somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবনের লক্ষ্য কি আমাদের.?

১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

জীবনের লক্ষ্য কি আমাদের.?
লিখেছেনঃ আবু মুহাম্মাদ
-
প্রত্যেকটা কাজেরই একটি লক্ষ্য রয়েছে। কাংখিত জায়গায় পৌঁছানোর জন্য লক্ষ্য নির্ধারণটা খুব জরুরী। লক্ষ্যহীন ভাবে কাংখিত স্থানে পৌছানো সম্ভব নয়, সম্ভব নয় কাংখিত কাজ শেষ করা। মানুষের জীবনেরও লক্ষ্য রয়েছে। 'লক্ষ্যহীন জীবন, মাঝিবিহীন নৌকার মত' একথাটি সম্ভবত আমাদের প্রত্যেকেরই জানা। তবে এটাও মাথায় রাখতে হবে লক্ষ্য নির্ধারণে সঠিক দৃষ্টিভঙ্গির অভাব ওলট-পালট করে দিতে পারে আপনার গোটা জীবনকে।
.
অভিভাবকেরা ছোট থাকতে শিশুদের মাথায় খেলার ছলে একটা লক্ষ্য ঢুকিয়ে দেয় আবার কখন শিশুরা বোঝার পর নিজেই ঠিক করে। তবে শিশুরা নিজ থেকে ঠিক করলেও তা আসলে চারপাশের মানুষের কাছ থেকে বার বার কোন বিষয় শুনে তার অবচেতন মন তা ঠিক করে রেখেছে। কারন একজন শিশুর পক্ষে জীবনের লক্ষ্য নির্ধারনের মত একটি কঠিন বিষয় ঠিক করা সম্ভব নয়। যদিও আমরা অনেক সময় দেখতে পাই পরিবারের বিপরিতে শিশু নিজের মত প্রকাশ করে।
.
বেশির ভাগ ক্ষেত্রে ডাক্তার, ইনজিনিয়ার, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, পুলিশ আফিসার, ডিসি, এসপি, বিসিএস ক্যাডার, সাংবাদিক, ব্যবসায়ীসহ বিভিন্ন লক্ষ্য ঠিক করে একেক জন।জীবন মানুষের সবচেয়ে প্রিয় সম্পদ। এই সম্পদকে সুন্দর করে সাজাতে সবাই দুনিয়ায় প্রতিষ্ঠিত হতে চায়, তারই আঙিকে ঠিক করে জীবনের লক্ষ্য। তবে লক্ষ্য নির্ধারনে বিভিন্ন পেশা দৃশ্যমান থাকলেও সবার মূল লক্ষ থাকে টাকা কামানো। সেটা বৈধ হোক কিংবা অবৈধ ! তাই অনেকেরই লক্ষ বদলায় বার বার...
.
সবাই বলে তার নির্ধারিত লক্ষ্যে পৌছে তারা ভাল কিছু করতে চায় এদেশেরা অসহায় মানুষের জন্য।

কিন্তু বাস্তবে কতটুকু করে তা ভাবার বিষয় !!!

কারণ আজ যারা শীর্ষ স্হানীয় পর্যায় আছে তারাও আমাদের মত ছোট থাকতে দেশ সেবার স্বপ্ন দেখেছে কিন্তু বড় হয়ে সবাই তা ভূলে গিয়েছে।
কোন ভাল শিক্ষক অসহায় ছাএদের জন্য গ্রামে গিয়ে বিনা বেতনে পড়িয়েছে ???
কোন ডাক্তার রোগী দেখেছে আর পুলিশসহ অন্যদের কথা নাই বললাম !
বরং উল্টো অনেক কাহিনী রয়েছে।
.
সবাই আসলে দুনিয়া কেন্দ্রিক জীবনের লক্ষ্য চিন্তা করে। আখিরাত কেন্দ্রিক ভাবার সংখ্যা খুব কম। মাদ্রাসায় পড়ুয়া হাফেজ ছেলেটাও স্বপ্ন দেখে বড় ডাক্তার/ইন্জিনিয়ার বা বিসিএস ক্যাডার হবে। ( এগুলো হওয়া দোষের নয়) কিন্তু বড় দাঈ ( আল্লাহর পথে দাওয়াত দিবে) হতে চাওয়া কি আরো ভাল নয়.? বেশির ভাগ ক্ষেত্রে আমাদের সমাজের সব থেকে কম মেধাবী, বাড়ির অবহেলার ছেলে-মেয়েটিকেই মাদরাসায় পড়ানো হয়। আবার যখন কোন মেধাবী নিজ থেকে তার সাফল্য গাথা সার্টিফিকেট পিছনে ফেলে শুধু দ্বীন শেখার জন্য মাদ্রাসায় আসতে চায় তখন পরিবারের অনেকেই তার সাথে সম্পর্ক ছিন্ন করে।
.
কেই আবু বক্কর রাঃ, ওমর রাঃ, ‍মুসআব রাঃ, ওসমান রাঃ এর মতো সাহাবা হতে চায় না। কেন জানি সবার লক্ষ টাকাকে কেন্দ্র করে আর্বতিত হয়। কিন্তু তার এই লক্ষ নির্ধারনটা যে ঠিক হয়নি তা কখনোই বুঝে উঠতে পারে না। আমাদের অনেক দ্বীনি ভাইদের পরিবার দেখেছি, যারা দ্বীন বোঝার পরও সন্তানদেরকে জেনারেল লাইনে পড়াতেই স্বাচ্ছন্দ্য অনুভব করে। তার ভাবে মাদ্রাসায় আর কি বা শিখবে .? যা লাগবে তা বাড়িতেই... কিন্তু আর শিখানো হয় না ! ফলে চোখের আড়ালে ছেলে-মেয়ে গুলো কখন বিভ্রান্ত হয়ে পড়ছে তার খেয়াল নেই।
.
এক এক মানুষের জীবনে এক এক রকম লক্ষ্য থাকবে এটাই স্বাভাবিক কিন্তু যে সে লক্ষ্য হওয়া উচিত আখিরাতকে ভিত্তি করে। অথবা লক্ষ্য একটাই হবে, জান্নাত প্রাপ্তি- সেই লক্ষ্য অর্জনের পথ ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। আর আমরা যে রিযিকের চিন্তা করছি তা আসবেই। সেই নির্ধারিত রিযিক ডাক্তার হলেও যে পরিমান আসবে, মাদ্রাসার শিক্ষক বা দাঈ হলেও সেই একই পরিমান আসবে আবার চোর হলেও। তাই আমাদের এমন লক্ষ্য ঠিক করা উচিত নয় যা কেবল আমাদের দুনিয়ার ফায়দাই দিবে আখিরাতের পাল্লা শুন্য করে। তাই আখিরাত কেন্দ্রিক লক্ষ্য নির্ধারন করতে হবে, কাংখিত লক্ষ্যার্জনে দৃঢ়তার সাথে কাজ করতে হবে । যথেষ্টই দৃঢ় থাকতে হবে... তাহলেই আল্লাহর মেহেরবানীতে ইনশাআল্লাহ পাওয়া যাবে জান্নাত ।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই জানুয়ারি, ২০১৮ রাত ১০:২৭
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

এ যুগের বুদ্ধিজীবীরা !

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১:৪০


ডিসেম্বর মাসের চৌদ্দ তারিখ বাংলাদেশে বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। পাকিস্তান মিলিটারী ও তাদের সহযোগীরা মিলে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করেন লেখক, ডাক্তার, চিকিৎসক সহ নানান পেশার বাংলাদেশপন্থী বুদ্ধিজীবীদের!... ...বাকিটুকু পড়ুন

মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫….(৭)

লিখেছেন খায়রুল আহসান, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৭

ষষ্ঠ পর্বের লিঙ্কঃ মায়াময় স্মৃতি, পবিত্র হজ্জ্ব- ২০২৫-….(৬)

০৬ জুন ২০২৫ তারিখে সূর্যোদয়ের পরে পরেই আমাদেরকে বাসে করে আরাফাতের ময়দানে নিয়ে আসা হলো। এই দিনটি বছরের পবিত্রতম দিন।... ...বাকিটুকু পড়ুন

টাঙ্গাইল শাড়িঃ অবশেষে মিললো ইউনস্কর স্বীকৃতি

লিখেছেন কিরকুট, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৭



চারিদিকে যে পরিমান দুঃসংবাদ ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে এর মধ্যে নতুন এক গৌরবময় অধ্যায়ের সূচনা হলো বাংলাদেশের টাঙ্গাইলের তাতের শাড়ি এর জন্য, ইউনেস্কো এই প্রাচীন হ্যান্ডলুম বুননের শিল্পকে Intangible Cultural... ...বাকিটুকু পড়ুন

আধা রাজাকারি পোষ্ট ......

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:৫৬


আমি স্বাধীন বাংলাদেশে জন্মগ্রহণ করেছি। আমার কাছে একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ, স্বাধীনতা, বা পূর্ব পাকিস্তানের সঙ্গে আজকের বাংলাদেশের তুলনা—এসব নিয়ে কোনো আবেগ বা নস্টালজিয়া নেই। আমি জন্মগতভাবেই স্বাধীন দেশের নাগরিক, কিন্তু... ...বাকিটুকু পড়ুন

ইন্দিরা কেন ভারতীয় বাহিনীকে বাংলাদেশে দীর্ঘদিন রাখেনি?

লিখেছেন জেন একাত্তর, ১৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৫:২০



কারণ, কোল্ডওয়ারের সেই যুগে (১৯৭১সাল ), আমেরিকা ও চীন পাকিস্তানের পক্ষে ছিলো; ইন্দিরা বাংলাদেশে সৈন্য রেখে বিশ্বের বড় শক্তিগুলোর সাথে বিতন্ডায় জড়াতে চাহেনি।

ব্লগে নতুন পাগলের উদ্ভব ঘটেছে;... ...বাকিটুকু পড়ুন

×