আকাশ ফর্সা হতে শুরু করেছে।
মসজিদ থেকে ফযরের আযান ভেসে আসছে। অত্যন্ত মনোমুগ্ধকর আযান। মন প্রান সব জুড়িয়ে যায়। বিশেষ করে যখন হুজুর 'হাইয়্যা আলাছ ছালাহ্' ও 'হাইয়্যা আলাল ফালাহ্' বলে টান দেন। যার অর্থ- তোমরা নামাযের দিকে ছুটে এসো, তোমরা সাফল্যের দিকে ছুটে এসো। ভালো করে লক্ষ্য করে দেখবেন আযানের পরপর পাখিরা কিচির মিচির শব্দ করে উড়তে শুরু করে। হয়তো খাবারের সন্ধানে বের হয়।
ফজর নামাজ আদায় করার জন্য এক লোক ভোরবেলা ঘুম থেকে উঠে ওযূ করে মসজিদে যাচ্ছেন। মাঝপথে লোকটি পা পিছলে পড়ে গেলেন। লোকটির কাপড় নষ্ট হয়ে গেল। সে বাসায় ফিরে এসে কাপড় বদলিয়ে আবার ওযূ করে মসজিদের দিকে রওয়ানা দিলেন।
মাঝপথে আবার সে পা পিছলে পড়ে গেলেন। তাঁর কাপড় ময়লা হয়ে গেল। তিনি আবার বাসায় গেলেন এবং কাপড় বদলিয়ে ওযূ করে আবার মসজিদের দিকে রওয়ানা দিলেন।
লোকটি মাঝ পথে আসতে লন্ঠন হতে এক লোকের সাথে দেখা।
লোকটি জিজ্ঞাস করল, আপনি কে?
সে উত্তরে বলল, আমি আপনাকে দু'বার রাস্তায় পা পিছলে পড়ে যেতে দেখলাম তাই ভাবলাম মসজিদের যাওয়ার জন্য আমি একটি প্রদীপের ব্যবস্থা করে দেই।
লোকটি লন্ঠন হাতে তাঁকে মসজিদ পযর্ন্ত এগিয়ে দিল।
লোকটি সাহায্যকারীকে বললেন, চলুন ফযরের নামায আদায় করে নিই ।
লন্ঠন হাতে লোকটিকে বারবার বললার পরও লোকটি নামাজ পড়তে রাজী হলো না।
তখন লোকটিকে প্রশ্ন করল, আচ্ছা আপনি নামাজ পছন্দ করেন না, বলুনতো আপনি কে?
লোকটি বলল, আমি শয়তান।
আমি আপনাকে প্রথম বার পা পিছলিয়ে ফেল দিয়েছিলাম যাতে মসজিদে নামায না পড়ে আপনি বাড়ী ফিরে যান। কিন্তু আপনি যখন পা পিছলিয়ে পড়ে যাওয়ার পরও বাড়ী গিয়ে ফিরে আসলেন তখন আল্লাহ্তালা আপনার সব গোনাহ্ মাফ করে দিলেন।
দ্বিতীয়বার যখন আপনি পড়ে যাওয়ার পরও বাড়ী গিয়ে কাপড় বদলিয়ে আবার মসজিদে রওয়ানা দিলেন তখন আল্লাহ্তালা আপনার পরিবারের সকলের গোনাহ্ ক্ষমা করে দেন।
এর পর যদি আপনি আবার পড়ে গিয়ে আবার বাড়ী থেকে কাপড় বদলিয়ে আবার মসজিদে আসেন, না জানি আল্লাহ্তালা সকল এলাকাবাসীর গোনাহ্ মাফ করে দেন। সে ভয়ে আমি তাড়াতাড়ি লন্ঠন হাতে আপনাকে মসজিদে পৌছে দিয়ে গেলাম।
সর্বশেষ এডিট : ০৭ ই নভেম্বর, ২০১৯ বিকাল ৩:৪৮