১। গুলতেকিন সঠিক কাজটিই করেছেন! শূন্যতা পূরুন করতে, বন্ধু হয়ে কাছে থাকতে একজন কে আইনগত ভাবে জীবনের সুখ দুখের ভাগিদার করেছেন! যেটা তাঁর অনেক আগেই করা উচিত ছিলো! আপনাদের দুজনকেই আন্তরিক অভিনন্দন! খুব ভাল থাকবেন, ভাল বন্ধু হয়ে দুজনে দুজনার হয়ে!
২। আমাদের দেশে বিয়ে এখনো একটা যৌনতাড়িত ব্যপার। যৌনকাতরতায় ভুগতে থাকা লোকেরা বিয়ে করে ফেলেন, এই সংস্কৃতি থেকেও বের হওয়া দরকার। যৌনতা আর বিয়ে এক করার কিছু নাই। ইওরোপের দিকে দেখা যায় যে, কোন কোন কাপলের দুই তিনটা বাচ্চা হয়ে যাওয়ার পর লোকেরা বিয়ের সিদ্ধান্ত নেয়। কেন বিয়ে করতে হয়, গুলতেকিনের বিয়ের পর মনে হয় এই বিষয়ে লোকেরা ঠিকঠাক বোঝার চেস্টা করবেন।
৩। গুলতেকিন খান যদি বিয়ে না করে একসাথে থাকার সদর্ভ ঘোষণা দিতেন তবে দেখতে পারতাম বঙ্গের প্রগতিশীলরা কতটা অভিনন্দন দিয়ে ভরিয়ে দিতেন সোস্যাল মিডিয়া!
বিদ্র. গুলতেকিন খান স্বাধীন মতে খুবই সমাজস্বীকৃত স্বাভাবিক পথে বিয়ে করেছেন, অভিনন্দন ও শুভকামনা তার-তাদের জন্য!
৪। গুলতিকিন অনেক সুন্দরী ছিলেন, আমরা নিউ পল্টনে তাদের বাসার খুব কাছে ছিলাম,
উনি বিয়ে করে ঠিক কাজ করেছেন বলবো না, তবে আমার মনে হয়, আরো আগে করলে আমরা খুশি হতাম, কারন উনিকে বিয়ে করার জন্য অনেক বাঘা বাঘা সাহিত্য ও সংস্কৃতির মানুষ ছিলেন।
৫। হুমায়ুন আহমেদ হয়তো ভাল লেখক ছিলেন তবে নারীলোভী ছিলেন সেটা প্রমাণিত ! অন্যদিকে গুলতেকিন যে একজন ভাল মানুষ, ভাল পরিবারের সন্তান সেটা তার কার্যকলাপের মধ্যেই ফুটে উঠে ! উনি যদি হুমায়ুন মার্কা কারেক্টারের হতেন তবে তো সন্তানদের কথা চিন্তা না করে অনেক আগেই বিয়ে করতে পারতেন ! আবার তিনি যে হুমায়ুনের মত রুচিহীন নন সেটার প্রমাণ মিলে উনার সিলেকশন দেখে, উনি উনার বয়স এবং স্টেটাসের সাথে মিল রেখে সন্তানদের পরিপূর্ণ সমর্থন নিয়েই বিয়ে করেছেন। স্যালুট।।
৬। লোকজনের কি খেয়েদেয়ে কাজ নেই?
সমাজে কিছু একটা ঘটলেই লাফালাফি-ফালাফালি শুরু করে দেয়। কে বিয়ে করলো, কে বিয়ে করলো না, কে কাকে ছেড়ে দিলো, ছেড়ে দিয়ে অন্য কাউকে বিয়ে করলো- ইত্যাদি নানান রকম ঘটনা নিয়ে লোকজন ফেসবুক আর ব্লগে কেন এত মাতামাতি করে? ওদের কি কোনো কাজ নাই? দেশে তো সমস্যার শেষ নেই। সেদিকে কারো নজর নেই। ফালতু সব বিষয় নিয়ে লাফালাফি। আসলে ফালতুরাই এসব বিষয় নিয়ে লাফালাফি করে। একজন স্বচ্ছ এবং সৎ মানুষ অন্যের বিষয় নিয়ে নাচে না। এটা হলো ভন্ডদের কাজ। কেউ না খেয়ে থাকলে তাকে তো খাবার দেন না। কোনো বেকার যুবকের চাকরির ব্যবস্থা করে দেন না। তাহলে অন্যের বিষয় নিয়ে কেন আপনারা লাফান? আপনাদের লজ্জা করে না। ছিঃ
সর্বশেষ এডিট : ১৮ ই নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ১০:৪৭