somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

পোস্টটি যিনি লিখেছেন

রাজীব নুর
আমার নাম- রাজীব নূর খান। ভালো লাগে পড়তে- লিখতে আর বুদ্ধিমান লোকদের সাথে আড্ডা দিতে। কোনো কুসংস্কারে আমার বিশ্বাস নেই। নিজের দেশটাকে অত্যাধিক ভালোবাসি। সৎ ও পরিশ্রমী মানুষদের শ্রদ্ধা করি।

এই সমাজ- ৯

১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:০০
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকাই মঙ্গল।
কারন মানুষ খারাপ। বিশ্বাস করুন প্রতিটা বাঙ্গালী খারাপ। তাই খারাপ থেকে দূরে থাকুন। একা থাকুন। বাংলায় একটা কথা আছে- ‘যে একা সে’ই সামান্য’। কথাটা ভুল। কারন দুষ্ট গরুর চেয়ে শূন্য গোয়াল অনেক ভালো। আজকাল এমন হয়ে দাঁড়িয়েছে যে, মানষের সাথে সম্পর্ক রাখাই মুশকিল। সবাইকে আমার বিষাক্ত সাপ মনে হয়। সব মানুষ ভাব দেখায়। আন্তরিকতা দেখায়। তাদের ভাব, আন্তরিকতা সবই মেকি। একটা গান আছে- ‘মানুষ ধরো মানুষ ভজো’। ভুল গান। যুগ বদলে গেছে। ভালো থাকতে হলে, আনন্দ নিয়ে বাঁচতে হলে মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকতে হবে। মানুষের কাছে থাকলেই মানুষ আপনার আনন্দ মাটি করে দিবে। মানুষ আসলেই খারাপ। এই সমাজ আজ এমন হয়েছে যে নিজের মার পেটের ভাইকে পর্যন্ত বিশ্বাস করা যায় না।

হুমায়ূন আহমেদের একটা নাটক দেখেছিলাম।
নাটকের নাম পক্ষিরাজ। চমৎকার নাটক। নাটকটি আমি কমপক্ষে দুই শ' বার দেখেছি। নাটকে একটা ডায়লগ ছিল- ‘মানুষ খারাপ’। ইয়েস। আসলেই মানুষ খারাপ। বর্তমান সময়ে কোনো ভালো মানুষ নেই। আমার এক বন্ধু শাহেদ। শাহেদ জামাল। সে গত দশ বছর ধরে কারো কাছে যায় না। সে একাএকা থাকে। একাএকা থাকে মানে বাবা-মা, ভাই বোন এবং নিজের স্ত্রী। এছাড়া সে বাইরের মানুষের সাথে মিশে না। একসময় এই শাহেদ জামাল সারাক্ষণ নানান মানুষের সাথে ঘুরে বেড়াতো। আড্ডা দিত। একদিন সে বুঝতে পেরেছে- আত্মীয় স্বজন, বন্ধু বান্ধব, পরিচিত-অপরিচিত সবার কাছ থেকে দূরে থাকাই ভালো। কারন মানুষ আপনার ভালো দেখতে পারবে না।
নিজের পরিবারের বাইরে কাউকে বিশ্বাস করা ঠিক না। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত সারাদিন তো কত মানূষের সাথে কথা বলতে হয়। সেই কথা বলার মধ্যে সমস্যা নাই। কিন্তু এর বাইরে কারো সাথে কথা না বলাই ভালো। তারা আপনার শান্তি-আনন্দ নষ্ট করে দিবে। কাজেই মানুষ থেকে দূরে থাকুন।

এই সমাজে কাউকে বিশ্বাস করলেই ঠকতে হবে।
ধরা খেতে হবে। আপনার 'ক্ষতি' এবং 'অপমান' আপনাকে বাইরের মানুষ করবে না। কাছের পরিচিত মানুষ গুলোই করবে। কাজেই কাছের পরিচিত মানুষ গুলোর সাথে সম্পর্ক না থাকলে তারা আপনার ক্ষতি করতে পারবে না। কটু কথা বলতে পারবে না। ক্ষতি করতে পারবে না। একা থাকাই সবচেয়ে ভালো। বদমাশদের সাথে না মিশে- বই পড়ুন, মুভি দেখুন, পাহাড়, নদী আর সমুদ্র ভ্রমন করুন। নিজের পরিবারের সদস্যদের সাথে গল্প করুন। ব্যস, সুন্দর সময় পার হয়ে যাবে। অযথা আগ বাড়িয়ে কারো সাথে কথা বলার কোনো দরকার নাই। প্রয়োজনে অপরিচিত মানুষের কথা বলবেন। কিন্তু পরিচিত মানুষদের এড়িয়ে যাবেন। এরা আপনার সর্বনাশ করে ছাড়বে। যারা আপনাকে কটু কথা বলে, ক্ষতি সাধারন করে, আপনাকে নিয়ে হাসি তামাশা করে, কটাক্ষ্য করে, আড়ালে গীবত করে তাদের কাছ থেকে অবশ্যই দূরে থাকবেন। তাতে আপনার লাভ'ই হবে।

মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব।
এই কথা এযুগের জন্য প্রযোজ্য না। এই যুগে মানুষ ভন্ড, প্রতারক, অমানুষ, বেয়াদপ। ইয়াবা, গাঁজা, ফেনসিডিল, পিস্তল ইত্যাদি খারাপ জিনিস গুলো থেকেও মানুষ আরো বেশী খারাপ। হয়তো আপনি এখন বলবেন, কিছু মানুষ তো ভালো। না, কিছু মানুষও ভালো না। যাদেরকে আপনি ভালো বলছেন, তারা ভালোর মূখোশ পড়ে আছে। স্বচ্ছ, পবিত্র, সৎ, আন্তরিক, মানবিক এবং হৃদয়বান মানুষ এযুগে নাই। চাকরিজীবি, ব্যবসায়ী, ছাত্র, কবি-সাহিত্যিক, ফকির, সাংবাদিক, রাজনীতিবিদ, শ্রমিক, বুদ্ধিজীবি, কোটিপতি কেউ ভালো না। সব শ্রেনীর মানুষ’ই বদ। বিরাট বদ। কাজেই মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকুন। আমি ঠিক করেছি। আমি একা থাকবো। আপন মনে থাকবো। বই পড়বো, খাবো, লিখব, মুভি দেখব, ঘুরে বেড়াবো। তবু মানুষদের সাথে মিশবো না। মানুষের কাছ থেকে ঠকে, দুঃখ-কষ্ট, অপমান-অবহেলা পেয়ে-পেয়ে আমার শিক্ষা হয়েছে।

আড্ডা দেওয়া বন্ধ করতে হবে।
নিজের কাজ শেষ করে, পরিবারে সময় দেন। তারপরও হাতে সময় থাকলে বই পড়ুন। মুভি দেখুন, লিখুন, গান শুনুন। তবু মানুষের সাথে কোনো প্রকার আলাপে যাবেন না। এই সমাজের মানুষ আপনার কোনো উপকার করবে না। শুধু উপকারের ভাব দেখাবে। সামনে হয়তো আপনাকে দুই একটা ভালো কথা বলবে কিন্তু আড়াল হলেই গালমন্দ করবে। কথায় আছে না, বোবার শত্রু নেই। তাই মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকুন। নিজের কর্মকান্ড নিয়েই নিজেকে ব্যস্ত রাখুন। যারা বলে ‘বন্ধু ছাড়া লাইফ ইমপসিবল’। তারা এই কথাটা ভুল বলে। এযুগে বন্ধুরাই বুকে তীরটা সবার আগে মারে। এই সমাজে কোথাও গিয়ে আপনি শান্তি পাবেন না। অফিস, আদালত, চায়ের দোকান, আড্ডায়, ফুটপাত, বন্ধুর বাসা, বাজার সব জায়গায় ভন্ড মানুষ। কাজেই মানুষ থেকে দূরে থাকুন। ভালো থাকবেন। আনন্দে থাকবেন।
সর্বশেষ এডিট : ১২ ই অক্টোবর, ২০১৯ রাত ১০:০০
১২টি মন্তব্য ১২টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

জামায়াত শিবির রাজাকারদের ফাসির প্রতিশোধ নিতে সামু ব্লগকে ব্লগার ও পাঠক শূন্য করার ষড়যন্ত্র করতে পারে।

লিখেছেন মোহাম্মদ গোফরান, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৪৯


সামু ব্লগের সাথে রাজাকার এর সম্পর্ক বেজি আর সাপের মধ্যে। সামু ব্লগে রাজাকার জামায়াত শিবির নিষিদ্ধ। তাদের ছাগু নামকরণ করা হয় এই ব্লগ থেকেই। শুধু তাই নয় জারজ বেজন্মা... ...বাকিটুকু পড়ুন

হাওরের রাস্তার সেই আলপনা ক্ষতিকর

লিখেছেন সেলিনা জাহান প্রিয়া, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ১১:৫৯

বাংলা বর্ষবরণ উদযাপন উপলক্ষে দেশের ইতিহাসে দীর্ঘতম আলপনা আঁকা হয়েছে কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম হাওরের ‘অলওয়েদার’ রাস্তায়। মিঠামইন জিরো পয়েন্ট থেকে অষ্টগ্রাম জিরো পয়েন্ট পর্যন্ত ১৪ কিলোমিটার দীর্ঘ এই আলপনার রং পানিতে... ...বাকিটুকু পড়ুন

ছবির গল্প, গল্পের ছবি

লিখেছেন আরেফিন৩৩৬, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৩:১৫



সজিনা বিক্রি করছে ছোট্ট বিক্রেতা। এতো ছোট বিক্রেতা ও আমাদের ক্যামেরা দেখে যখন আশেপাশের মানুষ জমা হয়েছিল তখন বাচ্চাটি খুবই লজ্জায় পড়ে যায়। পরে আমরা তাকে আর বিরক্ত না করে... ...বাকিটুকু পড়ুন

বাঙ্গালির আরব হওয়ার প্রাণান্ত চেষ্টা!

লিখেছেন কাল্পনিক সত্ত্বা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:১০



কিছুদিন আগে এক হুজুরকে বলতে শুনলাম ২০৪০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে নাকি তারা আমূল বদলে ফেলবেন। প্রধানমন্ত্রী হতে হলে সূরা ফাতেহার তরজমা করতে জানতে হবে,থানার ওসি হতে হলে জানতে হবে... ...বাকিটুকু পড়ুন

অবিশ্বাসের কি প্রমাণ আছে?

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৬ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩১



এক অবিশ্বাসী বলল, বিশ্বাসের প্রমাণ নাই, বিজ্ঞানের প্রমাণ আছে।কিন্তু অবিশ্বাসের প্রমাণ আছে কি? যদি অবিশ্বাসের প্রমাণ না থাকে তাহলে বিজ্ঞানের প্রমাণ থেকে অবিশ্বাসীর লাভ কি? এক স্যার... ...বাকিটুকু পড়ুন

×