somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

গল্পঃ মুক্তি

১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:০১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



পেশায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ার হলেও আমি সাহিত্যের বেশ ভক্ত। এদিক ওদিক থেকে সময় বের করে আমি প্রায়ই নানা রকম বই সংগ্রহ করে পড়ার চেষ্টা করি। তাছাড়া আমার কিছুটা অনিদ্রা রোগ আছে। রাতের পর রাত আমি না ঘুমিয়ে কাটিয়ে দেই। নতুন চাকরীতে ঢোকার পর আমার এই অবস্থা হয়েছে। বেতন ভালো দেয় বলে অনর্থক টেনশনটাকে কাঁধে তুলে নিতে হয়েছে। কি আর করা! বেঁচে তো থাকতে হবে!

যাদের ইনসোমনিয়া আছে একমাত্র তারাই বুঝবেন, ঘুম না আসলে রাতটাকে কতখানি দীর্ঘ মনে হয়! তাছাড়া নির্ঘুম একাকী রাতে সঙ্গী হিসেবে আপনি আপনার আশেপাশে আর কাউকে খুঁজে পাবেন না। বইই একমাত্র ভরসা।

সেদিন আমার বই পড়ার এই বাতিকের কথা শুনে আমার এক কলিগ আমাকে জ্যাক লন্ডনের দ্য সি উলফ (The sea Wolf) বইটা ধরিয়ে দিল। বই পেয়ে আমার ভালো লাগলো। অনেক দিন ধরে বইটা খুঁজছিলাম। এভাবে কেউ হাতে ধরে বইটা দিয়ে যাবে সেটা ভাবিনি। তবে একটা জিনিষ আমাকে খুব অবাক করল। ভদ্রলোক আমাকে যেন বইটা গছিয়ে দেয়ার চেষ্টা করল। যেন বইটার মধ্যে অশুভ কিছু আছে।

বাসায় এসে আমি ধীরে সুস্থে বইটা পড়লাম। অসম্ভব ভালো একটা বই। প্রত্যেকটা পাতায় পাতায় উত্তেজনা ভরা। জ্যাক লন্ডনের লেখা আমি আগেও পড়েছি। তবে এই বইটা গল্পের বর্ণনায় তাঁর অন্য সব বইকে ছাড়িয়ে গেছে।

বইটা পড়া শেষ হলে সপ্তাহখানেক পর আমি আমার কলিগকে বইটা ফিরিয়ে দিতে গিয়ে শুনে ভদ্রলোক চাকরী ছেড়ে চলে গেছেন। খবরটা শুনে আমি খুশীই হলাম। বইটা খুব ভালো লেগে গিয়েছিল। নেহায়াত অন্য লোকের বই বলে অনিচ্ছা সত্ত্বেও ফেরত দিতে হচ্ছিল। ভালোই হল।

আমার একটা স্বভাব হল একটা বই পড়ার পর এর কাহিনীটাকে নিজের জীবনের সাথে আমি মিলিয়ে দেখার চেষ্টা করি। ভাবতে ভাবতে আমার প্রোজেক্টটাকে মাঝে মাঝে উলফ লারসেনের (Wolf Larsen) উত্তর মেরুর শীল (Seal) শিকারি জাহাজের মতো মনে হতে লাগলো। সত্যি বলতে কি, উলফ লারসেনের জাহাজ “ঘোস্টের” (Ghost) সাথে আমার কর্মক্ষেত্রের খুব যে একটা তফাত আছে সেটা আমি মনে করি না। দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পেটের তাগিদে এই নির্দয় শহরে চলে আসা কনট্রাক্টর, ফোরম্যান, রাজমিস্ত্রি, রডমিস্ত্রি, ইলেক্ট্রিশিয়ান, প্লাম্বারদের মনে হয় আমার এই ঘোস্ট প্রোজেক্টের হাল ধরা মেট, নাবিক, দাঁড়বাহক, বা দিক নির্দেশক।

এক সময় হয়তো ফেলে আসা গ্রামের মাটির মতোই নরম ছিল ওদের অন্তর। কিন্তু শহুরে লোভী মানুষের উচ্চাকাঙ্ক্ষা, নির্দয়তা আর শিডিউল, টার্গেট, ডেডলাইন মেলাতে গিয়ে রাত দিন প্রায় বিনা পারিশ্রমিকে অমানুষের মতো খাটতে খাটতে ওরা একেকজন পরিণত হয়েছে হিংস্র শিকারিতে। আর আমি তাদের কাছে কখনও উলফ লারসেন স্বয়ং, কখনও নৌকাডুবি থেকে প্রাণ ফিরে পাওয়া ভয়কাতুরে এবং দুর্বল হামফ্রে ভ্যান ওয়েডেন।

উলফের মতো নির্দয় হয়ে আমি ওদের কোমরে নায়লনের দড়ি বাঁধা সেফটি বেল্ট পড়ে জীবন বাজি রেখে ঝুলতে দেখি মাটি থেকে কয়েকশ ফিট ওপরে। নিচেই যার জন্য মৃত্যুর অমোঘ নিয়তি দাঁড়িয়ে আছে। যেন ঝড় ঝঞ্জার বিক্ষুব্ধ দিনে পাল ঠিক করতে গগনচুম্বী অট্টালিকার গা বেয়ে মাকড়শার মতো মাস্তুলে উঠে পড়ছে আমার কাছে জীবন বর্গা দেয়া কোন সদ্য কৈশোর পেরোনো বিদ্রোহী তরুণ। জীবনের প্রতি ওদের এই নিঃস্পৃহতা দেখে মাঝে মাঝে আমার বুকের ভেতর “হামফ্রের” মতো অনাগত দুর্ঘটনার আশঙ্কা জাগে। ওদের থামাতে ইচ্ছা করে। বলতে ইচ্ছা করে, কাজটা আগে না, আগে জীবন। কিন্তু হামফ্রে ভ্যান ওয়েডেন, উলফ লারসেনের কাছে প্রতিদিনই পরাজিত হয়। আমার ভেতরের উলফ লারসেন গর্জে ওঠে, “থেমে থাকার নাম জীবন নয়! তুমি যে বেঁচে আছ সেটা প্রমাণ করার জন্য তোমাকে লড়ে যেতে হবে! স্থবিরতা মানে মৃত্যু!”

স্ক্যাফোল্ডিং এর ওপর মাচা বেঁধে কাজ করতে থাকা মিস্ত্রিকে কানে হেড ফোন লাগিয়ে গান শুনতে দেখে আমি প্রচন্ড আক্রোশে ফেটে পড়ি! সামান্য কয়টাকা দিনে হাজিরা পায় ওরা, কিন্তু রাগে উন্মাতাল আমি ওদের সেই হাজিরা কেটে দেই, মনুষ্যত্বের অপমান করে গালাগাল করি, ঘাড়ে ধাক্কা দিয়ে বের করে দেই আমার “ঘোস্ট” প্রোজেক্ট থেকে।

ওরা আমার এই রুদ্র মূর্তি দেখেও রাগ করে না। চলেও যায় না। জীবনের প্রতি কি এক আকর্ষণে ঘুরতে থাকে এই “ঘোস্ট” প্রোজেক্টকে কেন্দ্র করে। প্রতিদিন কত শত প্রশ্ন, কত সমস্যা নিয়ে যে এরা হাজির হয়! কাজের চাপে আর টেনশনে আমি ক্রমাগত রাতের ঘুম ভুলতে থাকি। এক সময় সেটাই অভ্যাস হয়ে যায়। নির্ঘুম রাত কাটিয়ে পরদিন ঘুমে ঢুলু ঢুলু চোখে ওদের প্রশ্ন শুনি। ড্রয়িং, ডিসিশন, লেআউট, চেকিং, আর্কিটেক্ট, বিল – মুখস্ত কতগুলো কথা বলতে বলতে ওরা আমাকে নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উপরে উঠতে থাকে। আমি ঘুমের তোড়ে ওলট পালট হয়ে যাওয়া ঘোলাটে দৃষ্টি আর উদভ্রান্ত মন নিয়ে সিঁড়ি বেয়ে উঠতেই থাকি, উঠতেই থাকি...

...আমাকেও “কাজ” শেষ করতে হবে...শিডিউল, ডেড লাইন, হ্যান্ডওভার...

...ছয় তলা...সাত তলা...আট তলা...

...স্যার, ড্রয়িংটা একটু বুঝিয়ে দিয়ে যান...

...আমি ড্রয়িং বোঝাতে বোঝাতে গরাদবিহীন জানালার ধরে কখন যে চলে যাই বুঝতেই পারি না। নিচ থেকে ভেসে আসা গাড়ির হর্নে আমার তন্দ্রা কেটে যায়। আমার কাছে ড্রয়িং বুঝতে আসা ছেলেটা হাত ধরে হ্যাঁচকা টানে আমাকে ভেতরে নিয়ে আসে। আমি আঁতকে উঠে দেখি আর একটা পা এগুলেই...
ভুলটা আমারই, তারপরও ছেলেটাকে প্রচন্ড একটা ধমক দিতে গিয়ে আবারও চমকে উঠি। এই ছেলেটাকেই গত সপ্তাহে কঠিন শাস্তি দিয়েছিলাম। প্রোজেক্ট থেকে বেরও করে দিয়েছিলাম। ছেলেটা আবার ফিরে এসেছে! কিন্তু আমার জীবন বাঁচানোর জন্য ওকে আমি ধন্যবাদ দিতে ভুলে যাই। ছেলেটা কিছু মনে করে না। আমার দিকে তাকিয়ে হাসে। হাসিটা দেখে আমার গা কেমন যেন শিউরে ওঠে! ছেলেটার চোখে আমি মৃত্যুর প্রতিচ্ছবি দেখতে পাই...

আমি ড্রয়িংটা ওকে ফিরিয়ে দিয়ে আবার উপরে ওঠার জন্য ঘুরে দাঁড়াতেই ছেলেটা ফিসফিস করে ভৌতিক কণ্ঠে বলে ওঠে...

...স্যার...সাবধান...খুব সাবধান...আর এক পা এগুলেই...

ছেলেটা কথা শেষ করে না। আমি সিঁড়ি বেয়ে উঠতেই থাকি...উঠতেই থাকি...

...নয় তলা...দশ তলা...এগারো তলা...বারো তলা...

...দুপুরের পর আমি আর চোখ মেলে তাকিয়ে থাকতে পারি না আজকাল। অথচ আমার রাত কাটে নির্ঘুম। কে যেন অনর্থক আমাকে তাড়িয়ে বেড়ায়...থেমে থাকলে চলবে না...স্থবিরতা মানে মৃত্যু!...ওহ! আবারও একটা ছেলে আমাকে দেখে এগিয়ে আসে। প্লাম্বিয়ের লেআউটটা মিলছে না। আমি ড্রয়িং হাতে নিয়ে ঘুরতে থাকি। ভুলগুলো কিভাবে শোধরাতে পারি সেটা আলোচনা করতে করতে আমি একটা টয়লেটের ভেতর ঢুকে পড়ি। হঠাৎ এক দমকা বাতাস এসে টয়লেটের দরজাটাকে লাগিয়ে দিল। দরজাটা চৌকাঠে ধাক্কা খেয়ে এতো জোরে শব্দ করলো যে এক মাত্র বজ্রপাতের সাথেই আমি এর মিল খুঁজে পেলাম! আমি ঠাণ্ডা মাথায় ভেবে দেখলাম, হাতটা যদি চৌকাঠের ওপর থাকতো তাহলে হয়তো আমার কাটা হাতটা এখন ধবধবে সাদা টাইলস বসানো টয়লেটের মেঝেতে টিকটিকির কাটা পড়া লেজের মতো তীব্র যন্ত্রনায় মোচড়াতে মোচড়াতে এপাশ থেকে ওপাশে রক্ত ছিটিয়ে লাল করে দিতো।

সাদার মধ্যে লাল লাল ছোপ! সদ্য আঘাতপ্রাপ্ত কোন ক্ষতস্থান থেকে যখন উষ্ণ তরল রক্ত গড়িয়ে পড়ে, তখন লালটা অনেক গাঢ় আর আকর্ষণীয় লাগে আমার কাছে। রক্তটা যখন শুকিয়ে আসে তখন লাল রংটা ক্রমশ কালচে হয়ে পড়ে। অনেকটা ওই গরীব মানুষগুলোর গায়ের চামড়ার মতো। দুটোই মৃত্যু আর স্থবিরতার প্রতীক এবং একই সাথে ঘৃণ্য। ধবধবে সাদা টাইলসের ওপর শুকিয়ে যাওয়া রক্তের দাগ তখন কাউকে না কাউকে মুছে ফেলতে হবে। আমিও থাকবো না, আমার কাটা হাতের কোন চিহ্নও থাকবে না। হা!! হা! হা!!

আমি আটকে পড়া টয়লেটের ভেতর চারপাশে প্রতিধ্বনি তুলে যখন হাসি শেষ করলাম ততোক্ষণে ওরা দরজা খুলে ফেলেছে। দরজার বাইরে ওদের বিস্ফোরিত দৃষ্টি দেখে আমার আবারও হাসি পায়। আমি আবারও হো হো করে হেসে উঠি। দরজার বাইরে এসে, ড্রয়িংটা ওদের হাতে দিতে আমি ফিস ফিস করে বলি...

...সাবধান...খুব সাবধান...আর এক পা এগুলেই...

...আমি সিঁড়ি বেয়ে উঠতেই থাকি...উঠতেই থাকি...

...তের তলা...চৌদ্দ তলা...পনেরো তলা...ষোল তলা...

গগনচুম্বী ইমারতের শীর্ষে উঠে আমি অবাক হয়ে যাই। এতদিন আকাশে মেঘ দেখেছি, পাখী দেখেছি কিন্তু সেই আকাশটাই যে এতো বিপুল, বিশাল আর এতখানি শূন্যতায় ভরা সেটা বহুদিন আমার জানা ছিল না। বহুদুরে, বেড়িবাঁধের ওপারে বর্ষার জমে থাকা পানিতে পাল তোলা নৌকা দেখা যাচ্ছে। নৌকার মাঝিটাকে আমি এতদূর থেকেও স্পষ্ট দেখতে পাই। আহ! কি শান্ত সমাহিত তাঁর মুখের রেখাগুলো। মুখের হাসিটায় ক্লান্তি মাখা ভালোবাসায় পরিতৃপ্ত। সেই মুখটা...

...হ্যা...আমি দেখতে পাচ্ছি...ঘুমের জড়তা কাটিয়ে আমি এখন স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি...
...ওই মুখটা আমার...

ওই যে দূরে ওখানে একটা গ্রাম দেখা যাচ্ছে। আমি নিশ্চিত, ওই গ্রামটা আমার। আর একটু কাছে এগিয়ে গেলেই আমি দেখতে পাবো আমার ছায়া ঘেরা ঘর, নিস্তব্ধ দুপুর, পাখী ডাক দিয়ে যাওয়া বিকেল, ঘন বর্ষায় ঘরের পাশে ব্যাঙের ডাক, জোনাকির আলো জ্বলতে সেই স্বপ্নস্বর্গ। আমার মনটা শান্ত হয়ে আসে। চোখের পাতায় আবারও ঘুম নেমে আসতে থাকে। আমি কোন রকমে চোখ খুলে আরও একটু দূরে তাকিয়ে দেখার চেষ্টা করি...

...তারপর দূরে, অনেক দূরে...অশুভ কি যেন একটা দেখা যায়!...আমার চোখ মেলে তাকিয়ে থাকতে খুব কষ্ট হয়।...অনেক কাজ... সব কাজ শেষ করতে গিয়ে রাতে আজকাল আমার ঘুম হয় না। আমি বারবার দুঃস্বপ্ন দেখে জেগে উঠি।...নির্ঘুম রাতের ক্লান্তি আমাকে দিনে দুপুরে ঘুম পারিয়ে দিতে চায়। চোখ দুটো সিসার মতো ভারী হয়ে উঠেছে এখন। কিন্তু তারপরও আমি না দেখে থাকতে পারি না। রেলিঙবিহীন ছাদের কার্নিশ ঘেঁষে দাঁড়িয়ে সূর্যের প্রখর রশ্মি থেকে আড়াল করার জন্য একটা হাত চোখের ওপর ধরে দূরে দেখার চেষ্টা করতে থাকি...

... হ্যাঁ, এই তো দেখতে পাচ্ছি! আকাশের এই বিশাল শূন্যতা শহর পেরিয়ে গ্রামগুলোকে ছুঁয়ে দেখার স্পর্ধা দেখাচ্ছে! আমার স্বপ্ন স্বর্গকে ওরা গিলে খেতে চায়! ওহ! এতো সহস এদের কি করে হয়!
...প্রচন্ড ঘুমে আমার প্রায় বুজে আসা চোখে ক্রোধ ঠিকরে পড়ে! অসম্ভব রাগে আমার শরীরের রক্ত টগবগ করে ফুটতে থাকে। আমি উন্মত্ত হয়ে আকাশের এই অসীম শূন্যতাকে গিলে খেতে সামনের দিকে পা বাড়াই। আর তখনই কারা যেন এক সাথে বলে ওঠে...

...সাবধান...খুব সাবধান...

আমি আর পারছি না। আর চোখ খুলে তাকাতে ইচ্ছা করছে না। চারদিক থেকে কারা যেন কোরাসের মতো গেয়ে চলেছে...

...সাবধান...খুব সাবধান...

আমি বহু কষ্টে চোখ মেলে দেখলাম। আমার পেছনেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে পেটের তাগিদে এই নির্দয় শহরে চলে আসা কনট্রাক্টর, ফোরম্যান, রাজমিস্ত্রি, রডমিস্ত্রি, ইলেক্ট্রিশিয়ান, প্লাম্বাররা দাঁড়িয়ে আছে। আমি শেষবারের মতো আমার ঘুমন্ত চোখে হিংস্রতা ফুটিয়ে তুলে ওদের ভয় দেখাতে চাইলাম। কিন্তু ওরা কেউ চলে গেল না। শুধু ওদের মধ্য থেকে একজন সামনে এগিয়ে এসে আমাকে দূর দিগন্তের দিকে দেখিয়ে কানে কানে বলল...

...আর এক পা এগুলেই...“মুক্তি!”

কথাটা আমার খুব ভালো লাগলো।...আমি মন্ত্রমুগ্ধের মতো সামনে এগিয়ে গেলাম, সুউচ্চ ইমারতের ওপর থেকে আমি দ্রুত নামতে থাকি আমার মুক্তির দিকে...

আট তলা...সাত তলা...ছয়তলা..


আমার লেখা অন্যান্য গল্পঃ

১) একটি অসমাপ্ত ভালোবাসার গল্প
২) ফেরা
৩) জয়ানালের মধ্যরাতের কবিতা
৪) নিগূঢ় প্রতিবিম্ব
৫) পুনর্জাগরন
৬) একজন জাহেদা বেগম
৭)গল্পঃ আক্ষেপ
৮) পৃথিবীর সবচেয়ে ছোট প্রেমের গল্পটা
৯) শেষ পর্যন্ত
১০) কোন এক অনিয়ন্ত্রিত সকালে
১১) নীরব রজনী দেখো মগ্ন জোছনায়
১২) ভয়
১৩) একটি অসম্পূর্ণ চিঠি
সর্বশেষ এডিট : ১৯ শে আগস্ট, ২০১৫ রাত ১১:০৭
৬টি মন্তব্য ৬টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

ব্লগার'স ইন্টারভিউঃ আজকের অতিথি ব্লগার শায়মা

লিখেছেন অপু তানভীর, ০৪ ঠা মে, ২০২৪ রাত ১১:০৫



সামুতে ব্লগারদের ইন্টারভিউ নেওয়াটা নতুন না । অনেক ব্লগারই সিরিজ আকারে এই ধরণের পোস্ট করেছেন । যদিও সেগুলো বেশ আগের ঘটনা । ইন্টারভিউ মূলক পোস্ট অনেক দিন... ...বাকিটুকু পড়ুন

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

লিখেছেন নতুন নকিব, ০৫ ই মে, ২০২৪ সকাল ৮:৫৬

...এবং উচ্চতায় তুমি কখনই পর্বত প্রমাণ হতে পারবে না

ছবি কৃতজ্ঞতাঃ অন্তর্জাল।

ছোটবেলায় মুরব্বিদের মুখে শোনা গুরুত্বপূর্ণ অনেক ছড়া কবিতার মত নিচের এই লাইন দুইটাকে আজও অনেক প্রাসঙ্গিক বলে মনে হয়।... ...বাকিটুকু পড়ুন

লালনের বাংলাদেশ থেকে শফি হুজুরের বাংলাদেশ : কোথায় যাচ্ছি আমরা?

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:১৪



মেটাল গান আমার নিত্যসঙ্গী। সস্তা, ভ্যাপিড পপ মিউজিক কখনোই আমার কাপ অফ টি না। ক্রিয়েটর, ক্যানিবল কর্পস, ব্লাডবাথ, ডাইং ফিটাস, ভাইটাল রিমেইনস, ইনফ্যান্ট এনাইহিলেটর এর গানে তারা মৃত্যু, রাজনীতি,... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমেরিকার গ্র্যান্ড কেনিয়ন পৃথিবীর বুকে এক বিস্ময়

লিখেছেন কাছের-মানুষ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৪১


প্রচলিত কিংবদন্তি অনুসারে হাতে গাছের ডাল আর পরনে সাধা পোশাক পরিহিত এক মহিলার ভাটাকতে হুয়ে আতমা গ্র্যান্ড কেনিয়নের নীচে ঘুরে বেড়ায়। লোকমুখে প্রচলিত এই কেনিয়নের গভীরেই মহিলাটি তার... ...বাকিটুকু পড়ুন

চুরি! চুরি! সুপারি চুরি। স্মৃতি থেকে(১০)

লিখেছেন নূর আলম হিরণ, ০৫ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৩৪


সে অনেকদিন আগের কথা, আমি তখন প্রাইমারি স্কুলে পড়ি। স্কুলে যাওয়ার সময় আব্বা ৩ টাকা দিতো। আসলে দিতো ৫ টাকা, আমরা ভাই বোন দুইজনে মিলে স্কুলে যেতাম। আপা আব্বার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×