স্ত্রী: এই শোন, আমি যখন কাজে ব্যস্ত থাকবো তখন হঠাৎ করে আমাকে পেছন থেকে জড়িয়ে ধরবেনা । বুঝেছ ??
এই কথা শুনে পাশের ঘর থেকে কাজের বুয়া বলে উঠল : “হ আফা! আফনেই বুঝান তারে। আমিতো বুঝাইতে বুঝাইতে হয়রান হইয়া গেছি।
এক দেশে ছিল এক রাজপুত্র।
আরেক দেশে ছিল এক রাজকন্যা। রাজকন্যার এক অদ্ভুত ব্যাপার ছিল, সে শুধুই ঘুমাত। তার ঘুম কখনো ভাঙত না। এ সংবাদ পেয়ে ওই রাজকুমার ঘোড়ায় চেপে ছুটে গেল সেই রাজকন্যার দেশে। তারপর সে ওই ঘুমন্ত রাজকন্যার গায়ের ওপর পানি ছিটিয়ে দিল, চামড়া আর শুঁটকির ঘ্রাণ শুঁকাল কিন্তু রাজকন্যার ঘুম আর কিছুতেই ভাঙে না। অবশেষে রাজকুমার তার ল্যাপটপ অন করল। তারপর ‘রাজকন্যার ঘুম ভাঙানোর উপায়’ লিখে গুগলে সার্চ দিল। কম্পিউটারের বলে দেওয়া উপায় অনুযায়ী রাজকুমার রাজকন্যার শিয়রে রাখা মাশকারা আর আইলাইনার ডান চোখের নিচে ছোঁয়াল। অমনি রাজকন্যা ঘুম থেকে জেগে উঠল। তারপর তারা বিয়ে করে সুখে-শান্তিতে বসবাস করতে থাকল।
এক দেশে ছিল এক রাজকন্যা।
তবে সে অন্য রাজকন্যাদের মতো মূর্খ ছিল না। সে বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ত। একদিন ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ক্যাডার তাকে কিডন্যাপ করল। এ খবর পেয়ে পাশের দেশের রাজকুমার বাড়তি ভাড়ায় সিএনজি ঠিক করে সোজা চলে এল রাজকন্যার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। কিন্তু কোনো কূল- কিনারা করতে না পেরে সে গেল বিশ্ববিদ্যালয়ের বড় ক্যাডারের কাছে। সে রাজপুত্রকে বলল, ওই কিডন্যাপকারীকে মারতে হলে বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে যেতে হবে। সেই হলে আছে একটি দলীয় রুম, সেই রুমে আছে একটি বিছানা, সেই বিছানায় আছে একটি বালিশ, সেই বালিশের নিচে আছে একটি চাবি, সেই চাবি দিয়ে বিছানার নিচে লুকিয়ে রাখা সুটকেসটা খুলতে হবে। সেই সুটকেসের মধ্যে আছে একটি চাদর, সেই চাদরের নিচে আছে একটি বিদেশি পিস্তল। ওই পিস্তল দিয়েই কিডন্যাপকারীদের বশ করতে হবে। সাহসী রাজকুমার সবকিছু কথামতো করে উদ্ধার করে আনল রাজকুমারীকে।
ট্রেন আস্তে আস্তে চলতে শুরু করলে একজন গ্রাম্য লোক লাফিয়ে তাতে উঠে পড়ল। উঠে দেখল কামরাটা প্রথম শ্রেণীর। সাহেবি পোশাক পরা এক ভদ্রলোক কামরার একমাত্র যাত্রী। গ্রাম্য লোকটি বলল, পরের স্টেশনেই আমি নেমে যাব, স্যার।
: এত কুন্ঠিত হচ্ছ কেন তুমি। এসো গল্প করা যাক।
: আমি কিই-বা জানি আর কিই বা-বুঝি। জানি শুধু কয়েকটা ধাঁধা।
: তা হলে এস একটা বাজি হয়ে যাক। তুমি ধাঁধা বলবে আমি উত্তর দেব, তারপর আমি একটা বলল, তুমি উত্তর দিবে। তুমি অশিক্ষিত, তাই তুমি জবাব দিতে না পারলে আমাকে পাঁচ টাকা দেবে আর আমি না পারলে দেব দশ টাকা।
: ঠিক আছে স্যার, একদান খেলে দেখা যাক। বলুন তো স্যার, কোন প্রাণীর তিনটি পা আছে এবং আকাশে উড়তে পারে?
সাহেব লোকটাকে দশ টাকা দিয়ে বললেন, পারছি না। তুমি বল তে কোন প্রানী। লোকটা সাহেবের দেওয়া দশ টাকা থেকে পাঁচ টাকা ফিরিয়ে দিয়ে বলল, আমিও পারি না, স্যার।
মধ্যরাত্রে আকাশের দিকে তাকালে বুকের মধ্যে যেন কেমন করে ! আর কত গুলো গ্রহ আছে ? পৃথিবীর নিকটতম নক্ষত্রটিও চার আলোকবর্ষ দূরে । কোনো দিন মানুষ কি পারবে- আলোর গতি সঞ্চার করতে ? আলোর গতির সাথে মানূষের পক্ষে পারা সম্ভব নয় । কোটি কোটি আলোকবর্ষ দূরে দূরে ছড়িয়ে থাকা কোটি কোটি নক্ষত্রপুঞ্জের কাছে কোনোওদিনই পৌছাতে পারবে না মানুষ । কল্পবিজ্ঞানে কত কী হয় । কিন্তু মানুষের বিজ্ঞান এখন সেই অসম্ভব কল্পনার ধারে কাছে পৌছায়নি । এক সময় অন্ধকারে চাপা পড়ে যাবে- মানূষের কাব্য-দর্শন-বিজ্ঞান, আইনস্টাইন-প্লেটো-শেকসপীয়ার-সক্রেটিস-রবীন্দ্রনাথ, সবাই এবং সব কিছু । তবে কি বৃথাই মানূষের এই বেঁচে থাকা ?
সর্বশেষ এডিট : ১৩ ই অক্টোবর, ২০১৯ বিকাল ৩:৫০