Common Name : Macaw, Blue and yellow Macaw, Blue and gold Macaw
Binomial name : Ara ararauna
এদের বাংলা কোনো নাম না থেকলেও বাংলাদেশে এরা ম্যাকাও নামে পরিচিত। ম্যাকাও নামটি ব্রাজিলের টুপি ভাষা থেকে এসেছে যার অর্থ হল "বড় গাঢ় তোতাপাখি"।
ম্যাকাও দক্ষিণ আমেরিকান একটি বড় আকারের তোতা প্রজাতির পাখি। এদের পিঠের ও পাখার উপরের অংশ বেশিরভাগই নীল রঙের। আর বুকের নিচের অংশ হালকা কমলা রঙের। এদের মাথার উপরে সবুজ রঙের অল্প একটু ছোপ থাকে। এদের পা ধূসর রঙের। এদের মুখে প্রায় কোনো পালক নেই বললেই চলে এবং চোখের চারপাশে একটি ডোরাকাটা প্যাটার্ন থাকে। ম্যাকাওদের খুবই শক্তিশালী ঠোঁট রয়েছে। এই ঠোঁট ব্যবহার করে তারা যেকোনো বীজের খোসা ভাঙ্গতে পারে। তাছাড়া গাছে উঠতে ও ঝুলতেও তারা ঠোঁটের ব্যবহার করে।
এরা বাদাম খেতে খুব পছন্দ করে। বাদামের পাশাপাশি নানান ধরনে বীজ, ফল, পাতা খায়। তাছাড়া পোকামাকড়, শামুক ইত্যাদিও খেয়ে থাকে।
স্ত্রী পাখিটি সাধারণত দুই বা তিনটি ডিম পারে। স্ত্রী পাখিটি প্রায় ২৮ দিন ধরে ডিমে তা দেয়। সাধারণত প্রথম ডিম ফুটে যে ছানাটি বের হয় সেটি বেশী এ্যাক্টিভ হয় এবং খাবারের বেশী অংশ পায়। অন্য ডিমগুলি থেকে যে ছানারা জন্ম নেয় সাধারণত তারা নীড়েই মারা যায়। বাচ্চাগুলি জন্ম নেয়ার প্রায় ৯৭ দিন পর বাসা থেকে উড়ে প্রকৃতিতে বেরিয়ে যায়। এদের বয়স ৩ থেকে ৬ বছর হলেই এরা বংশবিস্তারের জন্য প্রস্তুত হয়। পুরুষ পাখির রং সাধারণত উজ্জ্বল এবং গাঢ় রং থাকে। এই সৌন্দর্য তাকে ভাল একটি স্ত্রী সঙ্গী পাওয়ার সুযোগ করে দেয়। ম্যাকাও বন্য অবস্থায় সাধারনত ৩০ থেকে ৩৫ ইঞ্চি লম্বা হতে পারে। এদের ওজন ১ থেকে ১.৫ কেজি হতে পারে। ম্যাকাওরা সাধারণত ৬৫ থেকে ৭০ বছর পর্যন্ত বাঁচতে পারে।
ম্যাকাওরা ভার্জিয়া, গ্রীষ্মমন্ডলীয় দক্ষিণ আমেরিকার বনভূমি এবং সাভানারা বনভূমিতে বাস করে। এই প্রজাতিটি কলম্বিয়া, ভেনিজুয়েলা, পেরু, ব্রাজিল, বলিভিয়া, ইকুয়েডর এবং প্যারাগুয়েতে দেখা যায়।
তাদের আকর্ষণীয় রঙ, কথা বলার ক্ষমতা, বিশাল আকার, পোষ মানার প্রবণতা এবং মানুষের সাথে ঘনিষ্ঠতার স্বভাবের কারণে পোষা পাখি হিসেবে এরা খুবাই আকর্ষণীয় ও জনপ্রিয়। তবে এদের দাম তুলনামূলক অন্যান্য পোষা পাখির তুলনায় অনেক বেশী।
সুইডিশ প্রকৃতিবিদ কার্ল লিনিয়াস ১৭৫৮ সালে তার Systema Naturae-এর দশম সংস্করণে এই ম্যাকাওদের আনুষ্ঠানিকভাবে লিপিবদ্ধ করেছিলেন।
শিক্ষক ও শিষ্য
ছবি তোলার স্থান : বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব সাফারি পার্ক, গাজীপুর, বাংলাদেশ।
ছবি তোলার তারিখ : ১৪ই জানুয়ারি, ২০১৪ খ্রীষ্টাব্দ।
তথ্য সূত্র : অন্তর্জাল।
ছবি ও বর্ণনা : নিজ।
=================================================================
সিরিজের পুরনো পর্বগুলি দেখতে -
পাখ-পাখালি - ০১, পাখ-পাখালি - ০২, পাখ-পাখালি - ০৩, পাখ-পাখালি - ০৪, পাখ-পাখালি - ০৫
পাখ-পাখালি - ০৬, পাখ-পাখালি - ০৭, পাখ-পাখালি - ০৮, পাখ-পাখালি - ০৯ পাখ-পাখালি - ১০
পাখ-পাখালি - ১১, পাখ-পাখালি - ১২, পাখ-পাখালি - ১৩, পাখ-পাখালি - ১৪, পাখ-পাখালি - ১৫
পাখ-পাখালি - ১৬, পাখ-পাখালি - ১৭, পাখ-পাখালি - ১৮, পাখ-পাখালি - ১৯, পাখ-পাখালি - ২০
পাখ-পাখালি - ২১, পাখ-পাখালি - ২২, পাখ-পাখালি - ২৩, পাখ-পাখালি - ২৪, পাখ-পাখালি - ২৫
পাখ-পাখালি - ২৬, পাখ-পাখালি - ২৭