somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

কক্সবাজার ভ্রমণ ২০২০ : আগ্গ মেধা ক্যাং

২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



কক্সবাজার ভ্রমণ ২০২০ এর যাত্রা শুরু ২৮শে সেপ্টেম্বর ২০২০ বাংলাদেশ বিমানের দুপুর ২টার ফ্লাইটে। ঢাকা থেকে রওনা হয়ে ৪০ মিনিটে প্লেন থেকে পাখির চোখে দেখা অপরূপ দৃশ্যের স্বাদ নিতে নিতে আমরা ৪ জন পৌছে যাই কক্সবাজার এয়ারপোর্টে। এয়ারপোর্ট থেকে বেরিয়ে একটি ইজিবাইক ভাড়া করে চলে আসি কক্সবাজারের লাবনী পয়েন্টের কল্লোল হোটেলের রেস্টুরেন্ট কাশুন্দি-তে। এখানে দুপুরের খাবার খেয়ে পাশেই হোটেল অভিসারে উঠে আসি। তারপর চলে যাই সাগর সৈকতে প্রথম দিনে সূর্যাস্ত দেখবো বলে। বিকেল আর সন্ধ্যেটা কাটে সাগর পারে ভাড়া করা বিচ চেয়ারে আয়েসী আলসেমীতে চারধার দেখতে দেখতে।

পরদিন ২৯ সেপ্টেম্বরে সকালে নাস্তা সেরে চলে আসি সাগর পারে। শুরু হয় কক্সবাজার ভ্রমণ ২০২০ এর দ্বিতীয় দিনের সমূদ্র স্নান। অনেকটা সময় নিয়ে চলে সমূদ্র স্নান আর ছবি তোলা। সমূদ্র স্নান শেষে হোটেলে ফিরে দুপুরে লাঞ্চ শেষে আমরা বেড়াতে যাই রেডিয়েন্ট ফিস ওয়ার্ল্ডের রঙ্গীন মাছের দুনিয়ায়। বেশ কিছুটা সময় নিয়ে নানান প্রজাতির মাছ দেখা শেষে বের হই সেখান থেকে।
এবার আমাদের গন্তব্য পুরনো বার্মীজ মার্কেটের পিছনে অবস্থিত আগ্গ মেধা বৌদ্ধ ক্যাং



এর আগে বেশ কয়েকবার গেছি এখানে। আবারও ৫০ টাকায় একটি ইজিবাইক ভাড়া নিয়ে চললাম বৌদ্ধ ক্যাং এর দিকে। অল্প সময় পরেই পৌছে গেলাম আগ্গ মেধা বৌদ্ধ ক্যাং এর সামনে। কিন্তু মূল ফটক বন্ধ। কাজ চলছে প্রবেশ পথের। পাশের গলিপথ ধরে না ভিন্ন পথে যাওয়া যায় ভিতরে। একজন পথ দেখিয়ে নিয়ে চললো। টুরিস্টদের কাছ থেকে কিছু বকশিসের আশায় এরা গাইডের ভূমিকায় নামে আগেও দেখেছি এখানে এসে।







বাড়িঘরের মাঝদিয়ে অলিগলি ঘুরে একসময় এসে পৌছলাম মূল বৌদ্ধ ক্যাং এর পিছনে। এখানেও মন্দিরে প্রবেশের পথ বন্ধ। শুনলাম ওদের প্রধানধর্মগুরু মারা গেছে কিছুদিন আগে। একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত ওরা শোক পালন করে এবং কিছু ক্রিয়াকলাপ থাকে। ফলে দর্শনার্থীদের প্রবেশ তখন বন্ধ করে দেয়া হয়।

































এখানেই তৈরি হয়েছে বা বলাচলে তৈরি হচ্ছে একটি ভাষ্কর্য। এটি গৌতম বুদ্ধের ভাষ্কর্য। এটি পূজিত হবে কিনা জানি না। পূজিত হোক বা না হোক আকার তার বিশাল, ছবিতে কতোটা বুঝা যাচ্ছে জানি না। কাজ প্রায় শেষের পথে।




















এখানে বেশ কয়েকটি স্মৃতিস্তূপ রয়েছে। কিছু ছোট ছোট স্তূপের মতো, কিছু আবার নকশিদার করবের মত। আছে বোধিবৃক্ষ বা অশ্বত্থ গাছ, বেশপুরনো।























এর পূর্বদিকে আছে একটি বেশ বড় আকারের বৌদ্ধ স্তূপ। সাদা র করা এই স্তূপটি হিলটপ সার্কিট হাউসের উপর থেকে দেখা যতো আগে। এখনো হয়তো দেখা যায়। এই স্তূপটির কাছে যাওয়া হয়নি। শুনেছি ঐ অংশটুকু নিরাপদ নয়।




অল্প সময়ে বৌদ্ধ মন্দির দেখে আবার সেই গলিপথে ফেরার পালা মূল রাস্তায়। মূল রাস্তায় এসে দেখি আকাশে ক্ষীণ একফালি রং ধনু দেখা যাচ্ছে, ক্যামেরায় কিছুই আসতে চাইলো না।



পাশেই দেখলাম একজন নানান ধরনের খাবার বিক্রি করছে। তারকাছে আছে বাসা থেকে রান্না করে আনা মাঝারি সাইজের কাঁকড়া। আমার পরিবারে আমি ছাড়া আর কেউ কাঁকড়া খায় না। তাই দুটি কাঁকড়া কিনে নিলাম বেশ সস্তায়। খেতে কিন্তু বেশ হয়েছিলো। আমি হাজার টাকায় রেষ্টুরেন্টে গিয়ে খেয়েছি, আবার এক ভাতিজা নিজের বাসায় রান্না করে খায়িয়েছে। কক্সবজারেই ভাজাও খেয়েছি। এই চাচা মিয়ার কাঁকড়া রান্নাটা সম্পূর্ণ ভিন্ন রকম ছিলো।



বোদ্ধ ক্যাং থেকে ইজিবাইক নিয়ে চললাম পুরনো ঝিনুক মার্কেটের দিকে। এ্যারপোর্টের কাছেই ঝিনুক মার্কেটে পৌছতে পৌছতে সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসে। দেখলাম ঝিনুক মার্কেটের দৈন্যদশা, আর বেশী দিন টিকে থাকবে না হয়তো।



চলবে.....


ভ্রমণ সংক্রান্ত আমার সকল লেখার লিংক -
মরুভূমির জলদস্যুর ভ্রমণ বিলাস
সর্বশেষ এডিট : ২৭ শে ডিসেম্বর, ২০২০ সকাল ১১:২৯
৮টি মন্তব্য ৮টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

মুখ গুজে রাখা সুশীল সমাজের তরে ,,,,,,,,

লিখেছেন ডঃ এম এ আলী, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৪:০৫


দুর্যোগ যখন নামে আকাশে বাতাশে আগুনের ধোঁয়া জমে
রাস্তা জুড়ে কখনো নীরবতা কখনো উত্তাল প্রতিবাদের ঢেউ
এই শহরের শিক্ষিত হৃদয়গুলো কি তখনও নিশ্চুপ থাকে
নাকি জ্বলে ওঠে তাদের চোখের ভেতর নাগরিক বজ্র
কেউ কেও... ...বাকিটুকু পড়ুন

পেচ্ছাপ করি আপনাদের মূর্খ চেতনায়

লিখেছেন সত্যপথিক শাইয়্যান, ২০ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ১১:৩৮

আপনারা হাদি হতে চেয়েছিলেন, অথচ হয়ে গেলেন নিরীহ হিন্দু গার্মেন্টস কর্মীর হত্যাকারী।
আপনারা আবাবিল হয়ে অন্যায়ের বিরুদ্ধে দাড়াতে চেয়েছিলেন, অথচ রাক্ষস হয়ে বিএনপি নেতার ফুটফুটে মেয়েটাকে পুড়িয়ে মারলেন!
আপনারা ভারতীয় আধিপত্যের বিরুদ্ধে... ...বাকিটুকু পড়ুন

নজরুল পরিবারের প্রশ্ন: উগ্রবাদী হাদির কবর নজরুলের পাশে কেন?

লিখেছেন মাথা পাগলা, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ রাত ৩:০১



প্রায় অর্ধশতাব্দী আগে কাজী নজরুল ইসলামের দেহ সমাধিস্থ করা হয়েছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় মসজিদের পাশে। শনিবার বাংলাদেশের স্থানীয় সময় বিকেল ৪টে নাগাদ সেখানেই দাফন করা হল ভারতবিদ্বেষী বলে পরিচিত ইনকিলাব মঞ্চের... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাদির আসল হত্যাকারি জামাত শিবির কেন আলোচনার বাহিরে?

লিখেছেন এ আর ১৫, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ সকাল ১০:৫৪


গত মাসের শেষের দিকে জামায়াতের সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পারওয়ারের ছেলে সালমান, উসমান হাদির সঙ্গে খু*নি ফয়সালের পরিচয় করিয়ে দেন। সেই সময় হাদিকে আশ্বস্ত করা হয়—নির্বাচন পরিচালনা ও ক্যাম্পেইনে তারা... ...বাকিটুকু পড়ুন

দিপুকে হত্যা ও পোড়ানো বনাম তৌহিদী জনতা!

লিখেছেন সৈয়দ মশিউর রহমান, ২১ শে ডিসেম্বর, ২০২৫ বিকাল ৩:০৫


পাইওনিয়ার নিটওয়্যারস বিডি লিমিটেড (Pioneer Knitwears (BD) Ltd.) হলো বাদশা গ্রুপের (Badsha Group) একটি অঙ্গ প্রতিষ্ঠান। বাদশা গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান কর্ণধার হলেন জনাব বাদশা মিয়া, যিনি একইসাথে এই... ...বাকিটুকু পড়ুন

×