বাহান্নোর ফেব্রুয়ারীতে কতো কতো সালাম রফিক
পৃথিবীর উদরে দিয়েছিলো ঢেলে নিংড়ে নিয়ে
নিজেদের সবটুকু টকটকে রক্তবীর্য। পূর্ণ হোক
পৃথিবীর মাতৃজঠর; বাঁচার তৃষ্ণা নিয়ে
মানচিত্রের উঠোন জুড়ে হামাগুড়ি দিক নতুন শিশুদেশ
এই স্বপ্ন নিয়েই তাদের হয়েছে মহাপ্রয়াণ
অতঃপর অন্তঃস্বত্তা হলেন পৃথিবী; রাত্রী দিবস
মায়ের বেদনা নিয়ে ঊনিশ বছর কাটিয়ে দিলেন।
প্রতীক্ষার সুদীর্ঘ কাল হয়েছে অতীত দাঁতে চেপে
দাঁত। পৃথিবী হলেন সন্তানসম্ভবা এক দরদী
জননী। মুক্তির তাড়নায় পৃথিবীর উদর ছেপে
শিশুটির সুতীব্র চিৎকার বাইরে আসে যদি
তাই পাশবিক প্রতিরোধ বেঁধেছিল একপাল
নৃশংস নপুংশক, নতুন শিশুর জন্ম ওদের
পৌরুষের অপমান, তাই রুখে দিতে চেয়েছিল
ওরা সুমহান গৌরব পৃথিবীর মাতৃত্বের।
দীর্ঘ ন’টি মাস; প্রতিটি নিমেষ; সুদীর্ঘ কালো রাত
হায়েনার উৎপাত। অমাবস্যার রাত শেষে অবশেষ
একাত্তরের বিজয়ী ডিসেম্বরে বিজিত সবুজ প্রভাত
সুতীব্র চিৎকারে পৃথিবীর কোল জুড়ে ভূমিষ্ঠ শিশুদেশ
অতঃপর আমাদের আকাশে আমাদের রোদ মেঘ
বিলভরা আমাদের সবুজেরা নিরাপদ। তবুও অনেক
ডানাকাটা চিল-বাতাসে তাদের হাহাকার। অথচ সুখ
নিয়ে বুকে এদেশে দাপিয়ে বেড়ায় এখনো সেই প্রতারক কাক।