ফেব্রুয়ারীর প্রথম রজনিতে একটি কবিতা লেখা হোক,
এই ছিলো শেকড়ের স্বপ্নশপথ
রাত্রী উদার ছিলো, সোনার দোয়াত ছিলো, ছিলো অশ্রুকালি
আমতলা মাঠ ছিলো ঘরের পাশেই-
কিন্তু কবিতা লেখা হলো না।
রফিক সালাম জব্বার শফি-
নক্ষত্রের মতো জ্বলজ্বলে নামগুলো আমি জানি
খুব চিনি আমতলা প্রাঙ্গন, রমনার শিমুল বাগান
গায়ে মেখে নিতে পারি শহীদ মিনারের পবিত্র শিশির
হাত বাড়ালেই ছুঁতে পারি বরকতের সবুজ কবরের ঘাস
মহাকাব্যের সমুদয় উপাদান নিয়ে তবু
লেখা হলো না আমার কবিতার এক ছত্র।
আমি জানি
ফেব্রুয়ারীর হিসেব কষেই অসত্য কবিতা লেখা যায়
ফেব্রুয়ারীর একুশ, সেতো নিজের নামের মতোই রপ্ত
কিন্তু ভাদ্রের আজ কত? ভাদ্র্র নাকি এখন?
শিমুলের রক্তের লাল তো পড়ে না চোখে
তবে কি কৃষ্ণচূড়ার আগুনলাগা ফাগুন এসে গেছে?
শতাব্দি বাংলার বয়সই বা কতো হলো, অন্তত সাল?
ফুল পাখি নদী খেতের ফসল জানে না কেউ
জানে না ঝোপঝাড় জংলি বেতফল বয়েসী বটের ঝুড়ি
একবিংশ শতাব্দির বাংলার আধুনিক ঘরবাড়ি
অসত্য ভাষণে তাই
লেখা হলোনা আর
শেকড় হারানো কবির
বায়ান্নোর সুমহান কবিতা।