somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

আজমেরীর জন্য ব্লগাররাঃ একটি জীবন বাঁচানোর কাহিনী

২৬ শে ডিসেম্বর, ২০১০ রাত ২:৪৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আসুন আগে আমরা একটা ছবি দেখি-

ছবিটা অনেক আগের, প্রায় এক বছর হতে চললো। স্মৃতির পাতায় ধুসর হতে হতে প্রায় ফিকে হয়ে গেছে... এক বোনের আকুতি নিয়ে এসেছিলাম আপনাদের, আজমেরীর ভাই-বোনদের সামনে। এ এক জীবনকে মৃত্যুর দ্বারপ্রান্ত হতে টেনে আনার গল্প, হ্যাঁ, এখন হয়তো গল্পই মনে হবে। কারন, তারপর যা হয়েছে সেটা ইতিহাস। হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন কয়েকশো ভাই, বোনটিকে পিছলে যেতে দেন নি অন্ধকারের অতল গহ্বরে। তিল তিল করে জমা হয়েছে ভালোবাসা । জমা হয়েছে আহবান... হৃদয়ের গান

আমরা আজ বলবো আমরা পেরেছি। একটি জীবন বাঁচাতে ঝাপিয়ে পড়তে আপত্তি ছিলো না তাঁদের, এই সব ব্লগারদের, এই সব ভাইদের.... নাহ, নাম উল্লেখ করতে চাই না। এ কৃতিত্ব আমাদের, ব্লগারদের। সামহোয়্যারইন, আমার ব্লগ, চতুর্মাত্রিক, সোনার বাংলাদেশ ব্লগের ব্লগারদের। শুধু তাই নয়, যারা ব্লগিং করেন না তাদের ও। ফোন দিয়ে, রক্ত দিয়ে, পাশে থেকে বইমেলায় মানুষ টেনে টেনে ধরে যারা টাকা যোগাড় করেছেন, সেই প্রতিটি মানুষ কে স্যালুট জানাই, আপনারা আপনাদের স্বামর্থ্য দিয়ে, যে যতটুকু পেরেছেন, করে একটি জীবন বাঁচিয়েছেন, শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত।

যে সময় তার ওষুধ লাগবে, চিকিৎসার প্রায় শেষ পর্যায়ে, সে সময় এগিয়ে এসেছিলেন সবসময় পাশে থাকা আমার এক বড়োআপু, ব্লগার সমুদ্রকন্যার এক বন্ধু-২০০০, ব্লগার বেলের কাঁটা- ৪০০০, ব্লগার স্বপ্নমগ্ন ফারজানা ও তার দুই বান্ধবী- ৬০০০, ব্লগার শ্রীমান- ১০০০০ সহ আরো কয়েকজন।আমি আজমেরীর হয়ে তাদের সবার কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।


এবার আসুন আরেকটি ছবি দেখি-

আজমেরী এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। শুধু কিডনী রোগের অভিশাপ হেতু প্রতিদিন তার ওষুধ খাওয়া লাগে, নইলে সে অসুস্থ হয়ে পড়ে। সে জীবনে ২য় হয়নাই। ক্লাস নাইনের ফাইনাল পরীক্ষা দিয়েছে সে দেড় মাস পড়ে। আবারো অসম্ভব কে সম্ভব করার আশায় আমরা স্বপ্ন দেখতেই পারি সে এবারো ১ম হবে। সে দোয়া আমরা সবাই করতে পারি, কারন, আমাদের সকলের দোয়াতেই আজ সে সুস্থ। সে আমাকে বলেছে সে ১ম হবে। ওর ভাইয়ের একটা চাকরী দেয়ার ইচ্ছা আছে, সে ব্যাপারে কথাবার্তাও বলা হয়ে গেছে। আগামী মাস থেকে হয়তো সে চাকরীতেও জয়েন করবে।

শুধু একটা কথা বলতে চাই.... আমি, আমরা যদি সামান্য উদ্যোগ নিয়ে একটা জীবন বাঁচাতে পারি, তবে সেই প্রচেষ্টা আমি সারাজীবন করতে রাজি, আপনি কি রাজি?


সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১:৫৩
৪২টি মন্তব্য ৩৭টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক

লিখেছেন হীসান হক, ০১ লা মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪৮

আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।

“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন

কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য

লিখেছেন সাজ্জাদ হোসেন বাংলাদেশ, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৪

ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার


(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন

প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ০১ লা মে, ২০২৪ দুপুর ১২:৫১




ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।


এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন

একাত্তরের এই দিনে

লিখেছেন প্রামানিক, ০১ লা মে, ২০২৪ বিকাল ৫:৩৬


শহীদুল ইসলাম প্রামানিক

আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে

লিখেছেন মিশু মিলন, ০১ লা মে, ২০২৪ রাত ৯:২০



তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×