somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

জীবনের কিছু আজাব নামা...পর্ব-৯ ( এ্যাফেয়ারের ইন্টারভিউর দিন এইডা কি হইল?)

১২ ই জুলাই, ২০০৮ দুপুর ২:৫২
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

পরদিন শুক্রবার সকাল সকাল ঘুম থেইক্যা উইঠ্যা প্রস্ততি পর্ব শুরু করলাম, আইজকা এ্যফেয়ারের ফাইনাল ইন্টারভিও দিতে হইব... । সবার আগে জামা কাপড় ঠিক আছে কি না, কাপড়ে ইস্ত্রী লাগব কি না চেক করলাম... তারপর ভাল মত নাস্তা কইরা চিন্তা করতাছি আর কি কি করা দরকার, কোন কিছু বাদ পরছে কি না? মনে মনে প্লান করতে থাকলাম কি কি গল্প করুম... ইত্যদি হেন তেন...


(মেয়ে মানুসের ছবি দেওন নাকি ঠিক না, তাই নিজের ছবি দিলাম)

হটাত মনে হইল... আরে চুল গুলা একটু বেশী বড় হইয়া গেছে... হালকা একটা ছাটা দেওনের দরকার....
১১টার দিকে ভাবলাম যাই চুলে একটা কাট দিয়া গোশল কইরা নামজে যামু.. ইন্টারভিউ তো বিকালে ৪টায়...
চুল কাইট্যা সাড়ে এগারোটায় বাহির হইতে না হইতে ফোন আইল... জিগায় কি করি? কইলাম একটু বাহিরে গেছিলাম... এখন বাসায় ফিরতাছি... রিক্সায় বইস্যা বইস্যা পরী দেখি...

পরীর কথা শুইন্যাই মাথাটা গরম হইয়া গেল... কয় "তোমার চরিত্রের বদ অভ্যাসটা গেল না... মেয়ে মানুষ দেখলে চোখ কি সরাইতে পার না, চোখের আরাম লাগে না?"

আরে আমি তো অবাক? কইলাম.. আমার দুই চোক্ষের নজরের মধ্যে কোন মাইয়া মানুষ নাই.... কসম কাইট্য কইতাছি....

কয়, আবার মিথ্যা কথা... আমি না তোমাকে বলছি.. আমার সাথে সব সময় সত্যি কথা বলবা... এই মাত্র বললা পরী দেখতেছে... কি সুন্দরী মেয়ে দেখে মাথা কি সাথে সাথে নষ্ট হয়ে গেছে?

আমি হাইস্যা কইলাম আরে এই পরি সেই পরী না... এইটা হইল... আমার সামনের রিক্সার পিছনে একটা পরীর ছবি আকা আছে ওইটা দেখতাছি.....

আমার কথা শুইন্যা হাইস্যা দিল, মনে হইল যেন কিছুই হয় নাই ইমুন ভাব নিয়া কয়, শোন ফাজলামি করবা না... আমি যে কারনে ফোন করছি.. সেটা হল আজ বিকেলের দেখা করা কথা মনে আছে তো?

আমি কইলাম.. কিযে বল... মনে থাকব না আবার...

কইল.. হুম... টাইম মত রেডি থাকবা... আমি এসে তোমাকে নিয়া যাব...

কইলাম কোথা থেকে আমাকে তুলে নিয়া যাবা?

কইল.. তুমি ধানমন্ডি ২৭ এর মাথায় রাপা প্লাজাতে ঠিক ৩.৩০ এ থাকবা... আমি সময় মত চলে আসব.... একটু যেন দেরী না হয়। তোমার তো টাইম সম্পকে কোন হুস নাই। আজ যদি দেরী হয় তা হলে তোমার খবর আছে....
আর ভাল কথা, আসার সময় গত রাতে যে ভাবে ড্রেসআপ করে আসতে বলছি ঠিক সেই ভাবে আসবা... মনে আছে তো কিভাবে ড্রেসআপ করতে হবে?

কইলাম.. হ্যা তোমার সব কথা ঠিক ঠিক মনে আছে... কুনু ভূল হইব না... তুমি নিশ্চিন্ত থাকো...

কইল... আর ভাল কথা তোমার মাথার চুল যেন মাঝখানে সিথি করা না থাকে (আমার আবার চুল মাঝে সিথি করার অভ্যাস, এইটা নিয়া বহুত কথা শুনছি)

আমি কইলাম... "আরে এর জন্যইতো এই মাত্র সেলুন থেকে চুল কেটে টাক করে আসছি..."
আমার কথা শুইন্যা অবাক হইয়া কইল.. মানে????
মানে হইল... এতক্ষন তো আমি সেলুনে ছিলাম... সেলুন থেকে বাসায় যাইতেছি.... সেলুনে আইজ মাথাটা কামাইয়া একদম টাক কইরা ফেলছি....

আমার কথা শুইন্যা হায় হায় কইরা উঠল...
কয়, "সর্বনাস তুমি এইটা কি করলা...."
কি করলাম মানে? একদম ন্যাড়া মাথা... চাকচকে টাক্কু... একদম ক্লিয়ার,,, কইয়া হাসতে থাকলাম...

আমার কথা শুইন্যা একদম চুপ মাইরা থাকল... আমি কইলাম... কি ব্যাপার চুপ কইরা আছো ক্যান?

দেখি মন একদম ভাইঙ্গা গেছে... এদম ঠান্ডা গলায় কইল... "নাহ.... কিছু না... আমি তো ওদের বলে ফেলেছি আজ আসার জন্য.... তোমার সাথে দেখা করিয়ে দিব... এখন কি করে দাওয়াত ফিরিয়ে নিব, ভাবতেছি.... "

আমি কইলাম কেন? দাওয়াত ক্যানসেল করাবা ক্যান? আবার কি হইল...?

কইল... তোমার টাক মাথা নিয়া আমি কি ভাবে ওদের সাথে পরিচয় করে দিব?

আমি কইলাম... মাথা টাক করা এই যুগের একটা ফ্যাশন...এইটা কি তুমি জান? রোনান্ডো রে দেখছ? ওই কত বড় বড় প্রোগামে যায় টাক মাথা নিয়া... আর আমি টাক কইরা কি দোষ করলাম? ইউরোপ আমেরিকার বহুত বড় বড় মডেল গুলা মাথা টাক কইরা রাখে... ফ্যাশন টিভিতে টাক মাথা ওয়ালা একটা মাইয়া মডেলও দখছিলাম... উন্নত দেশে মাইয়া মানুসেরও টাক করনে রেওয়াজ আছে....

আমার লেকচার শুইন্যা চিক্কর দিয় উঠল... তুমি তো মডেলদের বাপ... সো তোমার মাথা তো এখনই টাক করতে হবে.... টাক করার আর সময় পেলা না.? তোমাকে না বলছি কিছু একটা করার আগে আমার সাথে আলোচনা করে করবা?

আমি কইলাম... গত রাতে তো তুমি চুল সম্পর্কে আমাকে কিছুই বলো নাই.... তাই সকালে উঠে চিন্তা করলাম... তুমি সব কিছু কম্পর্কে ইর্ন্সট্রাকশন দিছো, আর যেহেতু চুল সম্পর্কে কিছু বল নাই, তাই চুল নিয়া একটা কিছু করলে তোমার কোন আপত্তি থাকব না...

আমার কথা শুইন্যা মনটা খারাপ কইরা কয় "তুমি তো আমাকে ঝামেলায় ফেলে দিলা... কি যে করি? "
বহুত পেরেশান মনে হইল.... চিন্তা করলাম... আর পেচানো ঠিক হইব না.. সত্যি কথা কইয়া দেই... নাইলে আবার ঝাড়ি খাইতে হইব...

কইলাম...আরে তুমি চিন্তা কইরো না... আমি আসলে মাথা টাক করি নাই... জাস্ট চুল একটু কাটিয়েছি... সামান্য একটা ছাটা দিসি...তোমার সাথে মজা করলাম...

মনে হইল যেন হাপ ছাইড়া বাচল.... কইল... সব সময় সিরিয়াস বিষয় নিয়া এই রকম ফাজলামী করবা না.... আমি অনেক টেনশনে পরে গিয়েছিলাম.... যাই হোক... আমি কি বলছি মন দিয়া শোনো.... মাথায় কোন প্রকার তেল টেল দিবা না.. নো জেল মাখা মাখি... তোমার তো আবার হটাৎ হটাৎ হেয়ার জেল মাখার শখ হয়।

আমি হাইস্যা কইলাম.. একটু আগে কইলে তো “বাবর“ কাট দিয়া হেয়ার জেল মাইখ্যা আসতাম... কি জোস হইত না? বাবর বাবর লাগত.... অফটার অল প্রাক্তন স্বরষ্ট্র মন্ত্রী.... :)

কইল হুম... বাবর সাহেব এখন কোথায় আছে সেটা কি আপনি জানেন... বাবর স্টাইল করলে সোজা তোমাকে বাবরের সাথে পাঠাইয়া দিব....

কইলাম.. থাক বাবা, বাবরের সাথে জেলে যাবার দরকার নাই... আমাকে আর কি কি করতে হবে সেই ব্যাপারে বল...

কইল... "মাথার মাঝে সিথি হবে না... সামনের চুল একটু এলোমেলো থাকবে.... ভাল করে স্যাম্পু করা হবে.... মুখে কোন প্রকার ক্রিম ব্যবহার করবা না.. যেন তেল চকচকে না হয়.... ভাল পরফিউম ব্যবহার করতে পার... "
কইলাম তোমার দেওয়া TOMMY BOY টা কি লাগাইতে পারুম... ওইটা তো ৩ হাজার টাকা দিয়া কিইন্যা দিছিলা...
কইল হ্যা ... ""ওটা করতে পার... ওটা সুন্দর ফ্লেভারের একটা পারফিউম.... আর ভাল কথা জিনিসের নামের সাথে টাকাটা ক্যান বললা... এই ধরনের চিপ কাজ করবা না.. ওরা যদি বলে পারফিউম টা সুন্দর তখন কখনোই বলবা না যে এটা আমি কিনে দিয়েছি...

আমি কইলাম... এইটা কিমুন কথা তুমি আমারে শখ কইরা একটা পারফিউম কিইন্যা দিলা আর এই কথা আমি তোমার বান্ধবীদের সাথে বলতে পরব না... আমি কি চুরি কইরা আনছি না তুমি চুরি কইরা কিইন্যা দিসো?

আমার কথা শুইন্যা একটু গরম হইয়া কইল, যা বোঝ না তা নিয়া বেশী কথা বলবা না... যা বলছি তাই করো.....

আচ্ছা ঠিক আছে আর কি কি করতে হবে... তারাতারি বল...

কইল.. সু পরে আসবা.... সু টা যেন ভাল ভাবে পলিশ করা থাকে... আর দুপুরে কি নামাজ পড়তে যাবা?
কইলাম হুম...এখন বাসায় গিয়া গোশল দিমু তারপর ডাইরেক্ট জুম্মার নামাজে....

নামাজের কথা শুইন্যা একটু খুশি হইয়া কইল... গুড... নামাজের পর আমাদের জন্য দোয়া করবা...

আমি অবাক “আমাদের জন্য”? মানে? আমাদের ক্যান বললা?
বাহ আমার জন্যও করবা... তোমার আমার দুইজনের জন্যই দোয়া করবা...

ঠিক আছে তা করব... কিন্তু তোমার জন্য কি দোয়া করব?

কি দেয়া করবা? আমাদের মঙ্গল কামনা করে দোয়া করবা....

আমি মনে মনে কইর আইজ সূর্য কুন দিক দিয়া উঠল... আর আমি কার মুখ দেইখ্যা ঘুম থেইক্যা উঠলাম...

আমি কইলাম.. "আমি আমার জন্যা দোয়া করুম... তোমার জন্য পারুম না... তুমি কেডা.... তুমি তো আমার কেউ হও না...তুমি আমারে পছন্দ করা না... আমার লগে এ্যাফেয়ারে আইতে চাও না...আইজ কত দিন ধইরা তোমারে কইতাছি রাজি হইতে, রাজি হও না..."

যদি হয়ে যাই, কইয়া ফিক কইরা হাইস্যা দিল...

কইলাম.. যেদিন রাজি হইবা সেইদিন.. সারাদিন দোয়া করুম... তার আগে না... আমি কারো লাইগ্যা ফ্রি দোয়া করি না... ফ্রি দোয়া করে এক মাসজিদর ইমাম সাহেবরা আর পীরের দল... আমি ইমাম ও না পীরও না... তবে যদি ১০টাকা দেও তাইলে দোয়া করতে পারি....

কইল... 'নিজের মানুষের' জন্য দোয়া করতে ১০ টাকা লাগবে... ঠিক আছে দরকার নাই.... তোমার দোয়ার....

আরে!!!! "নিজের মানুষ!!!..." এইটা কি কইল.... না না... তাইলে ঠিক আছে... আমি ১০০বার দোয়া করুম... কইয়া হাইস্যা দিলাম...
নিজের মানুষ কথাটা শুইন্যা কি যে ফুর্তি লাগল... এইটা কইয়া লিইখ্যা বুজানো যাইবো না... এইটা হইল.. ফিলিংন্সের ব্যপার..... মনে হয় যেন রিক্সা থেইক্যা ফাল দিয়া পইরা .. রাস্তায় গড়া গড়ি খাই....

কইল... আমি এখন গোসল করতে যাচ্ছি... তার পর খাওয়া দাওয়া করে রেডি হব... আর তুমি দেরী করবা না, টাইম মত রাপা প্লজাতে থাকবা.. মনে থাকে যেন ঠিক ৩.৩০ এ... ওকে বাই.....

তারাতারি বাসায় গিয়া গোসল কইরা মসজিদে গেলাম.. নামাজের পর... ক্যান যানি... ওর লাইগ্যা দোয়া করতে হেভী ফুর্তি লাগতাছিল.... কি যে ফুর্তি লাগতাছিল বুজাইতে পারুম না.....দেয়া কলাম.. আল্লাহ ওরে এক্ষনি আমার কোলে আইন্যা ফালাইয়া দাও... তুমি তো সবই পারো... কত মানুষের দোয়ার মাঝে হাতের মধ্যে ফলমূল ফালাইয়া দিছ খাওনের লাইগ্যা... আমারেও সেইরকম... ওরে আইন্যা ডাইরেক্ট আমরা কোলে ফালাইয়া দাও....

অন্যান্য দিন দেখি ইমাম সাহেব.. ইমুন দোয়া শুরু করে মনে লয় যেন... আজকার দোয়া থামব না.. কেয়ামত পর্যন্ত চলব... আর শালা আইজ ... আমার দোয়া শেষ না হইতে হইতে আমিন কওয়া শুরু কইরা দিছে..... শালা.. একটু লম্বা দোয়া করলে কি অসুবিধাটাই হইয়া যাইতো? শালা আমি পাচ ওয়াক্ত নামাজ পরি না বইল্যা কি একটু লম্বা দোয়া করতে দিবি না?
ইচ্ছা করতাছিল ইমাম সাহেবরে কই, ইমাম সাব আবার নতুন কইরা দোয়া শুরু করেন.. আমর দোয়া এখনো শেষ হয় নাই.... আমারটা শেষ হইল.. আমি আওয়াজ দিমু তারপর আপনি আমিন কইয়া শেষ করবেন....

তারাতারি বাসায় আইস্যা খাওয়া দাওয়া কইরা একটু টিভি দেখতাছি... মাগার ক্যান যানি টেনশন লাগতাছে... ধূর বাজে মাত্র ২.৩০ আরো ১ ঘন্টা বাকি....

সোয়া ৩ টার দিকে রেডী হইয়া রাপা প্লাজার সামনে দারাইয়া থাকলাম... দেখী আসে না... ৩.২৫ এ ফোন দিল.. জিগাইল কি করি? কইলাম.. রাপাপ্লাজার ভিতরে ঘুরতাছি.... কইল ঠিক আছে... আমি চলে আসছি... তুমি নামো... বাহির হইয়া দেখি গাড়ির ভেতরে বইস্যা আছে, এ তো দিখি একদম পরি সাইজ্যা বইস্যা আছে..... আইজ হেভী লাগতাছে.... হালকা পিংন্ক কালারের একটা ড্রেস পরছে.... যা লাগতাছে না.. মনে হয় গায়ের কালারের সাথে মিইশ্যা গেছে...

আমারে দেইখ্যা ইশারা করল... গাড়িতে গিয়া উইঠ্যা বসলাম....ড্রাইভাররে কইল গুলশান-২ এর দিকে যাইতে।
আমি তো হা কইরা দেখতাছি...
আমারে জিগায় "কি দেখ...?""
কইলাম.. আসমানের পরি দেখি.... পরি যে কুন ফাক দিয়া দুনিয়ায় চইল্যা আইছে মানুষ তা টেরই পাইল না...."
আমারে কয় বাজে কথা বলবা না.. আমি কইলাম পরি কওয়া যদি বাজে কথা হয় তাইলে... আমার কান কাইট্যা কুত্তার গলায় দিমু....

বেশ মজা পাইল... হাইস্যা দিয়া কইল... এই ড্রেসটা পাকিস্তান থেকে আনছিলাম... অনেক দিন ধরে পরা হয় নাই.... তাই একটু অন্য রকম লাগছে... ড্রেসটা একটু টাইট হয়ে গেছে....
আমি কইলাম.. হেভী সেক্সী লাগতেছে...
কথা শুইন্যা ক্ষেইপ্যা গেল... কইল... তোমার মুখে কি কোন ভাল কথা আসে না...
তার পর একটু গম্ভীর হইয়া কইল দেখী আজ তোমাকে কেমন লাগছে? কইয়া আমার দিকে গভীর ভাবে পর্যবেক্ষন করতে লাগল... দেখী জুতা... একটু সাইডে ঘোরো... ওইদিকে... ইত্যাদি কইয়া আমারে চার দিক থেকে দেখল... তার পর কইল... আজ তোমাকে জোস লাগছে....

আমি কবিতা বানাইতে লগলাম...
" আমার দেইখ্যা তোমার লাগছে জোস...
আর তোমারে দেইখ্যা আমার নাই হুস..."

বিজয় স্বরনীর জ্যামে আটকা থাকার সময় হটাৎ কয় আরে... তোমার মুখ তো ঘেমে গেছে... মুখটা মোছো.. কইয়া গাড়ি থেকে ট্যিসু পেপার নিয়া মুখটা মুইছ্যা দিতে লাগল...
আমার তো লজ্জা লাগতে লাগল... আশে পাশের গাড়ির পাবলিক দেখতেছে একটা মাইয়া পুলার মুখ মুছাইয়া দিতাছে... আমি কইলাম.. আরে আমার কাছে দাও.. আমি মুছি...
কয় না... আমি ভাল করে মুছে দিতেছি তাতে কি তোমার কষ্ট হইতেছে? মুখ এই দিকে ঘোরাও ওই দিকে ঘোরাও... হেন তেন কইয়া ট্যিসু দিয়া মুইছ্যা দিল...

হটাৎ কয় এক কাজ কর... মুখে একটু পাওডার দাও তো.. তা হলে তেল তেলে ভাবটা আর হবে না...
আমি কইলাম.. এখন পাওডার কই পামু?

কইল.. দাড়াও.. কইয়া লগের পার্সটা খুইল্যা এর ভিতার থেকে একটা ছোট চার কোনা সুন্দর একটা বক্স বাহির করল... হেইডা দেখি একটা পাওডার মেকআপ বক্স...

মেকাপ বক্স খুইল্যা তার ভিতর থেকে একটু কি যেন স্পন্জ কেক এ লাগাইয়া আমার দিকে আইতাছে... আমি কইলাম... আর আরে কি কর... আমারে মেকাপ লাগাইবা না... এই গুলা তো মাইয়া মানুসের লাইগ্যা...
একটা চিল্লান দিয়া কয় বেশী কথা বলবা না... একদম চুপ করে বসে থাকো....
আরে কি মুসকিল.... আমি কি করুম... আমি কি মাইয়া মানুস নাকি? না আইজ আমারে মাইয়া মানুস সাজাইবা.... হায় হায়... এ কি মুসকিলে পরলাম.... আমারে তো হিজরা বানাইব....:(

যতই না করি... কিছুতেই কিছু বুজানো যায় না.... বহুত চেষ্টা করলাম... খালি ঝাড়ি মারে....
মেজাজটা আমারও খারাপ হইয়া গেছে.... আমারে তো মেয়ে-ছেলে সাজানুর চেষ্টা চলতাছে....

কইলাম.. দেখো প্লিজ আমি তোমার সব কথা মানি কিন্তু এই মেকাপ লাগানোর কাজটা করবা না... না হলে আমি এখন গাড়ি থেকে নাইম্যা চইল্যা যামু....
না পাইরা কয় আচ্ছা ঠিক আছে....কোন মেকাপ করব না যাষ্ট স্পন্জ টা দিয়া মুখটা একটু মুছে দিব..... এইটা না করবা না...
কি আর করা...... মনের মধ্যে দুক্ষ নিয়া রাজি হইলাম....

মুখটা স্পন্জকেক দিয়া ব্রাস কইরা দিল.... লজ্জায় আমি মইরা যাই....... তার পর কয় দেখি তোমার মাথার চুলের কি অবস্থা .... চুল দেইখ্যা কয় ঠিক মত চুল গুলা এলোমেলো হয় নাই... দাও করে দিই.... আমি কইলাম মানুষ চুল আচড়াইয়া দেয়া আর তুমি এলোমেলো কইরা দিল....
কয় বেশী বুঝবা না... কইয়া চুলা গুলা হাত দিয়া এলোমেলো কইরা দিল..... আমি কইরাম... তুমি তো আমার লাইফটারেই এলোমেলো কইরা দিবা... বেশীদিন ঠিক থাকতে দিবা না.....

যাইতে যাইতে তার বিশিষ্ট দুই বান্ধবী সম্পর্কে বয়ান দিতেছিল.....তাদের নাকি বহুত রুপ সৌন্দর্য....
আবার কইল... তাদের অভিমতের উপর নির্ভর করে তোমার সাথে আমার সম্পর্ক হওয়া না হওয়া নির্ভর করবে... শুইন্যা আমার মেজাজ খারাপ হইয়া গেল...

কইলাম... তুমি যদি আমার লগে এফেয়ারর না করলে, আমি তোমার বান্ধবীদের লগে প্রেম করুম....
কথাটা কওনের সময় চিন্তা ভাবনা না কইরা কইয়া ফেলাইছিলাম.... হায় হায় এইডা আমি কি করলাম... প্রট্রোল এ আগুন লাগাইয়া দিলাম... ডাইরেক্ট আগুন... চারি দিকে আগুন আর আগুন.... আইজ আর রক্ষা নাই....

লগে লগে... বিশাল একটা চিক্কর মাইরা কয়.... "কি বললা? তোমার মুখে ইতরের মত কথা বার্ত কেন বের হয়? ওরা কারা তা তুমি জান? ওরা হল তোমার ছোট বোনের মত... ওদের দিকে বোনের দৃষ্টিতে তাকাবা.... ওদের কে তুমি আপু বলে ডাকবা...."
আমি ডরে ডরে কইলাম... আচ্ছা ঠিক আছে.. আমি আপু কইয়া ডাকুম... ওরা তো আমার থেকে বড় হবে ... সুতরাং আপুই তো হবে....

আবার বেশী কথা বলছ ক্যান? আর শোন... ওদের দিকে বেশী তাকিয়ে থাকবা না... একটু কম কম তাকাবা... তোমার তো আবার সুন্দর মেয়ে দেখলে চোখ সরে না...

আমি কইলাম.. কি যে বল... তুমি যতই না কর আমি তাকাইয়া থাকুম... আমি চোখ ফিরামু না... আমি আজই মন প্রান ভইরা রুপ সোন্দর্য দেখুম... কেউ আমারে থামাইতে পরব না...

রাইগ্যা কইরল মানে? তুমার মতলব কি? তুমি কি করতে চাও....

হাইস্যা দিয়া কইলাম.....তুমার থেকে আর কে বেশী সুন্দর হতে পারে.... তোমার মত এই রকম সুন্দর সেক্সী মাইয়ার দিকে তাকাইয়া থাকুম না তো কার দিকে তাকামু? যতই না কর তাকাইয়া থাকুমই...

পাম পট্টি খাইয়া একটু খুশি হইয়া গেল....
যথা সময়ে গুলশান ২ থেকে বারিধারা যাওনের রাস্তার দিকে "ক্যাফে ম্যাংঙ্গো" তে আসলো...

তার পর ওই নিচে থাকতেই ফোন দিল... জানতে পারল.. বিশিষ্ট দুই বান্ধবী ক্যাফের এর মধ্য বইস্যা ওয়েট করতেছে.... আমি কইলাম তোমার বান্ধবীরা কি .. "মাং" এর মধ্যে ডুইক্যা গেছে? .....

এই কথা শুইন্যা তেলে বেগুনে চেইত্যা উঠল.... কইল... এই ইতর কোথাকার... মুখে কোন কথা আটকায় না?
আমি কইলাম, আমি বাজে কথা কই কইলাম? ক্যাফে ম্যাঙ্গোরে একটু সর্ট কইরা “মাং“ কইলাম.. তাতে দোষ কোথায়?

চেচান দিয়া কয়, তোমার মত এই রকম বাজে লোক নিয়া তো ওদের সাথে পরিচয় করে দেওয়া যাবে না....না, আমি যাব না...... তুমি বাসায় চলে যাও... আমি তোমাকে ওদের সাথে পরিচয় করে দিব না... এই কথা কইয়া হন হন কইরা আবার গাড়িতে উইঠ্যা বইয়া রইল... আমি তো ধরা খাইয়া চুপ মাইরা গেছি.... হায় হায় .... তীরে আইস্যা তরি ডুবাইলাম.... অহন কি করি....

পরে হাতে পায়ে ধইরা মাপ চাইয়া বহুত কষ্টে রাজি করাইছি... কইছি আর জীবনেও বাজে কথা কমু না....

যাক ক্যাফেতে ডুকলাম.. দেখী বিশিষ্ট দুইজন অনিন্দ সুন্দরী ঠ্যাং এর উপর ঠ্যাং তুইল্যা একটা সোফায় বইস্যা আছে... দেইখ্যাই আমার মন ভাল হইয়া গেছে.... আহ... এ যেন বাহেশতের পরী আইস্যা বইস্যা আছে.... ঝারি খাওনের কথা একদম ভূইল্যা গেলাম.... মনেই আসে নাই একটু আগে আইতে আইতে কত গুলি ঝাড়ি খাইছিলাম.... জানি না আমার গায়ের চামড়া গন্ডারের মত মোটা না আমার মন ভূলা...

দেইখ্যাই বুজা যায় এই গুলা হইল... বড় লোকের আদুরের কন্যা.... মনে হয় যেন দুইট্যা মুরগীর তুলতুলে ছোট ছোট বাচ্চা বইস্যা রইছে....

পরিচয় পর্ব শেষ হইল... নাম জিগাইলাম... কি করে, কোথায় পড়াশুনা করে... ইত্যদি.. কইল..নর্থসাউথ এ বিবিএ তে পরে...
মাশাল্লা এক একজনের গায়ের রং যেন দুধে আলতায়... মাখানো... চুল কাইট্যা কত যে কারিসমা করছে.. আর সাড়া শরীরে .. কত কিযে লাগাইছে... হেইগুলা আমি চিনি না...

খুব ষ্টাইল কইরা কথা কয়... অগো সামনে কথা কইতে আমার সত্যিই সরম লাগতে লাগল... আমার নিজের খুবই ক্ষেত ক্ষেত লাগতেছিল... মাগার এখন তো পালানোর কুনু পথ নাই.... মনে হইল যেন পুটি মাছ হইয়া গেছি....

মনে হইল.. শর্ত ১ নং এর কথা... খুব কম কথা বলবা.. পার্সনালাটি নিয়া চলবা...
তাই একটু চুপ মাইরা রইলাম... কথা আর বাড়াইলাম না...

একটু পরে কইলাম... বসে না থেকে আমরা অর্ডার দিতে পারি.... কারন খাবার আসতে সময় লাগবে... সে সময়টা আমরা গল্প করতে পারব... আর আমার হাতে সময় খুবই কম.. বেশী সময় বসতে পরব না... একটা মাইয়া জিগাইল.. ক্যান আজ আবার কোথায় যাবেন?
কইলাম. একটু কাজ আজে... একটা মেটিং আছে.. সেখানে যেতে হবে... বেশী দেরী করা যাবে না...

যার যার পছন্দ মত খাবার অর্ডার দিতে কইলাম... সবার অর্ডার দেওনের শেষে আমি কইলাম... এক বোতল মিনারেল ওয়াটার তোমার জন্য নেই? আমার কথা শুইন্যা দুই বান্ধবী একটু অবাক হইয়া তাকাইয়া রইল... কইল ক্যান ড্রিংক্স তো অর্ডার দেয়া হয়েছে... আমি কইলাম তুমি তো আলাদা করে পানি একটু বেশী খাও তাই পানিটা তোমার জন্য..... মাইয়া দুইটারে বুজাইয়া দিলাম... আমি কত্ত খবর রাখি....

যাই হোক ৩ মাইয়া এক হইলে যা হয... ৩ জন মিইল্যা তুমুল গল্প শুরু কইর দিছে... পাখির মত কিচির মিচির শুরু কইরা দিছে... মাঝে মাঝে দেখি খালি ইংলিশ হিন্দি/ উদ্দু মিশাইয়া কথা কইতেছে... আমি তো আবার ওই ৩ ভাষাতেই বিশাল জ্ঞানী মানুষ তাই মাথা মন্ডু কিছুই বুঝলাম না... শুধু জ্ঞানী মানুষের মত মাঝে মাঝে মাথা নাড়াইয়া গেলাম... আমার রাডারে এইটুকুই ধরা পরল যে ওরা মনে হয় হিন্দি মুভি আর ডেইলী সোপ গুলা নিয়া আলোচনা করতাছে...

খাবার আসল... সবাইরে খাবার নিতে কইলাম... ওর দিকে খাবার আগাইয়া দিলাম.... ওর প্লেটে সস ডাইল্যা দিলাম... গ্লাসে পানি ডাইল্যা দিলাম... আর একটু খাবার নেও... এইটা বেশ মজ্যা হইছে... এইটা আর একটু নেও.... চিকেন কি আর এক পিস দিব জিগাইলাম?... আর মাঝে মাঝে ওর দিকে খাবারের প্লেট গুলা টাইন্যা দিলাম.. এক কথায় কামের পুলার মত সব কাম কইরা দিলাম....

দেখলাম খুবই খুশী হইতাছে.... এই ভাবে সেবা যন্ত কইরা খাওনের পর্ব শেষ করলাম....
খাবার শেষে আবার সোফাতে বইস্যা ৪ জন মিইল্যা গল্প করতাছি... হটাত আমি কইলাম... আমি একটু নিচের থেকে আসি... কইয়া নিচে গেলাম.... ওই চান্সে দেখী খাবারের বিল দিয়া দিছে.... উপরের আইস্যাই কইলাম... আমার হাতে টাইম কম আমাকে আর এক জায়গায় যেতে হবে... তখন একটা বান্ধবী কইল তাহলে চল আমরা আইসক্রীম খাইতে ''মূভএনপিক'' এ যাই.... ঠিক হইল.. ওরা ৩ জন যাইব মূভএনপিক এ আর আমি আমার কামে....

সিড়ি দিয়া নামনের সময় দেখি দুইটা পুলা আমাদের একটু দূরে বইস্যা ছিল... আর ওর দিকে হা কইরা তাকাইয়া আছে... আমি সিড়ি দিয়া নামতে নামতে ওরে কইলাম.. মোটকা পুলাটারে দেখ.. ক্যামনে হা কইরা তাকাইয়া আছে... মনে হয় মুখ দিয়া লোল পরতাছে.... ওই কইল... পরুক লোল ...

ওমা নিচে নাইম্যা ওরা যখন গাড়িতে উঠতে যাইবে... তখন ওই আমারে কইল.. তুমি এক কাজ কর, আমার গাড়ি নিয়ে তুমি চলে যাও... আমি বান্ধবীদের সাথে আইসক্রীম খেতে যাচ্ছি... তুমি পৌছে গাড়ি পাঠিয়ে দিও... ড্রাইভারকে কইয়া দিল কোথায় আসতে হইব....

ওরা ৩ জন ওদের গাড়িতে উঠার পর খেয়াল করলাম... ওই দুইটা পুলা দৌড়াইয়া নাইম্যা আইল... আইয়া তাগো ড্রাইভারের কইল.. “তুই এই খানে থাক..আমরা পরে আইতাছি"। এই কথা কইয়া পুলাটা নিজেই ড্রাইভ করা শুরু করতাছে.... লাগে লাগে আমার কিমুন যানি একটু সন্দেহ হইল....

ওদের গাড়ি ছাড়ার পর আমি ওদের পেছনে পেছনে বের হইলাম... দেখী ওই পুলা দুইটা... আমার পেছনে আইতাছে.... তারপর আমার গাড়ীর পাশ কাটাইয়া ওদের পিছনে পিছনে যাইতাছে....

ঘটনা তো খারপ.. ওগোরে ফলো করতাছে.... কিমুন যানি একটা ডর লাগতাছে... এই সব বড় লোকের পুলাপাইনের স্বভাব চরিত্র খু্বই খারপ....

আমি লগে লগে ওরে ফোন করলাম.. কইলাম... তোমাদের পেছনে পেছনে ওই দুইটা পুলা আইতাছে... কয় কোন পুলা? কইলাম... আমার নামার সময় যে দুইটা পুলা হা কইরা তোমারে দেখতে ছিল... আর লোল ফেলাইতেছিল.....
আমারে কইল... তুমি চিন্তা করো না, আমার সাথে আরো ২টা মেয়ে আছে.... সো চিন্তার কোন ব্যাপর নাই... আর এই রকম বহুত ধারি বাজ ছেলেপেলে আমার দেখা আছে....
মনে মনে একটু শান্তনা পাইলাম... ওই তো ছোট থেকেই গুলশান এলাকাতে বড় হইছে... সুতারাং এলাকাটা ওর খুবই ভাল ভাবে চিনা আছে... ডরানোর কুনু কিছুই নাই.... শুধু কইলাম... একটু সাবধানে থাকবা....

কইল.. তুমি কিছুই চিন্তা করো না... আমরা আইসক্রীম খেয়ে বাসায় চলে যাব....

কিছু দূর যাওনের পর মনটা কেমন যানি খচ খচ করতে লাগল.... বড়লোকের পুলা ওর পিছনে লাগছে... তাইলে মাগার আমার আর চান্স রইল না.... মনটা খুবই ছটফট করতাছে....

কি করুম বুঝতাছি না.... দোস্তো গুরু রবিনরে ফুন দিলাম.... কইলাম... দোস্তো ঘটনা তো খারাপ.... ওর পিছনে চেলী লাগতা হ্যায়.... রবিন কইল সর্ট কইরা কয়... ঘটনা কি.... প্যাচাইয়া ত্যানা বানাইস না... ক্লিয়ার কর...

পুরা ঘটনা কইলাম... কইলাম... আমার মনটা খালি ছটফট করতাছে.... কিছুতেই শান্তি পাইতাছি না...

দোস্তো রবিন সব শুইন্যা গম্ভীর ভাবে কইল.... এই গুলা বড়লোকের ছাড়া গরু... সারা দিন মাইনস্যের বাগানে চইড়া ঘাস খাইয়া বেড়ায়.... এই গুলারে কেউ বাইন্ধা রাখতে পারে না... এইগুলার দরকার “পাজুনের বারি...

দোস্তো আমি কি করুম তাই তারা তারি কয়....
রবিন কইল... এক কাজ কর.. তুই... মূভএনপিক এ চলে যা... কইবি যে যার সাথে দেখা করার কথা ছিল তার সাথে এ্যাপয়েন্টমেন্ট ক্যানসেল করা হইছে.... তাই ফিইরা আইসোস... এই ছোতা দিয়া ওই খানে বইস্যা থাকবি আর ঘটনা কুন দিকে যায় আমার জানাবি... খুব খেয়াল... ওই সব বড় লোকের "ছাড়া গরুর" সাথে সরাসরি ক্যাচাল এ যাবি না... ওগো লগে তুই পারবি না... ওগো ট্যাকার জোর অনেক বেশী... খুব খিয়াল কইরা... তবে বেশী চিন্তা করিস না....

তখন গাড়ি ইকবাল টাওয়ারে সামনে... ড্রাইভারের কইলাম.. গাড়ী ঘোরান... আপনাকে আমারে নামাইয়া দিয়া যে খানে যেতে বালছিল সেই খানে যান.... ড্রাইভার আমার ফোনের কথা মনে হয় সব শুনছে.... কইল... "ভাইয়া আপনি চিন্তা কইরেন না... আপারে তো আমি বহুত দিন ধইরা চিনি.... উনি যে কি জিনিস... হেইডা পুলা দুইটা একটু পরে বুঝব.... নাকে ক্যামনে দড়ি দিয়া হাল চড়াইতে হয় হেইডা আপা ভালই জানে...." পরে বুজলাম ড্রাইভার সত্যি কথাই কইছিল..

আমি কইলাম.. আপনি দেরী না কইরা তারা তারি যান.... মূভএনপিক এর সামনে ড্রাইভার নামাইয়া দিল.... ততক্ষনে আধা ঘন্টা পার হইয়া গেছে....

আমি মূভএনপিক এ ডুকার সাতে সাথে যে ঘটনা দেখলাম... তা এক অবিস্বরনীয় ঘটনা... যেইটা না কইলেই না.... বিরাট এলাহী কান্ড ঘইট্যা গেছে....


(অনেকে অভিযোগ করেন পর্ব গুলা নাকি বড় হয়ে যাচ্ছে তাই আগামীতে সেই ঘটনার পরবর্তী অংশ)

-------------------------------------------------------------------

(মনের কিছু দুক্ষের কথা কইতাছি.... কেউ কোন বাজে মন্তব্য করবেন না...যন্ত্রনা কিভাবে শুরু হইছে আইজ তার বয়ান দিমু.... ফান্দে পরি বগা কান্দে)

পুরাতন পর্বঃ

পর্ব-১
পর্ব-২
পর্ব-৩

পর্ব-৫
পর্ব-৬
পর্ব-৭
পর্ব-৮
সর্বশেষ এডিট : ২০ শে জুলাই, ২০০৮ রাত ৯:৪৯
৬৮টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর পূর্বের ৫০টি মন্তব্য দেখুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বিসিএস দিতে না পেরে রাস্তায় গড়াগড়ি যুবকের

লিখেছেন নাহল তরকারি, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৫৫

আমাদের দেশে সরকারি চাকরি কে বেশ সম্মান দেওয়া হয়। আমি যদি কোটি টাকার মালিক হলেও সুন্দরী মেয়ের বাপ আমাকে জামাই হিসেবে মেনে নিবে না। কিন্তু সেই বাপ আবার ২০... ...বাকিটুকু পড়ুন

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। আমের খাট্টা

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৪



তাতানো গরমে কাল দুপুরে কাচা আমের খাট্টা দেখে ব্যাপারটা স্বর্গীয় মনে হল । আহা কি স্বাদ তার । অন্যান্য জিনিসের মত কাচা আমের দাম বাড়াতে ভুল করেনি... ...বাকিটুকু পড়ুন

ডাক্তার ডেথঃ হ্যারল্ড শিপম্যান

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১:০৪



উপরওয়ালার পরে আমরা আমাদের জীবনের ডাক্তারদের উপর ভরশা করি । যারা অবিশ্বাসী তারা তো এক নম্বরেই ডাক্তারের ভরশা করে । এটা ছাড়া অবশ্য আমাদের আর কোন উপায়ই থাকে না... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমার ইতং বিতং কিচ্ছার একটা দিন!!!

লিখেছেন ভুয়া মফিজ, ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৩:০৩



এলার্ম এর যন্ত্রণায় প্রতিদিন সকালে ঘুম ভাঙ্গে আমার। পুরাপুরি সজাগ হওয়ার আগেই আমার প্রথম কাজ হয় মোবাইলের এলার্ম বন্ধ করা, আর স্ক্রীণে এক ঝলক ব্লগের চেহারা দেখা। পরে কিছু মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন

কে কাকে বিশ্বাস করবে?

লিখেছেন অনিকেত বৈরাগী তূর্য্য , ২৭ শে এপ্রিল, ২০২৪ সন্ধ্যা ৬:৩৯


করোনার সময় এক লোক ৯৯৯ এ ফোন করে সাহায্য চেয়েছিল। খবরটা স্থানীয় চেয়ারম্যানের কানে গেলে ওনি লোকটাকে ধরে এনে পিটিয়েছিলেন। কারণ, ৯৯৯ এ ফোন দেওয়ায় তার সম্মানহানি হয়েছে।

সমাজে এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

×