যথেষ্ট বেগ পেতে হয়; বিশেষ করে খাওয়া, ঘুম, টয়লেট ইত্যাদি’তে। আর তাই, এই নব্য যুক্ত হওয়া নৌযানগুলো আশার সঞ্চার করেছে। যদিও অত্যন্ত সীমিত পরিসরে এই উদ্যোগ এবং উচ্চমূল্যের নৌযান ভাড়া’র কারনে সমালোচিতও হয়েছে; কিন্তু তারপরও এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানাতে হয়ে। আশা করি আগত দিনগুলোতে তারা এবং তাদের পথে ধরে আরও নতুন উদ্যোক্তা এগিয়ে আসবে পর্যটন এর এই শাখাটিতে।

কায়াকিংঃ দেশের নানান এলাকায় জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কায়াকিং সাইটগুলো। স্বল্প খরচে ছুটির দিনে অথবা সপ্তাহের যে কোন দিনে কায়াকিং এর মজা নিতে পারে এডভেঞ্চার প্রিয় পর্যটক। ঢাকার আশেপাশে সহ কাপ্তাই, সীতাকুণ্ড, সিলেট, দক্ষিণবঙ্গ সহ নানান জায়গায় ভিন্ন ভিন্ন বেসরকারী উদ্যোগে কায়াকিং পয়েন্ট গড়ে উঠেছে। এখন দরকার এসকল উদ্যোগে সরকারী সহায়তা এবং আরও ঢেলে সাজানো কার্যক্রম। যাতে করে দেশীয় পর্যটনে এডভেঞ্চার এক্টিভিটি বেইজড ট্যুরিজম এর পরিধি বৃদ্ধি পায়।

প্যাডেল স্টিমারঃ BIWTC'র প্রায় শত বছরের পুরোনো তিনটি প্যাডেল স্টিমার সার্ভিস মাঝখানে বন্ধ থাকার পর আবারও চলাচল শুরু করেছে। বর্তমানে প্যাডেল স্টিমার পাবলিক টান্সপোর্ট হিসেবে পৃথিবীর আর কোথাও চলছেনা। পি এস লেপচা, টার্ণ ও মাহসুদ নামের তিনটি প্যাডেল স্টিমার নৌযানগুলো ঢাকা থেকে খুলনা নৌপথে চলাচল করছে। বিস্তারিত শিডিউল পাওয়া যাবে BIWTC'র ওয়েবসাইট এর এই লিংকেঃ ঢাকা থেকে খুলনা অভ্যন্তরীন যাত্রী সার্ভিস (প্রতিদিন) । এই ঐতিহ্যবাহী নৌপথে বর্তমানে প্রচুর দেশী-বিদেশী পর্যটক সপ্তাহান্তে ভ্রমণ করছে। এই সার্ভিসটি যথাযথ প্রচারণা এবং প্রণোদনা পেলে দেশীয় অভ্যন্তরীন জলজ পর্যটন এ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখতে পারবে বলে আশা করি।

New Year's Eve midnight Cruise প্যাকেজঃ দেশে প্রথমবারের মত আয়োজিত হয়েছে নিউ ইয়ার মিডনাইট ক্রজ। বেসরকারী উদ্যোগে ক্রজ শীপ এ করে ৩১ শে ডিসেম্বর রাত ০৭:৩০ এ শুরু হয়ে পরদিন ০১ জানুয়ারী সকাল ০৯:০০টা পর্যন্ত বিলাসবহুল এই আয়োজন আলোচিত সমালোচিত হলেও পর্যটন ভাবনা এবং জলজ পর্যটন এ একটি মাইলস্টোন বলে মনে করি। পর্যটন এমন একটি খাত যার ব্যাপ্তি অনেক বৃহৎ পরিসরে। তাই সকল ধরনের উদ্যোগ এর প্রয়োজন এবং সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এই আয়োজন আমার কাছে আশা জাগানিয়া বলে মনে হয়েছে।

উপরের প্রতিটি উদ্যোগই বদলে দিতে পারে আমাদের দেশের পর্যটন এর ভবিষ্যৎ, যদি পাওয়া যায় উপযুক্ত পৃষ্ঠপোষকতা এবং প্রণোদনা। আশা করি সরকারী এবং বেসরকারী সকল পর্যটন সংশ্লিষ্ট মহল এই জলজ পর্যটন এবং নদী ভিত্তিক পর্যটন এ আরও গুরুত্ব সহকারে উদ্যোগী হবেন। কেননা, বুড়িগঙ্গা হতে তুরাগ এর যে ওয়াটার বাস সার্ভিস অনেক আশা এবং স্বপ্ন তৈরী করেছিল, তা কিন্তু পূর্ণতা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। সেই ওয়াটার বাস সার্ভিস সদরঘাট হতে গাবতলী ছাড়াও গুলশান-হাতিরঝিল রুটে চালু করা উচিত; যদিও সেই রুটে কিছু সার্ভিস বিদ্যমান ছিল; এখনো আছে কি না আমার জানা নেই।

সবশেষে একটি কথাই বলবো; নদীমাতৃক দেশের সকল উন্নয়ন কার্যক্রমে নদীকে বিবেচনা করা উচিত অগ্রাধিকার ভিত্তিতে; আমাদের দেশে তা হচ্ছে সবচেয়ে অবহেলিত। সকল মৃতপ্রায় নদীকে ড্রেজিং, অবৈধ দখল সহ নানান নদী শাসনের নামে চলা অপতৎপরতা বন্ধ করে নদীভিত্তিক মজবুত অবকাঠামো বিনির্মান এবং সেই সূত্র ধরে দেশীয় পর্যটনের বিকাশে উদ্যোগী হওয়া এখনই জরুরী। কেননা, বিশ্ব পর্যটন সংস্থাগুলো’র কাছ হতে পাওয়া বার্তায়, আগামী কয়েক বছর সকল দেশকে আভ্যন্তরীণ পর্যটনে সর্বোচ্চ মনযোগী হতে পরামর্শ দেয়া হয়েছে। নইলে বিগত প্রায় এক দশক ধরে সারা বিশ্বের সবচেয়ে ধারাবাহিক এবং উচ্চতর প্রবৃদ্ধির যে শিল্পখাত, পর্যটন শিল্প, তা ভয়াবহ হুমকির সম্মুখীন হবে।

আশা করি বোকা মানুষের কথা, কেউ হয়ত না শুনলেও, কোন একদিন বোকা মানুষের স্বপ্নগুলো বাস্তবায়িত হবে…

সঙ্গত কারনে প্রতিটি উদ্যোক্তা বা প্রতিষ্ঠানের নাম উল্লেখ করা হয় নাই এবং সংশ্লিষ্ট ছবি কপিরাইট ইস্যুর কারনে আলাদা করে পোস্ট করা হয় নাই। যে কেউ চাইলে একটু কষ্ট করে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে গুগলে সার্চ করলেই সকল উদ্যোক্তা এবং প্রতিষ্ঠানের নাম এবং অন্যান্য তথ্য পেয়ে যাবেন।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে জানুয়ারি, ২০২১ রাত ৮:৩৩
১৪টি মন্তব্য ১৩টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

গণতন্ত্র আর বাক-স্বাধীনতার আলাপসালাপ

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ বিকাল ৪:২৩


একাত্তর সালে আওয়ামী লীগের লোকজন আর হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা ছিল পাকবাহিনীর প্রধান টার্গেট। যদিও সর্বস্তরের মানুষের ওপর নিপীড়ন অব্যাহত ছিল। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছিল। মুক্তিযোদ্ধা আর তাদের পরিবারের... ...বাকিটুকু পড়ুন

কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।

লিখেছেন মঞ্জুর চৌধুরী, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:১৩

ফেসবুকে বাঙালিদের মধ্যে ইদানিং নতুন এক ফতোয়া চালু হয়েছে, এবং তা হচ্ছে "দাওয়াতের নিয়্যত ছাড়া কাফের কুফফারদের দেশে বাস করা হারাম।"
সমস্যা হচ্ছে বাঙালি ফতোয়া শুনেই লাফাতে শুরু করে, এবং কোন... ...বাকিটুকু পড়ুন

স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে মুক্তিযোদ্ধাদের মুমিনী চেহারা ও পোশাক দেখে শান্তি পেলাম

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৭ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ৯:৫৮



স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে স্টেজে উঠেছেন বত্রিশ মুক্তিযোদ্ধা তাঁদের চব্বিশ জনের দাঁড়ি, টুপি ও পাজামা-পাঞ্জাবী ছিলো। এমন দৃশ্য দেখে আত্মায় খুব শান্তি পেলাম। মনে হলো আমাদের মুক্তিযোদ্ধা আমাদের মুমিনদের... ...বাকিটুকু পড়ুন

দু'টো মানচিত্র এঁকে, দু'টো দেশের মাঝে বিঁধে আছে অনুভূতিগুলোর ব্যবচ্ছেদ

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ১২:৩৪


মিস ইউনিভার্স একটি আন্তর্জাতিক সুন্দরী প্রতিযোগিতার নাম। এই প্রতিযোগিতায় বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সুন্দরীরা অংশগ্রহণ করলেও কখনোই সৌদি কোন নারী অংশ গ্রহন করেন নি। তবে এবার রেকর্ড ভঙ্গ করলেন সৌদি... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের দুই টাকার জ্ঞানী বনাম তিনশো মিলিয়নের জ্ঞানী!

লিখেছেন সাহাদাত উদরাজী, ২৮ শে মার্চ, ২০২৪ রাত ২:৫৯

বিশ্বের নামীদামী অমুসলিমদের মুসলিম হয়ে যাওয়াটা আমার কাছে তেমন কোন বিষয় মনে হত না বা বলা চলে এদের নিয়ে আমার কোন আগ্রহ ছিল না। কিন্তু আজ অষ্ট্রেলিয়ার বিখ্যাত ডিজাইনার মিঃ... ...বাকিটুকু পড়ুন

×