বর্তমানে জীবনে চলার পথে হাজার চিন্তা, বাধা-বিঘ্ন ও না পাওয়ার বেদনার মাঝ দিয়ে আমাদের এগিয়ে যেতে হয়। এসব থেকে তৈরি হয় মানসিক চাপ আর মানসিক চাপ কমাতে অনেকটাই কার্যকরী ভূমিকা রাখে প্রতিদিন একটু করে শ্বাস-প্রশ্বাস ব্যায়াম।প্রতিদিনের কাজের ও সামাজিক চাপে কিংবা উদ্দেশ্য পূরণ না হওয়াতে আমাদের মনের উপর নানা ভাবে চাপ তৈরি হয় যা আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত খারাপ প্রভাব বয়ে আনে বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন প্রতিদিন গভীর ভাবে শ্বাস প্রশ্বাস ব্যায়াম পারে আমাদের এই চাপ কমাতে।
শ্বাস প্রশ্বাস ব্যায়ামের বিশেষত্ব হচ্ছে এটি অনেক সহজেই সামান্য সময় ব্যয় করেই করে নেয়া যায় যেমন আপনি সকালে ঘুম থেকে উঠে খানিকটা সময় গভীর নিঃশ্বাস ত্যাগ এবং গ্রহণ করার ফলে আপনার শরীরে তৈরি হবে প্রশান্তি একই সাথে শ্বাস প্রশ্বাস ব্যায়ামকে আগে থেকেই রক্ত চাপ কমাতে উপকারী হিসেবে বিশেষজ্ঞরা মতা মত দিয়েছেন।
আপনার শ্বাস প্রশ্বাস ব্যায়াম করার সময় মনে রাখতে হবে প্রতিবার আপনি যখন গভীর নিঃশ্বাস নিবেন তখন আপনার শরীরের গভীরে ফুসফুসে সম্পূর্ণ বাতাস প্রবেশ করছে এবং আপনার নিচের পাকস্থলীকে এটি সম্প্রসারিত করছে ফলে আপনার শরীরে অধিক অক্সিজেন প্রবেশ করছে একই ভাবে আপনি যখন শ্বাস ত্যাগ করছেন সে সময় আপনার শরীরের গভীর থেকে কার্বনডাই অক্সাইড বাইরে বেরিয়ে আসছে ফলে এতে আপনার শরীরে একধরণের প্রশান্তি তৈরি হবে যা আপনার মনকেও ফুরফুরে করে তুলবে।
তবে আপনি যখনই শ্বাস প্রশ্বাসের ব্যায়াম করবেন তখন অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যাতে আপনি যে স্থানে বসে ব্যায়াম করছেন তা আরাম দায়ক হয় এবং সেটি প্রাকৃতিক এবং খোলা মেলা দূষণ মুক্ত পরিবেশে হয়। সব সময় মনে রাখবেন আপনার ব্যায়াম করার সময় অপ্রয়োজনীয় জিনিস আপনার আসে পাশে যেন না থাকে। চেষ্টা করুন আপনার মোবাইল ফোন, টিভি কিংবা রেডিও বন্ধ রাখতে।
অনেক গবেষণায় দেখা গেছে শ্বাস প্রশ্বাস ব্যায়াম মানুষের মানসিক দৃঢ়তা বাড়াতে সাহায্য করে এবং এটি সিদ্ধান্ত গ্রহনেও মানুষকে সাহায্য করে।
আপনি শ্বাস প্রশ্বাস ব্যায়াম করতে যেভাবে বসবেনঃ
প্রাকৃতিক খোলামেলা পরিবেশে আসন করে বসুন, পিঠ এবং গাড় সোজা করে মাথা নাক বরাবর রেখে বুক টান টান করে বসুন। এবার ধীরে ধীরে একবার লম্বা শ্বাস নিন এবং তা একই ভাবে প্রশ্বাসে বের করে দিন, এভাবে পর পর চার বার করুন। এর পর স্বাভাবিক নিঃশ্বাস নিন আবার একই ভাবে প্রতিদিন ২০ বার করতে থাকুন। এতে আপনার মানসিক চাপ এবং শারীরিক অন্যান্য সমস্যা যেমন রক্ত চাপ নিয়ন্ত্রণ, হৃদ রোগ প্রতিরোধ হবে
(সংগৃহীত)
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ফেব্রুয়ারি, ২০১৬ দুপুর ১:৩৮