হেঁটে হেঁটে চলেছি সেই পথ
দেখেছি বৃদ্ধা, নুয়ে পড়া নারীকে,
বিশ-বাইশের উথাল পাথাল যৌবনে যার
দেখা দিয়েছিল ভ্রমর, মৌমাছি আর বেশুমার গোবরে পোকা।
কেউ চেয়েছিল প্রেম, কেউ অন্ধকারের জোনাক -
কেউ বা বর্ষার ছনের চালের চুঁইয়ে পড়া হলুদাভ জল।
দেখেছি দীর্ঘদেহী হাড্ডিসার মানুষের অগ্নিঝরা দুচোখ
তাতে আগুন ছিল, কিন্তু সলতে শেষ প্রায়;
একদল জড়সড় লোকেরা তাকে তখনো করছিলো কুর্নিশ,
তার সম্মানিত হবার ভণিতার আড়ালে -
সূর্য অস্ত যাচ্ছিল দুপুরের অহমিকার লজ্জা নিয়ে।
সেই পথে দেখেছি খুনি, মাতাল, রঙ-বেরঙ্গের বেশ্যা
অস্তিত্ব সংকটে জীর্ণ বিদীর্ণ মানুষের স্থির দৃষ্টি;
তাতে শোষিত হবার বেদনা নেই আজ
তাতে লাঞ্ছিত হবার শোক নেই; মৃদু কিসের আশা!
তখনো একদলে তারা ছিল, যারা বানিয়েছিল বেশ্যা
অন্যের রক্তে, ঘামে যারা গড়েছিল আকাশ ছোবার সিঁড়ি
যারা একদা অন্যের খুনে মেটাত তৃষ্ণা।
সেই পথের মানুষের আজ একাত্ম হবার দিন
তাদের অপেক্ষা এক ঘোরতর অন্ধকারের।
সেই পথে হেঁটে হেঁটে বুঝেছি সবাই,
এতোদিন ছিল এই পথেরই আশায়।
সেই সূর্যের মত লজ্জা আর বেদনা নিয়ে অস্ত যাবার প্রতীক্ষায়।
ইমেজ ক্রিয়েটরঃ Alex Levin
সর্বশেষ এডিট : ০১ লা সেপ্টেম্বর, ২০২০ সকাল ৮:৪৭