বর্তমান রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থার প্রেক্ষাপট এবং প্রত্যাশা......
বিএনপি নেতারা ডক্টর ইউনূসের দেখা করতে সময় চেয়ে এক সপ্তাহ ধরে ঘুরতেছেন। কিন্তু ইনটেরিম প্রধানের শিডিউল- ই পাচ্ছেনা। আর ওদিকে নাহিদ শুনলেন, ডক্টর স্যার গোস্সা করে পদ ছাড়তে চাইতেসেন- শোনা মাত্র সন্ধ্যায় তিনি গোসসা ভাঙাতে ডক্টর সাহেবের খাস কামরায় হাজির হলেন! ওদিকে ভিউ ব্যবসায়ীরা এবং আলবটর বাহিনীর ক্ষুদে চ্যালাপেলা তারস্বরে চিৎকার করে বলছে- ইনটেরিম প্রধান বিএনপির কারনে পদত্যাগ করতে যাচ্ছে।
আমার প্রশ্নঃ বিএনপি কেন ডক্টর ইউনূসের পদত্যাগ চাইবে? এতে বিএনপির লাভ কি? বরং বিএনপিতো ইনটেরিমকে আগলে রেখেছে সেই শুরু থেকেই। বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান প্রথম দিনের ভাষন থেকে যতবার তিনি কথা বলেছেন, ততবার তিনি ইনটেরিমকে সহযোগিতা করার কথা বলেছেন। তাহলে আলবটর বাহিনী আর জানাপা সব দোষ বিএনপির ঘাড়ে চাপাতে চাইছেন কেন?
আমার বিশ্বাস, ইনটেরিম যতটুকু বিতর্কিত হয়েছে তার অনেক খানি দায় ইনটেরিমের নিজেদের অযোগ্যতায়। আর অনেক খানি নয়া বন্দোবস্তের শ্লোগানে সদ্য প্রতিষ্ঠিত দল এনসিপির। "তোরা সব রাজুতে আয়" বলে দিকে দিকে মব ভায়োলেন্স কারা করছে? সরকার ও প্রশাসন এমনকি রাষ্ট্রের বিভিন্ন অর্গানে গিয়ে বিশৃঙ্খলা কারা করছে? সচিবালয় গিয়ে তদবির বানিজ্য কারা করছে।
বিএনপি তো কোথাও নেই, তাহলে?
ইউনূসের ইনটেরিম নিয়োগ দেয়া ইসি, সেই ইসির সামনে গিয়া এনার্কি কারা করছে?
সব কিছুতে বিএনপির দোষ খোঁজা ছিলো ফ্যাসিস্ট হাসিনা ও লস্করদের মজ্জাগত স্বভাব। সেই একই ভুত ভর করেছে, এনসিপি নেতাদের ঘাড়ে। যদিও জুলাইয়ের ১৫ তারিখের আগেও এই দলের অনেক নেতার ভাষা ছিলো- "প্রিয় আপা", "জননেত্রী", "গনতন্ত্রের মানষ কন্যা"।
মনে রাখতে হবে, রাষ্ট্র পরিচালনায় মান অভিমানের কোনো সুযোগ নেই। আপনাকে রুল করতে হবে। আরো ঋজু হতে হবে। ডক্টর ইউনূস ব্যর্থ হলে শুধু তিনি একাই ব্যর্থ হবেননা।পুরো বাংলাদেশ ব্যর্থ হবে। সুতরাং তাকে ব্যর্থ হওয়া চলবেনা। প্রয়োজনে কতিপয় উপদেষ্টাদের বাদ দিয়ে, দেশ ও দেশের মানুষের সাথে যাদের সম্পর্ক আছে তেমন মানুষদের নিয়ে নতুন উদ্যমে শুরু করতে হবে। আসলে ডক্টর ইউনূসের এখন পিছু হটার সুযোগ নেই। তাকে সফল হতে হলে তাকে তার ক্যাবিনেট রিসাফল করতে হবে। ডিসেম্বরকে টার্গেট করে একটি গ্রহনযোগ্য ইন্টারন্যাশনাল স্টার্ন্ডাডে একটি নির্বাচন করতে যা করনীয় তাই করতে হবে।
বর্তমান রাজনৈতিক টালমাটাল অবস্থায় প্রত্যাশা......
★ প্রধান উপদেষ্টা ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস পদত্যাগ করবেন না। কিন্তু তার উপদেষ্টা পরিষদ থেকে বিতর্কিত উপদেষ্টাদের মধ্য থেকে নিম্নোক্ত উপদেষ্টাদের পদত্যাগ/প্রত্যাহার করতে হবেঃ-
(১) আসিফ মাহমুদ সজীব ভুইয়া
(২) মাহফুজ আলম
(৩) খলিলুর রহমান
(৪) রেজওয়ানা হাসান
(৫) আদিলুর রহমান
(৬) মোস্তফা সরওয়ার ফারুকী
★ জাতীয় নিরাপত্তা বিষয়ে প্রধান প্রধান রাজনৈতিক দল এবং সশস্ত্র বাহিনী প্রধানদের পরামর্শ গ্রহণ করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
★ সারজিস আলম, হাসনাত আবদুল্লাহ, নাসির উদ্দীন পাটোয়ারী, হান্নান মাউসুদ গংদের সচিবালয়/ মন্ত্রণালয় অবাঞ্চিত ঘোষণা করতে হবে।
★ জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থান এর বর্ষপূর্তির দিন স্বৈরাচারী খুনি হাসিনা এবং তার দোসরদের বিচারের কয়েকটি রায় প্রদান করে রায় কার্যকর করতে হবে।
★ জুলাই-আগস্ট গণ অভ্যুত্থান এর বর্ষপূর্তির দিন সুস্পষ্ট নির্বাচনী রোড ম্যাপ দিতে হবে।
★ প্রধান উপদেষ্টা হিসাবে ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুস সাহেবকে উপদেষ্টা পরিষদ এবং প্রশাসনের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণ করতে হবে।
বাংলাদেশ জিন্দাবাদ।
সর্বশেষ এডিট : ২৪ শে মে, ২০২৫ সকাল ৭:১১