: তুমি সত্যিই কাল আসবে, অবনী?
: কেন? তুমি আসবেনা?
: না। ঠিক তা না...আসলে আমি এখনো বিশ্বাস করতে পারছি না যে কাল তোমার সাথে দেখা হবে। Anyway তুমি কি পড়বে?
: মানে?
: মানে তুমি কি পড়ে আসবে? আমি তোমাকে চিনবো কিভাবে?
: কেন? মোবাইল আছে না...গিয়ে কল দিবে।
: যদি নেটওয়ার্ক না পাওয়া যায়...তখন?
: কালকে তো কোন বিশেষ দিন না যে নেটওয়ার্ক পাওয়া যাবে না...
: কে বলেছে কালকে কোন বিশেষ দিন না!!! কালকে আমাদের প্রথম দেখা হবে...এটা বিশেষ কিছু না???
: নিলয়, আমি কি সেই কথা বলেছি নাকি??? কালকে আমাদের বিশেষ দিন হতে পারে কিন্তু অন্যদের তো আর না। যাই হোক এখন রাখছি। কালকে দেখা হবে...good night….
লাল জামদানীতে বেশ লাগছে অবনীকে। কথাটা অবশ্য তার নিজের না, মা-ই বলেছে। অবশ্য সব মায়ের চোখেই তাদের মেয়েরা বিশ্বসুন্দরী।
শাড়ি খুব একটা পড়া হয় না অবনীর। আজ কি মনে করে যেন শাড়িটাই পড়লো। মায়ের আলমারি থেকে বেছে বেছে লাল একটা জামদানী খুঁজে বের করলো। লাল রংটা নিলয়ের ভীষন পছন্দের। যদিও ও কি পড়ে যাবে তা বলেনি নিলয়কে...তবুও ওকে লাল শাড়িতে দেখলে নিলয় যে ভীষন খুশি হবে তা খুব ভালো করেই জানে অবনী।
প্রায় ৭ মাস ধরে পরিচয় নিলয়ের সাথে। অথচ আজ পর্যন্ত ওদের দেখা হয়নি। পরিচয়টা অবশ্য ফোনে। এই অল্প সময়ে নিলয়কে খুব ভালোবেসে ফেলেছে অবনী। ও জানে নিলয়ও ওকে খুব ভালোবাসে। খুব কথা বলতে ইচ্ছে করছে ওর সাথে। থাক...আর তো কিছুক্ষণই। এরপরে তো ও নিলয়ের সামনে দাঁড়িয়ে মনভরে কথা বলতে পারবে। মাঝে মাঝে যে কি পাগলামী করে সে...
সাড়ে ৪টা বাজে। সেই কখন থেকে অপেক্ষা করছে অবনী, অথচ এখনো নিলয়ের আসার নাম নেই। আসার পর থেকেই একটার পর একটা কল দিয়ে যাচ্ছে অবনী, অথচ নিলয় কিছুতেই ফোনটা ধরছে না। সমস্যা হতেই পারে। তাই বলে জানাবে না। এতোটাই কাণ্ডজ্ঞানহীন হয় মানুষ!!! ভীষন রাগ হচ্ছে অবনীর। এইভাবে একা একা কতক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকা যায়? আরো কিছুক্ষণ অপেক্ষা করবে ও, এর মধ্যে যদি সে না আসে তাহলে চলে যাবে ও।
৫টা বেজে গেছে। না এখনো আসেনি নিলয়। তবে কি ও আসবে না? কেন এমন করলো ও? ভীষন কান্না পাচ্ছে অবনীর। চলে যায় সে। দেখা হয় না তার ভালোবাসার মানুষটার সাথে...
অপেক্ষা (পর্ব - ২)
অপেক্ষা (পর্ব - ৩)
অপেক্ষা (পর্ব - ৪)
অপেক্ষা (শেষ পর্ব)
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩২

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





