somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

ইউক্রেনের ড্রোন আক্রমণে রাশিয়ার সুপারসনিক বোমার ধ্বংস B-)

২২ শে আগস্ট, ২০২৩ বিকাল ৫:৪০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



গতকাল রাশিয়ার সেইন্ট পিটার্সবার্গের একটি বিমানঘাঁটিতে ইউক্রেন বাহিনী ড্রোন হামলা চালিয়ে টিইউ-২২ নামক অত্যাধুনিক একটি বোমার যুদ্ধবিমান ধ্বংস করেছে। শব্দের গতির চেয়েও দ্বিগুণ বেগে ছুটে চলার সক্ষমতা সম্পন্ন রাশিয়ার এই সুপারসনিক যুদ্ধবিমান ধ্বংস করাটা ইউক্রেনের জন্য এক বড় অর্জন বলে মনের করেন বিশেষজ্ঞরা। শক্তিশালী রাশিয়ার নিচ্ছিদ্র এয়ার ডিফেন্স ফাঁকি দিয়ে ইউক্রেনের ড্রোন কিভাবে রাশিয়ার ভূখণ্ডে প্রবেশ করছে তা ভেবে রাশিয়ান প্রতিরক্ষা কর্মকর্তাদের ঘুম হারাম। বিস্তারিত: বিবিসি

গত দুই মাস ধরে ইউক্রেন রাশিয়ার ভূখণ্ডে চোরাগোপ্তা হামলা করা শুরু করেছে, ইতিমধ্যে মস্কোয় বেশ কয়েকবার পরীক্ষামূলক ড্রোন হামলা চালানো হয়েছে। এসব ছোট খাটো হামলায় রাশিয়ার প্রাণকেন্দ্র মস্কোর ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ ফেলে দিয়েছে; ইতিমধ্যে বেশকিছু ব্যবসায়ী নিজেদের ব্যবসায়িক কার্যক্রম গুটিয়ে নিতে শুরু করেছে। নিজ নাগরিকদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হওয়ায় মস্কোর জনগণ বিশেষ করে এলিট শ্রেণী পুতিনের উপর চরম খেপেছে এবং এই যুদ্ধ শুরু করার জন্য তাকেই দায়ী করছে। ভিতর এবং বাহির থেকে প্রচণ্ড চাপে থাকা পুতিনের জন্য ইউক্রেন এখন এক গালার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে; মাত্র দুই দিনে ইউক্রেন দখল করার তার এই উচ্চাভিলাষী আকাঙ্ক্ষা এখন তার জন্য বুমেরাংয়ে পরিণত হয়েছে, সে না পারছে ইউক্রেন দখল করতে না পারছে দলবল নিয়ে লেজ গুটিয়ে পালাতে; সবমিলিয়ে পরিস্থিতি মোটেও তার অনুকূলে নেই ।



ছোট সামরিক শক্তিধর দেশ ইউক্রেনের কাছে রাশিয়ান বাহিনী এমন নাকানি চুবানি খাবে তা পুতিন কেন দুনিয়ার কেউ'ই হয়তো কল্পনা করেনি। প্রায় দুই বছর হতে চললো এখনো নাকানি চুবানি খেয়েই যাচ্ছে; ইউক্রেন বাহিনীর বুদ্ধিদীপ্ত পাল্টা আক্রমণে একের পর এক দখল করা অঞ্চল হাতছাড়া হয়ে যাচ্ছে এবং ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে ; এখন আবার মরার উপর খাড়ার ঘা হয়ে ইউক্রেনের ড্রোন রাশিয়ার মুল ভূখণ্ডে প্রবেশ করে হামলা চালাচ্ছে। গত সপ্তাহেও কৃষ্ণ সাগরে ইউক্রেনের ড্রোন রাশিয়ার এক যুদ্ধ জাহাজে নির্ভুল হামলা চালিয়ে ডুবিয়ে দিয়েছে। ইউক্রেনের ড্রোন রাশিয়ান সেনাদের জন্য এখন এক বিভীষিকা নাম, তাছাড়া আমেরিকা থেকে প্রশিক্ষণ প্রাপ্ত ইউক্রেনিয়ান স্নাইপার'রা এখন রাশিয়ান বাহিনীর জন্য এক অদৃশ্য আতঙ্কের নাম। B-)



বেচারা পুতিন তোমার সময় ঘনিয়ে আসছে, ব্যক্তিগত সোর্স থেকে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ ইউক্রেন রাশিয়ার মূল ভূখণ্ডে জোরদার আঘাত হানা শুরু করবে। (যদি আমেরিকা থেকে অনুমতি পায় তাহলে, এ বিষয়ে আলাপ আলোচনা চলছে) সত্যিই যদি এমনটা হয় তাহলে রাশিয়ান জনগণই পুতিনকে ক্ষমতা থেকে অপসারণ করিবে।



প্রবল শক্তিধর রাশিয়াকে প্রতিহত করার জন্য ইউক্রেনের জনগণকে ধন্যবাদ দিতেই হয়। যুদ্ধের শুরুতে দেখেছি ইউক্রেনের সাধারণ জনগণকে প্রচণ্ড শীতের মধ্যে ফ্রন্ট লাইন কভার করতে। দেশপ্রেম কাকে বলে কত প্রকার ও কি কি তা তারা দেখিয়ে দিয়েছে। তারা প্রমাণ করেছে দেশের জনগণ যদি ঐক্যবদ্ধ থাকে এবং সুনির্দিষ্ট লক্ষ্য নিয়ে সামনে আগায় তাহলে প্রবল ক্ষমতা সম্পন্ন বহিঃশত্রুকে ধরাশায়ী করা সম্ভব (যা আমরা মুক্তিযুদ্ধে দেখিয়েছি :D )। যুদ্ধাবস্থায় সবচেয়ে কঠিন কাজটি হলো দেশের জনগণকে ঐক্যবদ্ধ এবং মোটিভেটেড রাখা। আর এই কঠিন কাজটিই করে যাচ্ছেন প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি, ইস্পাত সম দৃঢ় মনোবলের অধিকারী এই প্রেসিডেন্ট বর্তমান বিশ্বের এক রাজনৈতিক নায়ক। যুদ্ধের শুরুতেই আমেরিকা তাদের নিজস্ব নিরাপত্তা বলয়ের মাধ্যমে প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি'কে ইউক্রেন থেকে সেফ এক্সিট করার অফার করেছিলো; যাতে রাশিয়ান আক্রমণ থেকে বেচারার প্রাণ'টা অন্তত বাঁচে, কিন্তু প্রচণ্ড আত্মবিশ্বাসী এবং দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ এই প্রেসিডেন্ট "থ্যাংকস বাট নো, থ্যাংকস" বলে বিনয়ের সহিত আমেরিকার সেই প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে নিজের জাত চিনিয়েছিলেন। বেলারুশের প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার লুকাশেঙ্কো এর মাধ্যমেও পুতিন জেলেনস্কি'কে অনেক লোভনীয় অফার করেছিলেন যা ইউক্রেনের জনগণের জন্য অবমাননাকর ছিল, তিনি সমস্ত লোভনীয় অফার দৃঢ় চিত্তে প্রত্যাখ্যান করে দিয়েছিলেন। "মরতে যদি হয় যুদ্ধ করেই মরবো, বাঁচতে যদি হয় সিংহের মতোই বাঁচবো, এ দেশের মানুষকে মুক্ত করে ছাড়াবো, Hallelujah" এটাই ছিল প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির একমাত্র মটো। জেলেনস্কি হচ্ছেন এ যুগের বঙ্গবন্ধু।



পুতিন ও তার সাঙ্গ পাঙ্গরা খুব ভালো করেই জানতো শুধুমাত্র এই জেলেনস্কি'কে হত্যা অথবা আটক করতে পারলেই ইউক্রেনের পরাজয় নিশ্চিত, যে কারণে ওরা শুরুতেই রাজধানী কিয়েভে আক্রমণ শুরু করেছিল, কিন্তু বিধিবাম!! ইউক্রেনের জনগণ রাশিয়ার সমস্ত আক্রমণ প্রতিহত করে দিয়েছে, তারা তাদের সর্বশক্তি দিয়ে আধুনিক অস্ত্রে সজ্জিত রাশিয়ান বাহিনীকে পিছু হটতে বাধ্য করেছে। বর্তমানে রাশিয়ান সেনাবাহিনী কিয়েভের ধারে কাছে ঘেষতে পারছে না। এভাবেই ইউক্রেনের জনগণ তাদের প্রেসিডেন্টকে রক্ষা করেছে। আর এদিকে বাংলার নাদান ফেসবুকিয় জনগোষ্ঠী প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি'কে 'জোকার' উপাধি দিয়ে ফেসবুক গরম করে তুলছে; "দুই দিনের মধ্যেই জেলেনস্কি রাশিয়ান বাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করবে" এমন গুজব রটাচ্ছে X(( । অথচ মস্তিষ্কহীন এই গবেট বঙ্গ জনগোষ্ঠী জানেইনা এই 'জোকার' জেলেনস্কিকে'ই কেন্দ্র করে বর্তমান বিশ্বের রাজনীতি আবর্তিত হচ্ছে।



'জোকার' নয় বরং প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কি'কে 'সিসু' উপাধি দেয়া যেতে পারে। 'সিসু' হচ্ছে ফিনিশ একটা শব্দ যার যুতসই কোন ইংরেজি প্রতিশব্দ নেই তবে এর মানে হচ্ছে- "ইনসেইন লেভেলের আত্মবিশ্বাস, হেরে গিয়েও হারবো না, মরেও মরবো না" এমন একটা অবস্থা আরকি।



'সিসু' এর কথা যেহেতু উঠেছে তাহলে 'সিসু' নিয়ে একটু বয়ান করি। আমার একটি পোস্টে ব্লগার রাজীব নুর আমাকে 'সিসু' মুভিটি দেখার সাজেষ্ট করেন। 'সিসু' হচ্ছে ২য় বিশ্বযুদ্ধের উপর নির্মিত ফিনল্যান্ডের একটি মুভির নাম, এ বছর জানুয়ারিতেই মুক্তি পেয়েছে। প্রথমে ভেবেছিলাম ২য় বিশ্বযুদ্ধ নিয়ে অনেক মুভি'ই নির্মিত হয়েছে ইতিমধ্যে, সুতরাং নতুন করে এখানে আর কি দেখার আছে, কিন্তু মুভিটি দেখার পর বুঝলাম মুভিটির মাধ্যমে ফিনিশ নির্মাতারা মূলত রাশিয়ার বিরুদ্ধে ভবিষ্যতের যুদ্ধের কথা চিন্তা করে ফিনিশ জনগণকে নতুন করে উদ্দীপ্ত করার চেষ্টা করেছেন। ২য় বিশ্বযুদ্ধে রাশিয়ান সেনাবাহিনী ফিনিশিয়দের কাছে ব্যাপকভাবে ধরাশায়ী হয়েছিলো, সে ইতিহাসই মূলত নতুন করে মুভিটিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে যাতে যে কোন ধরণের যুদ্ধে তাদের দেশের জনগণের আত্মবিশ্বাসের পারদ উচ্চ পর্যায়ে থাকে। যেহেতু চারিদিকে যুদ্ধ যুদ্ধ একটা ভাব তাছাড়া নব্য ন্যাটোতে যোগদান করা ফিনল্যান্ডের সাথে রাশিয়ার কয়েক হাজার কিলোমিটারের লম্বা সীমান্ত লাইন রয়েছে, তাই যে কোন মুহূর্তে ফিনল্যান্ডের সাথে রাশিয়ার সেই পুরোনো ক্ল্যাশ'টা আবার মাথা চাড়া দিয়ে উঠতে পারে সেজন্য আগে থেকেই জনগণকে যুদ্ধে উদ্বুদ্ধ করার কাজটিই করে রাখছেন ফিনিশ নির্মাতারা। তাই আমি বলবো এটি একটি সময়োপযোগী মুভি। গত সপ্তাহে আমি মুভিটি দেখেছি, রাশিয়ান সেনাবাহিনীকে ফিনিশ সাধারণ মানুষের হাতে নাস্তানাবুদ হতে দেখে খুব মজা পাইসি :D, চাইলে আপনিও মুভিটি দেখতে পারেন। ওরা আমাদের চেয়ে অনেক এডভান্স চিন্তাভাবনা করে, আর আমরা আছি পরিমনি রাজ, শাকিব বুবলিকে নিয়ে।



ভালো থাকবেন সবাই।
------------------------------------------------

রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে আরও পড়ুন:

পুতিনের হুমকি ধামকিতে ন্যাটোর সম্প্রসারণ বন্ধ হবে না।

অবশেষে ন্যাটো জোটে ফিনল্যান্ডের যোগদানের চুরান্ত প্রক্রিয়া সম্পন্ন হলো

রুশ সামরিক নেতাদের উৎখাতের হুমকি, মস্কোয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার

যেভাবে রাশিয়া বাংলাদেশকে বিপদে ফেলার পাঁয়তারা করছে

অবশেষে পুতিনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে আগস্ট, ২০২৩ সন্ধ্যা ৬:০৬
১২টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ছি , অবৈধ দখলদার॥ আজকের প্রতিটি অন‍্যায়ের বিচার হবে একদিন।

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:১০



ধিক ‼️বর্তমান অবৈধভাবে দখলদার বর্তমান নরাধমদের। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন বাংলাদেশে । বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ক্ষমা চাইতে হলো ! রাজাকার তাজুলের অবৈধ আদালতে। এর চাইতে অবমাননা আর কিছুই হোতে পারেনা।... ...বাকিটুকু পড়ুন

আম্লিগকে স্থায়ীভাবে নিষিদ্ধে আর কোন বাধা নেই

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ দুপুর ১২:২২


মঈন উদ্দিন ফখর উদ্দিনের ওয়ান-ইলেভেনে সরকারের ২০০৮ সালের ডিসেম্বরে ভারতের সহায়তায় পাতানো নির্বাচনে হাসিনা ক্ষমতায় বসে। এরপরই পরিকল্পিত উপায়ে মাত্র দুই মাসের মধ্যে দেশপ্রেমিক সেনা অফিসারদের পর্যায়ক্রমে বিডিআরে পদায়ন... ...বাকিটুকু পড়ুন

মিশন: কাঁসার থালা–বাটি

লিখেছেন কলিমুদ্দি দফাদার, ০৪ ঠা ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৯:২৭

বড় ভাই–ভাবীর ম্যারেজ ডে। কিছু একটা উপহার দেওয়া দরকার। কিন্তু সমস্যা হলো—ভাই আমার পোশাক–আশাক বা লাইফস্টাইল নিয়ে খুবই উদাসীন। এসব কিনে দেওয়া মানে পুরো টাকা জ্বলে ঠালা! আগের দেওয়া অনেক... ...বাকিটুকু পড়ুন

আওয়ামী লীগের পাশাপাশি জামায়াতে ইসলামীকেও নিষিদ্ধ করা যেতে পারে ।

লিখেছেন সৈয়দ কুতুব, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১২:৪৫


বাংলাদেশে আসলে দুইটা পক্ষের লোকজনই মূলত রাজনীতিটা নিয়ন্ত্রণ করে। একটা হলো স্বাধীনতার পক্ষের শক্তি এবং অন্যটি হলো স্বাধীনতার বিপক্ষ শক্তি। এর মাঝে আধা পক্ষ-বিপক্ষ শক্তি হিসেবে একটা রাজনৈতিক দল... ...বাকিটুকু পড়ুন

J K and Our liberation war১৯৭১

লিখেছেন ক্লোন রাফা, ০৫ ই ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ৯:০৯



জ্যাঁ ক্যুয়ে ছিলেন একজন ফরাসি মানবতাবাদী যিনি ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের সময় পাকিস্তান ইন্টারন্যাশনাল এয়ারলাইন্সের একটি বিমান হাইজ্যাক করেছিলেন। তিনি ৩ ডিসেম্বর, ১৯৭১ তারিখে প্যারিসের অরলি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×