somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(সপ্তম পর্ব) গেস্টাপো(GeStaPo)

১৮ ই মার্চ, ২০১৩ সকাল ১০:৩৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



স্বপ্নের থার্ড রাইখ সিরিজের প্রথম পাঁচটি পর্বে আমি হিটলারের চূড়ান্ত ক্ষমতা দখল তথা তার জার্মানির একনায়ক বনে যাওয়ার কাহিনী তুলে ধরেছিলাম। ১৯৩৩ সালে, চ্যান্সেলর হিসেবে হিটলার জার্মানির গদিতে বসেছিলেন। আর ১৯৩৪ সালের অগাস্ট মাসের মধ্যে তিনি জার্মানির অবিসংবাদিত নেতা তথা জার্মানির ফুয়েরার বনে যান। এই দেড় বছর সময়ের মধ্যে, ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার ঠাণ্ডা লড়াইয়ের পাশাপাশি, নাৎসিরা নিজেদের ভবিষ্যৎ অস্তিত্ব নিশ্চিত করার জন্যে বেশ কিছু পদক্ষেপও নিয়েছিল। তার মধ্যে একটি হল গেস্টাপোর সৃষ্টি।

****

গেস্টাপো। আমি হলফ করে বলতে পারি, অধিকাংশ বাংলাদেশীর সাথে এই নামের পরিচয় ঘটেছিল কমান্ডোস গেমটি খেলতে গিয়ে। গেস্টাপো নামটিই ভীতি জাগানিয়া। আজ থেকে ৭০ বছর আগে যখন সংগঠনটির সৃষ্টি হয়েছিল, কয়জনই বা তখন ভাবতে পেরেছিলেন যে, সৃষ্টির কয়েক বছরের মধ্যে এই সংগঠনটি জনগণের মনে ভয়ানক ত্রাস সৃষ্টি করতে সক্ষম হবে? আর কয়জনই বা ভাবতে পেরেছিলেন যে আতঙ্কের অপর নাম হবে গেস্টাপো?

****

ঘটনার শুরু হয়েছিল ১৯৩৩ সালে। নাৎসিরা সবেমাত্র ক্ষমতায় বসেছে। নব্যগঠিত জোট সরকারে নাৎসি সদস্য ছিল মাত্র তিনজন। হিটলার, চ্যান্সেলর হিসেবে। উইলহেম ফ্রিক, অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী হিসেবে এবং হেরমান গোয়েরিং, দপ্তরবিহীন মন্ত্রী হিসেবে। কিন্তু গোয়েরিংএর আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ ছিল। তিনি ছিলেন জার্মানির প্রুশিয়া অঞ্চলের প্রধানমন্ত্রী। যার কারণে প্রুশিয়ার পুলিশ বাহিনী ছিল সরাসরি তার নিয়ন্ত্রণে।

গোয়েরিং তার এই ক্ষমতার পূর্ণ ব্যবহার করেন(পড়ুন অপব্যবহার)। হিটলারের S.A বাহিনীর কার্যকলাপে পুলিশী বাধাদানের উপর তিনি সরাসরি নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেন। এর ফলশ্রুতিতে, S.Aরা পুরোপুরি আকাশের চাঁদ হাতে পেয়ে যায়। তাদের কার্যকলাপের উপর বাঁধা দেওয়ার মত আর কেউই রইল না। যার ফলে রাস্তায় রাস্তায় সন্দেহজনক নাতসিবিরোধী ব্যক্তিরা S.A কর্তৃক অহরহ আক্রমণের শিকার হতে লাগলেন। ইহুদীদের পরিস্থিতি ছিল আরও সঙ্গিন। যেখানেই কোনো একজন ইহুদী ব্যক্তিকে পাওয়া যেত, সেখানেই তাকে সবার সামনে হেনস্থা করা হত। ইহুদী মালিকানাধীন দোকানগুলো বিনা কারণে S.A সদস্যরা বন্ধ করে দিতেন।

****

ধূর্ত গোয়েরিং এরপর প্রুশিয়ান পুলিশের রাজনৈতিক এবং গোয়েন্দা বিভাগকে আলাদা করে ফেলেন। শুধু তাই নয়, তিনি রাজনৈতিক এবং গোয়েন্দা বিভাগের অধিকাংশ কর্মচারীকে ছাটাই করে, তাদের বদলে নাতসিদের অন্তর্ভুক্ত করেন। এভাবে প্রায় ৫০০০০ নাৎসিকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।

****

পরবর্তীতে, ১৯৩৪ সালের ২৬শে এপ্রিল, গোয়েরিং পুলিশের রাজনৈতিক এবং গোয়েন্দা বিভাগকে একত্রিত করেন। নব্যগঠিত এই সংগঠনটির নাম দেওয়া হয় "Secret Police Office"। জার্মান ভাষায় রূপান্তর করলে দাঁড়ায়, "Geheimes Polizei amt" সংক্ষেপে "GPA"। কিন্তু "GPA" নামটির সাথে সোভিয়েত পলিটিকাল পুলিশ "GPU" এর নামের অনেক মিল আছে। যার কারণে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় "Secret state police"। জার্মান ভাষায় "Geheime Staats Polizei"।

এখন প্রশ্ন হল, গেস্টাপো নামটি আসলো কিভাবে? একজন পোস্ট অফিস কর্মকর্তা "Geheime Staats Polizei" এর নামে নতুন স্ট্যাম্প ছাপাতে গিয়ে দেখেন যে, স্ট্যাম্পের তুলনায় নামটি বেশ বড় হয়ে যাচ্ছে। তখন তিনি "Geheime Staats Polizei" এর নাম সংক্ষেপে রাখেন "গেস্টাপো(Gestapo)"। মূলত তিনি "Geheime এর "Ge", Staats এর "Sta" এবং Polizei এর "Po"কে একত্রিত করে এই নাম সৃষ্টি করেন। কয়েক বছর পর এই নাম মানুষের বুকে কাঁপন ধরিয়ে ছাড়বে।



****

গেস্টাপো সৃষ্টির পরপরই গোয়েরিং একে নিজের স্বার্থ হাসিলের জন্যে ব্যবহার করতে শুরু করেন। ইতিমধ্যে আমরা জানতে পেরেছি যে, প্রুশিয়ান পুলিশের রাজনৈতিক এবং গোয়েন্দা বিভাগের একত্রীকরণের মাধ্যমেই গেস্টাপোর সৃষ্টি হয়েছিল। যার কারণে রাস্ট্রের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব সম্পর্কে নানা গোপন গোয়েন্দা তথ্য গেস্টাপোর কাছে তথা গোয়েরিংএর কাছে চলে আসে। এই গোপন তথ্যগুলো, প্রুশিয়ান পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ, বহু আগে থেকেই নিজ উদ্যেগে সংগ্রহ করে আসছিল। নিজের ক্ষমতা পাকাপোক্ত করার জন্যে গোয়েরিং পরবর্তীতে এই সব গুরুত্বপূর্ণ নথিগুলোকে ব্ল্যাকমেইলিংএর কাজে ব্যবহার করেন।

****

গেস্টাপো সৃষ্টির পরে, গোয়েরিং রুডলফ ডাইলস্‌কে গেস্টাপোর প্রধান হিসেবে মনোনীত করেন। তার আগে ডাইলস্‌ ছিলেন প্রুশিয়ান পুলিশ বাহিনীর সিনিয়র উপদেষ্টা।

****

১৯৩৪ সালের ২০শে এপ্রিল, গেস্টাপোকে নেতৃত্ব দানের ক্ষেত্রে এক নতুন পরিবর্তন আসে। এই দিন গোয়েরিং S.S প্রধান হাইনরিখ হিমলারের কাছে গেস্টাপোর দায়িত্ব তুলে দেন। গোয়েরিং বিশ্বাস করতেন যে রুডলফ ডাইলস্‌ নির্দয় এবং নিষ্ঠুরতা প্রদর্শনের জন্যে উপযুক্ত ব্যক্তি নন। তাই তিনি গেস্টাপোর দায়িত্ব কসাই হিমলারের কাছে অর্পণ করেন।

কিন্তু ক্ষমতা হস্তান্তরের পিছনে একে মূল কারণ বলা যাবে না। ১৯৩৪ সালের দিকে হিটলার পুনরায় জার্মান বিমানবাহিনীকে গড়ে তোলার পরিকলপনা করেছিলেন। এই পরিকল্পনাটিকে সফল করার জন্যে গোয়েরিং, যিনি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের একজন ফ্লায়িং এইস ছিলেন, জার্মানির বিমান মন্ত্রীর পদটি গ্রহণ করেন। বিনিময়ে তাকে গেস্টাপোর নিয়ন্ত্রণ হিমলারের কাছে ছেড়ে দিতে হয়।

গোয়েরিং কর্তৃক হিমলারকে গেস্টাপোর ক্ষমতা হস্তান্তর।

****

গেস্টাপো প্রধান হতে পারার কারণে হিমলারের এক প্রকারের সুবিধা হয়। পূর্বে তিনি ছিলেন প্রুশিয়া বাদে গোটা জার্মানির পুলিশ ফোর্সের প্রধান(প্রুশিয়ার নিয়ন্ত্রণ ছিল গোয়েরিংএর হাতে)। গেস্টাপোর নিয়ন্ত্রণ লাভ করবার মাধ্যমে হিমলার গোটা জার্মানির পুলিশ ফোর্সের প্রধান বনে যান।

****

নাৎসিরা গেস্টাপোকে নাৎসি জার্মানির গোপন ত্রাণকর্তা হিসেবে অভিভূত করত। বিদ্রোহ, এস্পিওনাজ, স্যাবোটাজ, সন্ত্রাসের বিরুদ্ধের লড়াইয়ে নিয়োজিত ছিল গেস্টাপো। ১৯৩৬ সালে গেস্টাপোকে চূড়ান্ত ক্ষমতা প্রদানের জন্যে "গেস্টাপো আইন" পাশ করা হয়। গেস্টাপো আইনের মূল অংশটি ছিল নিম্মরূপ,

"Neither the instructions, nor the affairs of the Gestapo, will be open to reveiw by administrative court."

এভাবে আইনটির বদৌলতে গেস্টাপো বিচার ব্যবস্থার ধরা ছোঁয়ার বাহিরে চলে যায়। তার কার্যকলাপের জন্যে সে কারও কাছে দায়বদ্ধ নয়।

****

১৯৩৬ সালে, গেস্টাপোকে জার্মানির "national crime police" সংক্ষেপে "kripo" এর সাথে একত্রিত করা হয়। এতে, নতুন যে সংগঠনটি তৈরি হয়, তার নাম দেওয়া হয় "Secret police" বা "Sipo"।

আবার ১৯৩৯ সালে, যখন যুদ্ধ সবেমাত্র শুরু হয়েছে, তখন "Sipo" এবং জার্মানির অন্যান্য গোয়েন্দা এবং অপরাধ দমন বিভাগগুলোকে একত্রিত করে গড়ে তোলা হয় "Reich main Security Office" সংক্ষেপে "RSHA"। ১৯৪২ সাল পর্যন্ত "RSHA" এর নেতা ছিলেন S.S এর দ্বিতীয় প্রধান রাইনহার্ড হাইড্রিচ। ১৯৪২ সালে তাকে শত্রুপক্ষ খুন করে। পরে "RSHA" এর প্রধান করা হয় এর্নস্ট কালটেনব্রুনারকে।

রাইনহার্ড হাইড্রিচ

এর্নস্ট কালটেনব্রুনার

****

সবচেয়ে আশ্চর্যজনক ব্যপার হল, গেস্টাপো ছিল অতি ক্ষুদ্র এক সংগঠন। গেস্টাপোর সর্বমোট কর্মচারী ছিল প্রায় ৪০০০০(চল্লিশ হাজার)। এতে একটি সুবিধাই হয়। গেস্টাপো এজেন্টদের পক্ষে সহজে জনগণের মাঝে মিশে যাওয়া সম্ভব ছিল। একেক জন গেস্টাপো এজেন্টকে ঘিরে গড়ে উঠত হাজার হাজার সৌখিন গোয়েন্দা এবং তথ্য সংগ্রাহকদের একটি বিশাল নেটওয়ার্ক। যে কেউ গেস্টাপোর এজেন্টদের চর হতে পারত। বাড়ির কাজের লোক থেকে শুরু করে, দুধওয়ালা, মুদির দোকানদার, পেপার বয়, পরিবারের পিতা, মাতা, কন্যা, পুত্র, যে কেউ। সৌখিন গোয়েন্দাদের জাল এত গভীরে ছড়িয়ে যেতো যে, অধিকাংশ সময়ে গোয়েন্দাদের পক্ষে জানাও সম্ভব হত না যে মূল গেস্টাপো এজেন্টটি কোন ব্যক্তি। জনগণের মনে এতে ভয়ানক ত্রাসের সৃষ্টি হয়। গেস্টাপো শুধুমাত্র জার্মানিতে নয়, বরঞ্চ জার্মানি বাদে যুদ্ধের সময় জার্মান অধিকৃত অন্যান্য দেশেও সক্রিয় ছিল।

গেস্টাপোর ভয়ে সাধারণ মানুষ নিজেদেরকে কথাবার্তায় কাজেকর্মে সংযত করে তুলে। নাৎসিবিরোধী কোনো কথা বললে বা কোনো কাজকর্ম করলে, নিশ্চিত ভাবে কোনো একদিন কোনো এক গেস্টাপো এজেন্টের সাথে আচমকা সাক্ষাৎ হয়ে যেত। এরপর রাতের অন্ধকারে, ওই ব্যক্তির বাড়িতে, গেস্টাপো হেড কোয়ার্টারে দেখা করার আদেশ সম্বলিত চিঠি পৌঁছে যেত। সন্দেহভাজন ব্যক্তিদের ফোনে আড়িপাতার ব্যপারটি ছিল একটি সাধারণ ঘটনা।

বার্লিনের প্রিন্স আলব্রেক্ট স্ট্রীটে গেস্টাপো হেডকোয়ার্টার। ১৯৩৩ সালের পর থেকে মানুষ এখানে আসতে ভয় পেত।

গেস্টাপো হেডকোয়ার্টারের অভ্যন্তরে।

****

১৯৪২ সালে, গেস্টাপোর কাজের ধরণ কিছুটা পালটে যায়। হিটলারের জারিকৃত একটি ডিক্রী অনুসারে গেস্টাপো এজেন্টগণ "Night and Fog" নামক নতুন অপারেশন শুরু করে। যার ফলে প্রায়সই নাৎসিবিরোধীদের রাতের অন্ধকারে চিরকালের জন্যে হারিয়ে যেতে দেখা যায়। জনগণের মনে আতঙ্কের মাত্রা আরেক ধাপ বাড়ানোর জন্যেই এমনটি করা হয়।

****

গেস্টাপো সংগঠনটির অধীনে ৫টি ডিপার্টমেন্ট কাজ করত। প্রত্যেকের আলাদা আলাদা কর্মক্ষেত্র ছিল।

ক) ডিপার্টমেন্ট "এ" (রাস্ট্রের শত্রু)
১) কমিউনিস্ট(এ১)
২) কাউন্টার স্যাবোটাজ বা প্রতি অন্তর্ঘাত(এ২)
৩) প্রতিক্রিয়াশীল এবং উদার ব্যক্তিত্ব(এ৩)
৪) গুপ্তহত্যা (এ৪)

খ) ডিপার্টমেন্ট "বি"(চার্চ এবং অন্যান ধর্মীয় সম্প্রদায়)
১) ক্যাথোলিক (বি১)
২) প্রোটেস্ট্যান্ট (বি২)
৩) ফ্রিম্যাসন (বি৩)
৪) ইহুদী (বি৪)

গ) ডিপার্টমেন্ট "সি"
এই ডিপার্টমেন্ট প্রশাসনের এবং অন্যান্য সকল কাজে নিয়োজিত ব্যক্তিবর্গের যাবতীয় তথ্য(গোপন এবং প্রকাশ্য) সংরক্ষণ করত।

ঘ) ডিপার্টমেন্ট "ডি"
১) রাইখের বাইরে রাস্ট্রের শত্রু (ডি১: ডিপার্টমেন্ট ১ এর পুনরাবৃত্তি)
২) রাইখের বাইরে চার্চ এবং অন্যান ধর্মীয় সম্প্রদায় (ডি২: ডিপার্টমেন্ট ২ এর পুনরাবৃত্তি)

ঙ) ডিপার্টমেন্ট "ই" (কাউন্টার-ইন্টেলিজেন্স)
১) রাইখের অভ্যন্তরে (ই১)
২) নীতি নির্ধারণ (ই২)
৩) পশ্চিম ফ্রন্ট (ই৩)
৪) স্ক্যান্ডেনেভিয়া (ই৪)
৫) পূর্ব ফ্রন্ট (ই৫)
৬) দক্ষিণে (ই৬)

*****

১৯৩৩ সালে সৃষ্টি হবার পর থেকে ১৯৪৫ সালে যুদ্ধ শেষ হবার আগ পর্যন্ত মানুষের কাছে গেস্টাপো ছিল ভীতিজাগানিয়া এক নাম। যুদ্ধ শেষে, অন্যান্য নাৎসি সংগঠনের সাথে গেস্টাপোকেও অবৈধ ঘোষণা করা হয়। জার্মানি এক ভয়ঙ্কর গোয়েন্দা সংস্থার কবল থেকে মুক্তি পেয়ে হাফ ছেড়ে বাঁচে।

****

এই সিরিজের অন্যান্য পর্বগুলোঃ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(ষষ্ঠ পর্ব) The Triumph of the Will(ছবি+মুভি ব্লগ)

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(৫ম পর্ব) "হিটলার, জার্মানির ফুয়েরার"।

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(৪র্থ পর্ব) operation hummingbird

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(৩য় পর্ব) the night of the long knives

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(২য় পর্ব) Hitler becomes Dictator

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের ইতিহাসঃ স্বপ্নের থার্ড রাইখ(১ম পর্ব) রাইখস্টাগ অগ্নিকান্ড(The Reichstag on fire)

****

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ সম্পর্কে আমার আগের সব লেখার লিংক।
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে মার্চ, ২০১৩ সন্ধ্যা ৭:২০
৩৭টি মন্তব্য ৪১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

বাংলাদেশের লোকসংস্কৃতিঃ ব্যাঙের বিয়েতে নামবে বৃষ্টি ...

লিখেছেন অপু তানভীর, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:০০



অনেক দিন আগে একটা গল্প পড়েছিলাম। গল্পটা ছিল অনেক এই রকম যে চারিদিকে প্রচন্ড গরম। বৃষ্টির নাম নিশানা নেই। ফসলের মাঠ পানি নেই খাল বিল শুকিয়ে যাচ্ছে। এমন... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাংলাদেশি ভাবনা ও একটা সত্য ঘটনা

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:১৭


আমার জীবনের একাংশ জুড়ে আছে; আমি চলচ্চিত্রাভিনেতা। বাংলাদেশেই প্রায় ৩০০-র মত ছবিতে অভিনয় করেছি। আমি খুব বেছে বেছে ভাল গল্পের ভাল ছবিতে কাজ করার চেষ্টা করতাম। বাংলাদেশের প্রায়... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাকি চাহিয়া লজ্জা দিবেন না ********************

লিখেছেন মোহাম্মদ সাজ্জাদ হোসেন, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১০:৩৫

যখন প্রথম পড়তে শিখেছি তখন যেখানেই কোন লেখা পেতাম পড়ার চেষ্টা করতাম। সেই সময় দোকানে কোন কিছু কিনতে গেলে সেই দোকানের লেখাগুলো মনোযোগ দিয়ে পড়তাম। সচরাচর দোকানে যে তিনটি বাক্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

=এই গরমে সবুজে রাখুন চোখ=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:২১

০১।



চোখ তোমার জ্বলে যায় রোদের আগুনে?
তুমি চোখ রাখো সবুজে এবেলা
আমায় নিয়ে ঘুরে আসো সবুজ অরণ্যে, সবুজ মাঠে;
না বলো না আজ, ফিরিয়ো না মুখ উল্টো।
====================================
এই গরমে একটু সবুজ ছবি দেয়ার চেষ্টা... ...বাকিটুকু পড়ুন

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

×