প্রত্যেক রাতে ঘুমাতে যাওয়ার আগে মনে হয়, যদি সকালটাকে দেখতে না পাই। কেউ যদি জিজ্ঞেস করেন, পৃথিবীর সবচেয়ে বিস্ময়কর জিনিস কি? তাহলে বলব, মানুষের বেঁচে থাকা। মানুষ ঘর থেকে বাইরে বের হলেই কেমন হিংস্র হয়ে যায়। অমানবিক হয়ে যায়। নিষ্ঠুর হয়ে যায়। অথচ মানুষের হওয়া উচিত- মানবিক, হৃদয়বান ও বিবেকবান। এমনিতেই আমাদের দেশটা ছোট, মানুষ বেশি, অদক্ষ ও অযোগ্য লোক সবখানে। কাজেই নিজের ও দেশের শান্তির জন্য দেশের সমস্ত লোকজনকে মানবিক হতে হবে। জানি, জীবন দুঃখপূর্ণ। দুঃখের হাত থেকে কারও নিস্তার নেই। জন্ম, জরা, রোগ, মৃত্যু সবই দুঃখজনক। আসলে মানুষের কামনা-বাসনা সবই দুঃখের মূল। মাঝে মাঝে যে সুখ আসে তাও দুঃখ মিশ্রিত এবং অস্থায়ী। অবিমিশ্র সুখ বলে কিছু নেই।
পরী অস্ট্রেলিয়া গিয়ে প্রতিদিন আমাকে নানান রকম ছবি পাঠাচ্ছে। আমি মন দিয়ে ছবি গুলো দেখি। আর মুগ্ধ হই! ছবি গুলো দেখে বুঝা যায় মেয়ে বেশ আনন্দেই আছে। আমি তো মনে প্রানে চাই- মেয়েটা আনন্দে থাকুক। ভালো থাকুক। সুস্থ থাকুক। যাই হোক, সকালে খিলগাও বাজারে গেলাম। বাজারে গিয়ে দেখি বাজারের অনেকটা অংশ ভেঙ্গে ফেলা হয়েছে। রেল লাইনের পাশেই এই বিশাল বাজার। বাজারের কমিটির লোকজন অবৈধ ভাবে রেলের জায়গা দখল করে বছরের পর বছর ধরে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে। লাখ লাখ টাকার ব্যবসা। রেল লাইনের আশে পাশে বহু পরিবার ঘর বানিয়ে থাকতো। কম পক্ষে ত্রিশ হাজার লোক তো হবেই। এত এত দোকান, এত এত ঘর ভেঙ্গে ফেলল রেল কর্তৃপক্ষ। তাহলে এখন যাদের দোকান ভেঙ্গে ফেলেছে বা ঘর ভেঙ্গে ফেলেছে তারা কোথায়? কেমন আছে? আমি খোজ নিলাম, কেউ কেউ গ্রামে চলে গেছেন। কেউ কেউ রাস্তায় ঘুমাচ্ছেন। কেউ কেউ বস্তিতে উঠেছেন।
অদ্ভুত একটি উপন্যাস মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের 'দিবারাত্রির কাব্য'। গতকাল আরেকবার পড়লাম। কিছু কিছু বই আমি প্রতি বছর একবার করে পড়ি। যেমন, শরৎচন্দ্রের 'দত্তা'। আমার ভীষন প্রিয়। রবীন্দ্রনাথের 'শেষের কবিতা'। 'নন্দিত নরকে' হুমায়ূন আহমেদ। যতবার পড়ি ততবার মুগ্ধ হই। একটুও বিরক্ত লাগে না। বর্তমানে পড়ছি সমরেশ মজুমদারের 'নন্দনকানন'। নন্দনকানন বইটি কোনো গল্প বা উপন্যাস নয়। লেখকের গত ত্রিশ বছরের বিভিন্ন সময়ে পত্র পত্রিকায় লেখা কলাম গুলো সংগ্রহ করে বই আকারে বের করা হয়েছে। পড়তে বেশ ভালো লাগছে। গতকাল রাতে একটি মুভি দেখেছি। চমৎকার মুভি। দুর্দান্ত। সেই রকম একটা মুভি। গ্যারান্টি দিয়ে বলতে পারি আপনার সময় অপচয় হবে না। ইচ্ছা করলে মুভিটি আপনারাও দেখতে পারেন। আমি লিংক দিয়ে দিচ্ছি। এই যে লিংক
আজ ছিল এই অভাগার জন্মদিন।
পরিচিত-অপরিচিত মানুষের ভালোবাসা পেয়ে আমি মুগ্ধ!! অসংখ্য মানুষ আমাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। গতকাল রাত বারোটায় পরিবারের সবাইকে নিয়ে কেক কেটেছি। কেক কাটার মোটেও ইচ্ছা ছিল না। আমি ঘুমিয়ে পড়েছিলাম। গভীর ঘুম। আমাকে ঘুম থেকে টেনে তোলা হয়েছে। এজন্য আমি খুব বিরক্ত। যাই হোক, ইচ্ছা ছিল বিকেলে সুরভি কে নিয়ে বের হবো। কিন্তু আজ বের হওয়া যাবে না। জন্মদিন উপলক্ষ্যে কিছু আত্মীয় স্বজন আসবেন বাসায়। তাদের জন্য রানাবান্না করতে হবে। এই জন্যই সকালে বাজারে যেতে হয়েছে। জন্মদিন বলে আজকের দিনটিকে আমি বিশেষ দিন মনে করছি না। আমার কাছে সব দিনই সমান। বরং আজকের দিনটি আমার জন্য বিরক্তকর একটি দিন। লোকজন আসবে, শুকনো হাসি বিনিময় করতে হবে। অপ্রয়োজনীয় কথা বার্তা বলতে হবে।
হয়তো এই পাহাড় সমান উঁচু হতে চায় কেউ,
আমি মাটিতে মেশা ঘাস হতে ভালোবাসি,
যার মাড়িয়ে যাওয়ার সে মাড়িয়ে যাক ঘাস-
তবু ঘাসের বুকেই জমে শিশিরবিন্দু।
সর্বশেষ এডিট : ১০ ই অক্টোবর, ২০১৯ দুপুর ১:৫১