অপেক্ষা (পর্ব - ২)
অপেক্ষা (পর্ব - ৩)
অনেকক্ষণ ধরে কলিং বেলটা বেজেই চলছে। ঘুম চোখে কোনমতে উঠে দরজার দিকে দৌড়ে গেল রাতুল। দরজা খুলেই নিলয়কে দেখে অবাক হয়ে যায় রাতুল।
: তুই এখন এখানে? তোর না অবনীর সাথে দেখা করার কথা ছিল? এখানে কি করছিস? চেহারার একী হাল করেছিস? এরকম বিধ্বস্ত লাগছে কেন তোকে?
: সব শেষ হয়ে গেল রে দোস্ত।
: মানে?
: আমার মোবাইলটা চুরি হয়ে গেছে। ওইখানে গিয়ে আমি অবনীর সাথে কন্টাক্ট করতে পারিনি। তবুও অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে ছিলাম। কিন্তু ওমন কাউকেই চোখে পড়লো না।
: তুই দোকান থেকে একটা কল দিতে পারতিস। জানাতে পারতিস ওকে সব। কি ভাববে মেয়েটা এখন?
: আমি তো ওর নম্বর জানি না। নম্বরটাতো মোবাইলে ছিল...কখনো লিখে রাখারও প্রয়োজন পড়ে নি।
: লিখে রাখার প্রয়োজন পড়েনি মানে? আরে শালা মানুষের গার্লফ্রেন্ডের নম্বর মুখস্থ থাকে। এই বুদ্ধি নিয়ে তুই প্রেম করতে গেছিস। তোর দ্বারা কিস্যু হবে না। হাঁদারাম কোথাকার...
: বাদ দে না দোস্ত। যা হবার হয়ে গেছে। এখন কি করবো সেটা বল। আমার মাথা কাজ করতেছেনা।
: কি আর করবি? সিম তুলছিস?
: না।
: চল, আগে সিম তুলি গিয়া। তাহলে অন্তত অবনী ফোন দিলে কথা বলা যাবে। আমার লাইফে আমি এরকম বুদ্ধু দেখি নাই কোথাও।
বাসায় ফেরার পর থেকে মোবাইলটা হাতে নিয়ে বসে আছে নিলয়। অনেক রাত হয়ে গেছে ফিরতে ফিরতে। এর মধ্যে নিশ্চয়ই অনেকবার ফোন করেছে অবনী। কি করছে ও এখন? কত কিই না ভাববে অবনী এখন ওকে নিয়ে। আসলেই তো রাতুল তো ঠিকই বলেছে। অবনীর নম্বরটা মুখস্থ করে রাখতে পারতো সে। একটাই তো নম্বর ছিল। আসলেই কখনো প্রয়োজন পড়েনি। তাছাড়া এরকম কিছু যে ঘটতে পারে সেটাই তো মাথায় ছিল না। সবাই আসলে ঠিকই বলে, তাকে দিয়ে আসলেই কিস্যু হবে না।
অনেক রাত হয়ে গেছে। অবনী নিশ্চয়ই এতোক্ষণে ঘুমিয়ে পড়েছে। কিন্তু এতো নিশ্চিন্ত মনে ও ঘুমাতে পারছে কিভাবে? একটু খোজঁ তো নেবে কেন দেখা হয়নি আমার সাথে। দেখো গিয়ে রাগ করে বসে আছে আমার ফোনের অপেক্ষায়...
কিন্তু তোমাকে কেমন করে ফোন দিব আমি। আমি যে অনেক বোকা একটা ছেলে অবনী। তোমার একটা মোবাইল নম্বর পর্যন্ত আমি মনে রাখতে পারি না, যেই তুমি আমাকে এত্তো ভালোবাসো। ক্ষমা করে দিয়ো আমায়। আর এই ভুল হবে না। শুধু একটিবার ফোন দাও। প্লিজ...প্লিজ অবনী..
অপেক্ষা (শেষ পর্ব)
সর্বশেষ এডিট : ০৬ ই নভেম্বর, ২০১১ বিকাল ৩:৩৩

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।





