১। সোমাবার রাতের ঘটনা।
রাত ১১ টায় বিছানায় গেলাম। ঠিক করলাম আজ ঘুম না এলেও চোখ বন্ধ করে পড়ে থাকব। ঘুমের দরকার আছে- সুন্দর এবং সুস্থভাবে বেঁচে থাকার জন্য। অনেক রকম চেষ্টা করেও ঘুম আর এলো না। এপাশ ওপাশ করতে করতে ফযরের আযান দিয়ে দিল।
তখন একটা ঝিমুনি এলো। আর স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম- বাসে উঠতে গিয়ে পড়ে গেছি। পা ভেঙ্গে গেছে। আমাকে হাসপাতালে নেওয়া হলো। ডাক্তার বলছে- পা কেটে ফেল। আমি বললাম- না না আমার পা কাটবেন না। ডাক্তার বললেন- চুপ, কোনো কথা না। হলুদ দাঁত বের করে নার্স বলল- অসুবিধা নেই, আমাদের হাসপাতাল থেকেই হুইলচেয়ার দেয়া হবে।
২। মঙ্গলবার রাতের ঘটনা।
অনেকরাত পর্যন্ত লিখলাম আর পড়লাম। বিছানায় শুয়ে অনেকক্ষন গেমস খেলে-খেলে মোবাইলের চার্জ শেষ করে ফেললাম। শেষে ঘুম। আর ঘুম মানে স্বপ্ন।
স্বপ্নে দেখি- আমার অস্টেলিয়া যাওয়ার ভিসা হয়ে গেছে। প্লেনের টিকিট আমার হাতে। কিন্তু সুরভি খুব মন খারাপ করে এয়ারপোর্ট এ আমাকে বিদায় দিতে এসেছে। সুরভি'র কাছ থেকে বিদায় নিয়ে আমি প্লেনে উঠলাম। আর ঠিক তখন প্লেনের মধ্যে আমি চিৎকার চ্যাচামেচি করতে লাগলাম। আমি যাব ন..., আমি যাব না...। সুরভিকে ফেলে আমি যাব না। প্লেন থামাও।
৩। ঘটনা বুধবারের-
সুরভি বিরানী রান্না করছে। সে অস্থির বিরানী রান্না করে।
যাই হোক, রাত ১১ টায় আমি কিছুক্ষন ফেসবুকে গুতাগুতি করে বিছানায় গেলাম। সুরভি গভীর ঘুমে। তার কোনো ঘুমের সমস্যা নেই। বালিশে মাথা রাখা মাত্র গভীর ঘুমে তলিয়ে যায়।
আমি বিছানায় শুয়ে আছি কিন্তু আমার খুব ভয় করছে। কিসের ভয় জানি না। একবার মনে হচ্ছে কেউ ছাদে হাঁটছে। একবার মনে হচ্ছে দরজায় কেউ নক করছে। আবার মনে হচ্ছে- পাশের ঘরে কেউ আছে।
প্রচন্ড ভয় নিয়ে ঘুমিয়ে পড়লাম। আর স্বপ্ন দেখা শুরু করলাম। আমার সব মৃত আত্মীয় স্বজনরা আমার পাশে বসে আছেন। তারা সবাই সাদা জামা পড়া। তাদের দেখে আমি খুশি না হয়ে বরং ভয়ে অস্থির। তারা আমাকে নিয়ে যেতে আসছে। আমি যাব না। তবু তারা জোর করছে। আমি দৌড়াচ্ছি। পথ ঘাট কিছুই চিনি না। অন্ধকার রাস্তা।
৪। রবিবার রাতের ঘটনা।
স্বপ্নে দেখি, আমি রবীন্দ্রনাথের সাথে দেখা করতে শিলং পাহাড়ে যাই। রবীন্দ্রনাথ পাহাড়ের শেষ প্রান্তে দাঁড়িয়ে দূরে নদীর দিকে তাকিয়ে আছেন। তার হাতে 'বাইবেল'। আকাশ ভয়ানক মেঘলা। যে কোন সময় বৃষ্টি নামবে। আমার হাতে ভদকা'র পেট চ্যাপ্টা বোতল। আমি খুব নিরবে রবীন্দ্রনাথের পাশে গিয়ে দাঁড়াই।
তিনি আমার দিকে না তাকিয়েই বললেন- এই বিশ্রী জিনিস খায় কি করে ছেলেরা? ওয়াক থু! এর চেয়ে চিরতার রস অনেক ভালো। আমি বললাম, আমি খাব। আজ নেশা করে ছাড়ব। রবীন্দ্রনাথ খুব'ই কোমল গলায় বললেন- দেখিস আবার মাতলামো শুরু করিস না যেন।তারপর বিড়বিড় করে বললেন- আশ্চর্য মানুষ,আর তাদের আশ্চর্য জীবন।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে নভেম্বর, ২০১৯ সকাল ৯:৩৪