এই যে আমার সন্ত্রস্ত ভিটেবাড়ি-
তিন দিকে ঘন ঝোপঝার শ্বপদসংকূল
সামনে আমার তৃষ্ণার নুন দেয়া নীল জল
আমার মুক্তির সীমানা, সহস্র বছর যে নীরব প্রতিক্ষীত
আর এই যে আমার নান্দনীক কুঁড়েঘর-
খুনসুটির শহর ঢাকা
কোলেপিঠে করে বেঁচে থাকা আমাদের ভাইবোন
কাঁথার সিলির মত এঁটে থাকা প্রতিটি জীবন
পৃথিবীর আর কোথায় কে আমাকে দেবে
অমর সুখের সংসার?
তৃপ্তির ঢেঁকুর কোথায় তুলব আমি জননী মৃত্তিকা
তেমার আঁচল ফেলে?
কোথায় পাব এমন নিখাদ খাঁটি সবুজ?
আমার অমন প্রাণের পতাকার মান কে বুঝতে পারে?
ঝাঁট দেয়া উঠোনের কোনে
ঝরাপাতা জমেছে জমুক
সরষে ফুলের অমন মায়াবী আগুন ফেলে
দোয়েলের কবিতা উপেক্ষা করে সাত জন্মে আমি
কোথাও পারি না যেতে
শৈশবের কোমল কাদা, ঝাকার কুমড়ো ফুলের
সরল বারণ, আমি কোথাও যাব না
আমাকে দেবে না যেতে গাঙপাড়ের মাছরাঙা
সিঁদুরমাখা পলাশ আর প্রতিবাদী কৃষ্ণচূড়া
তাই প্রতিটি ভোরের কাছে প্রার্থনা আমার
জানুক মাটির প্রতিটি কণিকা
বটের পাতায় জড়িয়ে শরীর কয়েদির কাতারে দাঁড়িয়ে বলি-
যদি আবার জীবন পাই
যেন বাংলায় জন্মাই