মরীচিকা (পর্ব-৩২)
এদিকে রক্তিমদেব ক্রমশ পশ্চিম দিকে ঢলে পড়েছে। আশপাশে কোথাও সোনালী রোদের ঝিলিক দৃষ্টিগোচর হলো না। বরং চারিদিকে বৃক্ষরাজির সুশীতল ছায়া আবছা অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশটিকে আরো অন্ধকারময় করে তুললো। নির্জন প্রকৃতির আবছা অন্ধকারাচ্ছন্ন পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এক অজানা আশঙ্কার কালোমেঘ আমার মনোজগতকে আরও ঘনীভূত করে তুললো। অত্যন্ত সন্তর্পণে বৃক্ষটির বেশ কিছুটা উপরে উঠে একটি মোটা শক্তপোক্ত ডালে বসে যতদূর দৃষ্টি যায় রমেনদাকে নিরীক্ষণ করতে লাগলাম। কিন্তু হায়! ত্রিসীমানায় তার কোন চিহ্ন পেলাম না। এদিকে এতক্ষণ গাছে বসে থেকে ভিতরে ভিতরে আমিও বেশ অস্থির হয়ে উঠলাম। আর ধৈর্য ধরে বসে থাকাটা কোনভাবেই যেন সম্ভব হচ্ছিল না। ভাবলাম রমেনদার জন্য আর অপেক্ষা না করে বরং নিজেই নেমে পড়ি গাছ থেকে। কিন্তু পরক্ষণেই সেই অজানা আশঙ্কা আমার সাহসিকতার সামগ্রিক যোগফলকে শূন্যে নামিয়ে এনে বরং গাছে বসে থাকাটাই নিরাপদ বলে যেন সান্ত্বনা দিতে লাগলো। ফলে এক প্রকার বাধ্য হয়ে গোমরামুখো হয়ে গাছে বসে যখন প্রমাদ গুনছি ঠিক তখনই নিচ থেকে ডাক এলো,
-দাদা এবার নিচে নামুন।
আমি তড়াৎ করে তেড়ে-ফুঁড়ে উঠলাম।উল্লেখ্য এরকম একটি ডাকের অধীর অপেক্ষায় ছিলাম। সেই কখন থেকে রমেনদার কথামতো গাছের ডালে কোনরকম ঝাঁকানি না দিয়ে এতক্ষণ কাটানোর ফলে একপ্রকার ধৈর্যের শেষ সীমান্তে পৌঁছে গেলাম। প্রবল অস্বস্তির মধ্যেও যতটা সম্ভব একভাবে বসে থেকেছি।এহেন রমেনদা আমার দ্রুত নামা দেখে,
-দাদা সাবধানে নামুন। তাড়াহুড়ো করার দরকার নেই, পড়ে যেতে পারেন।
কিন্তু তখন কে শোনে কার কথা। চোখের পলকে আমি নিচে নেমে এলাম এবং সরাসরি জানতে চাইলাম,
-আচ্ছা আমাকে এভাবে গাছে তুলে দিলে কেন? আর তুমিই বা কোথায় গিয়েছিলে?
- দাদা এখন আর কোন ভয় নেই। আসলে ঐ সময় দূরে একটি বড় ভাল্লুকের সঙ্গে দুটি বাচ্চা ভাল্লুককে দেখে আপনাকে নিরাপদে উপরে তুলে দিয়ে আমি দূর থেকে ওদের গতিবিধি লক্ষ্য করছিলাম।
- অ্যা! ভাল্লুক! তাহলে কোনো ভাবে যদি ওরা দেখতে পেত তাহলে তো নির্ঘাত আজ জীবনের শেষ দিন ছিল।
- না দাদা। আপনি ভাল্লুকের নাম শুনে যতটা আঁতকে উঠেছেন, বাস্তবে ভাল্লুক কিন্তু এতটা হিংস্র নয়। বরং বেশ শান্ত, ধীর স্বভাবের এবং নিঃসঙ্গ প্রাণী। আমরা আমাদের বাপ ঠাকুদ্দার মুখে কখনো ওদের দলবেঁধে ঘোরাঘুরির কথা শুনিনি। একইসঙ্গে মা ভাল্লুক বাচ্চাদের শত্রু ভেবে মাঝে মাঝে পথচারী অন্যান্য জীবজন্তুদের আক্রমণ করলেও মানুষকে মারার মতো ঘটনার কথা কখনো শুনিনি।
রমেনদার মুখে এসব কথা শুনে আমার হার্টবিট এক লাফে অনেকটা বেড়ে গেল। আমি আরষ্ট কণ্ঠে বললাম,
-ভাল্লুককে তুমি যতটা শান্ত ও নিরাপদ বলোনা কেন আমার মন বলছে এই অবসন্ন বেলায় না গিয়ে আগামীকাল সকালে রাগমাঝির বাড়িতে যাওয়াটা বোধহয় বেশি নিরাপদ ছিল।
-আর ভয়ের কারণ নেই দাদা। একেবারে সামনে না পড়লে সাধারণত ওরা কাউকে আক্রমণ করে না। আর ফেলে যাওয়া রাস্তায় ওরা সচরাচর ফিরে আসে না।
রমেনদা সাধ্যমত আমাকে বিভিন্নভাবে বোঝাতে লাগলো ;চেষ্টা করল মানসিক শক্তি যোগানেরও। কিন্তু আমার মনের অস্থিরতা কিছুতেই যেন কাটছিলো না। এমনিতেই সারাদিনের প্রবল ক্লান্তিতে চোখ বন্ধ হয়ে ও পা জড়িয়ে আসছিল; তার সঙ্গে নতুন করে যোগ হলো অবিমিশ্রিত ভয়। না জানি এরপরে আরও অজানা কোন আশঙ্কা অপেক্ষা করছে কিনা কে জানে। উল্লেখ্য কল্পনার রাজ্যের বিক্ষিপ্ততা আমাকে রীতিমত আরষ্ট করে তুললো। আমি অকপটে বলেই ফেললাম,
-রমেনদা স্যরি। আমি আর পারছিনা, আমার প্রচন্ড ভয় করছে।
-দাদা আর কোন ভয় নেই। আর তাছাড়া আমরা মাঝির বাড়ির একেবারে কাছেই চলে এসেছি।
-ধুর! তুমি সেই কখন থেকে কেবল চলে এসেছি চলে এসেছি বলছো, অথচ বাস্তবে আমরা হেঁটেই চলেছি।
যাইহোক মাঝির বাড়ির কাছে চলে এসেছি শুনলেও এবারও আমি আশান্বিত হলাম না।ইতিপূর্বে রমেনদা বেশ কয়েকবার এই আপ্তবাক্য শুনিয়ে এসেছে। পাশাপাশি এটা নিশ্চিত হলাম যে রমেনদাকে এখন আর বাড়ি ফেরার কথা বলে লাভ হবেনা। ফলে একপ্রকার নিরুপায় হয়ে পা দুটিকে কোনক্রমে টানতে টানতে এগিয়ে চললাম। নাহ! এবার আর রমেনদার আশ্বাসবাণী অসার হলো না। সামান্য এগোতেই আবার একটা পাড়া চোখে পড়লো। বিক্ষিপ্তভাবে বাড়িগুলি দাঁড়িয়ে আছে। অস্বীকার করবো না যে বাড়িগুলো দেখতে পেয়ে আমিও যেন হাঁফ ছেড়ে বাঁচলাম। মনের অজান্তে রমেনদার উদ্দেশ্যে একটি বোকা হাসি দিতেই,
-দাদা বলছিলাম না যে আমরা একদম শেষ প্রান্তে চলে এসেছি। এটাই রাগমাঝির পাড়া।
-হ্যাঁ সেটা বলেছ ঠিকই।কিন্তু প্রথম থেকে তোমার মুখে বেশ কয়েকবার আর একটু এগুতেই বা চলে এসেছি, এমন কথা শুনতে শুনতে তোমার আশ্বাসবাণীতে যে আমি রীতিমতো বিশ্বাস হারিয়ে ফেলেছিলাম।
কথা বলতে বলতে আমরা একটি আটচালা ঘরের সামনে চলে এলাম। এলাকার মধ্যে এটিই সবচেয়ে বড় বাড়ি বলে মনে হলো। বাড়িটির সামনে এসে ওদের আঞ্চলিক ভাষায় রমেনদা একটি শব্দ করতেই ভেতর থেকে এক ভদ্রলোক উত্তর দিলেন। কিছুক্ষণ পর উনি বাইরে বেরিয়ে এলেন। রমেনদা পরিচয় করিয়ে দিল।আমি নমস্কার করাতে উনিও প্রতিনমস্কার করে আমাদের আগমনের কারণ জানতে চাইলেন। রমেনদা নিজের মুখে বলতে অস্বস্তিবোধ করাতে আমি ঘটনাটি সংক্ষেপে বর্ণনা করি। মুহূর্তে ওনার মুখে চওড়া হাসির ঝিলিক খেলে গেল। আঞ্চলিক ভাষায় কি একটা বলে উনি বাড়ির ভিতরে ঢুকে গেলেন। রমেনদাকে জিজ্ঞাসা করতেই,
-উনি আমাদেরকে অপেক্ষা করতে বলে ভিতরে গেলেন।
কিছুক্ষণ পরে বিভিন্ন বয়সের সাত আট জন ব্যক্তিকে নিয়ে মাঝি হাজির হলেন। উপস্থিত সকলকে উদ্দেশ্য করে তিনি ছোট্ট একটা বক্তৃতাও দিলেন। আমি বোকা বোকা চাহনিতে সকলের মুখ চাওয়াচাওয়ি করতে লাগলাম। ওদের মুখের কথ্য ভাষা নিজে বুঝতে না পারলেও সকলের শরীরী ভাষাতে পরিষ্কার যে তারা মাঝির কথা রীতিমতো উপভোগ করছে। কথার মধ্যে কোন এক সময়ে সকলে জোরে জোরে হাসতে লাগলো। রমেনদাও যোগ দিল ওদের সঙ্গে হাসিতে। কিচ্ছু না বুঝলেও আমিও এক প্রকার নিরুপায় হয়ে ওদের সঙ্গে সংগত দিলাম। আমাদের সঙ্গে ওরাও সেদিন রমেনদার বাড়ির অভিমুখে পা বাড়ালো।
উল্লেখ্য প্রত্যাবর্তনের রাস্তায় সকলের হাসিখুশি রূপ, ওদের মুখের ভাষা না বুঝলেও অন্তরের ভাষা বুঝতে বাকি থাকলো না।রমেনদা ভাল্লুকের প্রসঙ্গ তুলতেই সকলে কৌতুহলী দৃষ্টিতে আমার দিকে তাকিয়ে থাকলো। দলের মধ্যে একজন আকারে-ইঙ্গিতে আমার কাছে বিষয়টি জানতে চাওয়াতে ভাল্লুকের প্রসঙ্গটি আমাকে আবার বর্ণনা করতে হলো। এক্ষেত্রে রমেনদা দোভাষীর ভূমিকা পালন করল। স্বল্পসময়ে মধ্যেও সদাহাস্যময় লোকগুলো তখন আমার কতই না আপনজন, কতই না বন্ধু বলে মনে হলো।ওদের সঙ্গে হৈ হট্টগোল করে ফেরার ফলে কখন যে রমেনদার বাড়িতে এসে পৌঁছালাম তা টেরই পায়নি।
রাগমাঝির সঙ্গে কথা বলে বুঝলাম আদিবাসী সমাজে অনেক রকম বিবাহ রীতি প্রচলিত আছে। মিলিদির বর্তমান ও তার পূর্ববর্তী জীবনের নিঃসঙ্গতা বা দুর্ভাগ্যের কথা রাগমাঝির সঙ্গে পরিচয় করলাম। টুস্কি বাপলা নামক বিবাহ রীতিতে ওদের বিবাহ বন্ধন সম্পন্ন হবে বলে মাঝি ঘোষণা করলেন। এই বিশেষ বিবাহ রীতি সম্পর্কে জানতে চাওয়ায় উনি বললেন,
-যেহেতু কনের কোনো আত্মীয়-স্বজন নেই বা কনে বিবাহের খরচ বহন করতে অপারগ, তাই বরের বাড়িতেই বিবাহ সম্পন্ন হবে।তবে কনেকে একটা বেতের ধামায় সামান্য কিছু উপাদেয় বা ফলমূল নিয়ে উপস্থিত হতে হবে।
খানিকবাদেই পার্শ্ববর্তী বাড়িগুলোর সহযোগিতায় প্রয়োজনীয় উপাদেয় সম্বলিত বেতের ধামা তৈরি হলো। ধামাটি প্রায় অর্ধেক পরিপূর্ণ হল। আর হবে নাই বা কেন, আশপাশের বাড়ির সকলেই যে সেদিন রমেনদার বাড়িতে ভিড় জমিয়েছিল। দরিদ্র মানুষগুলো প্রত্যেকেই যে যেভাবে পারে মিলিদির পাশে দাঁড়িয়েছিল।প্রতিবেশীদেরই কোন একজনের একটি লাল শাড়িতে মিলিদিকে বিয়ের কনে তৈরি করা হলো। এত কম সময়ের মধ্যে যতটা সম্ভব সুন্দর করে প্রতিবেশীরা মিলিদিকে সাজিয়ে তুলেছিল। বিয়ের সাজ যেকোনো কনেকে বড় আকর্ষণীয় করে তোলে। সেদিন নতুন সাজে মিলিদিকে দেখে আমি সত্যিই চমৎকৃত হলাম। অন্যদিকে রমেনদাও সুন্দর ধুতি পাঞ্জাবি পরে বিয়ের পোশাকে প্রস্তুত হলো। কন্যা পক্ষের ভূমিকাটি আমাকেই পালন করতে হয়েছিল। একই বাড়িতে বিয়ের আয়োজন হওয়াতে দুদিকেই আমাকে সমান তদারকি করতে হয়েছিল। সমস্ত প্রস্তুতি পর্ব সম্পন্ন হলে একসময় উপস্থিত সকলের সামনে মিলিদি রমেনদার উদ্দেশ্যে উপাদেয় নিবেদন করলে তুমুল হর্ষধ্বনি যোগে জনতা ফেটে পড়ে। হিন্দু বিবাহ রীতির অনুকরণে রমেনদা এক টাকার একটি কয়েনে সিঁদুর লাগিয়ে মিলিদির সিঁথিতে পরিয়ে দিল।
পরেরদিন গ্রামবাসীদের উদ্দেশ্যে রমেনদা একটি প্রীতিভোজের আয়োজন করে। আদিবাসী সমাজের শুকর খুব জনপ্রিয় মাংস। গ্রামবাসীরা সেদিন রমেনদার কাছে শুকর খাওয়ার দাবি করেছিল। কিন্তু রমেনদা আমাকে অস্বস্তির মধ্যে না ফেলতে খাসির মাংসের প্রস্তাব দেয়। গ্রামবাসীরাও সে প্রস্তাব সানন্দে গ্রহণ করে। সে মত পরেরদিন জোড়া খাসি যোগে সমগ্র আদিবাসী পাড়া রমেনদা-মিলিদির নতুন জীবনের গীতি আলেখ্যা রচনায় সাক্ষী হয়ে মহানন্দে মেতে ওঠে। বিগত দুদিনের ধুমধাম মহাহুল্লোড়ের মধ্যে সময়টি যে কিভাবে কেটে গেছে টেরই পেলাম না। ব্যস্ততা কমতেই আবার প্রত্যাবর্তনের কথা মনে এলো। কাজেই সে রাতটুকু কোনোক্রমে কাটিয়ে পরেরদিন খুব ভোরে হোস্টেলের উদ্দেশ্যে রওনা দেই।
ফেরার পথটি ছিল আমার কাছে অত্যন্ত বিষাদে পরিপূর্ণ। সমগ্র রাস্তায় প্রচন্ড নিঃসঙ্গ বোধ করি। রমেনদার গ্রামের বিচিত্র অনুভূতির কথা বারে বারে চোখের সামনে ভেসে উঠতে লাগলো। সম্পূর্ণ অনাত্মীয় মানুষগুলোর এমন প্রেমানুভূতির কথা, বিভিন্ন রকম অভিব্যক্তি, বন্ধুবৎসল আচরণ এই নিঃশব্দে প্রত্যাবর্তন কালে আবারো একবার জীবন্ত বলে মনে হলো। সদাহাস্যময় মানুষগুলোকে ইহজীবনে আর কখনো এভাবে কাছে পাবো বলে মনে হয় না। জানিনা এখানে আর কখনো আসা হবে কিনাও। তবে যে আন্তরিকতা আপ্যায়নে গত দুদিনে বন্দিত হয়েছি বা ওরা যেভাবে আমাকে উচ্চাসনে প্রতিষ্ঠিত করে তুলেছিল সে ভালোবাসার মায়াজাল একদিকে আমার অন্তরকে আর্দ্রতায় সিক্ত করে তুললো। অপরদিকে আবদ্ধ করে ফেললো এক আদি ও অকৃত্রিম মায়াবী বন্ধনে যা থেকে মুক্তি কার্যত বাকি জীবনে সম্ভব বলে মনে হলোনা। অথচ যে ভালোবাসার কথা এখানে আসার পূর্বে আমার কল্পনার জগতেও ছিল অকল্পনীয়।
সেদিন বিকালে হোস্টেলে ফিরে জানতে পারলাম সভাপতি মহাশয় আমাকে তলব করেছেন। জরুরি তলব শুনে বেশ ঘাবড়ে গেলাম।এখন আর রমেনদা বা মিলিদি নেই যে কারণটি সহজেই জানতে পারবো। উপস্থিত কয়েকজনকে কানাঘুষো জিজ্ঞাসাবাদ করে কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করে ব্যর্থ হলাম। বিষন্ন মনে রুমে গিয়ে ফ্রেশ হয়ে ভেবেই চলেছি, তবে কি মিলিদি-রমেনদার বিবাহকে উনি ভালোভাবে নিতে পারেননি?অথবা আমার প্রত্যক্ষ মদতে এই বিয়েতে ওনার আপত্তি জানিয়ে বিদ্যালয়ের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে আমাকে হোস্টেল ছাড়তে বাধ্য করবেন? যাইহোক সভাপতি মহাশয়ের তলব জরুরি বলে কথা! কাজেই ভাবনায় লাগাম পরিয়ে পোশাক বদল করে তৈরি হলাম তলবের সম্মুখিন হতে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য:-সর্বশেষ অনুচ্ছেদটি শ্রদ্ধেয় ব্লগার মা. হাসান ভাইয়ের না পড়তে অনুরোধ রইলো।
আমার একমাত্র পুত্র শ্রন্থন চৌধুরী( মেঘ )দ্বিতীয় কবিতা:
মানুষ
মানুষ হতে গেলে কত কিছু করতে হয়,
মানুষ হতে গেলে কত কিছু শিখতে হয়।
মানুষ হওয়া সহজ কাজ নয়,
আবার মানুষ হওয়া কঠিন কাজও নয়।
কেউ কেউ বলে আমি এই হব ওই হব,
বিজ্ঞানী হব ইঞ্জিনিয়ার হব।
কিন্তু এটা বলে না কেউ
আমি এক সত্য মানুষ হবো।
সত্য মানুষ হওয়া জীবনের সবচেয়ে বড় লক্ষ্য
তারপর বিজ্ঞানী ইঞ্জিনিয়ার যা খুশি হতে পারো।
সত্য মানুষ হতে গেলে সত্য রাস্তায় চলতে হয়।
আর সত্য রাস্তায় যারা চলে
তাদের সঙ্গ কখনো খারাপ হয় না।
এইজন্য সত্য রাস্তায় চললে সত্য মানুষ হওয়া যায়।
মূল কবিতাটি স্ক্রিনশট দেয়া হল।
.
মরীচিকা (পর্ব-৩০)
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ১:০৩