৩১ তারিখ থেকে সাধারণ ছুটি শেষ।
ট্রেন, বাস, লঞ্চ সবই চলবে। সরকার বলবে স্বাস্থ্যবীধি মেনে, সীমিত আকারে। যদিও দেশের অসভ্য জনগন তা মানবে না। লকডাউন শেষে অমুক জায়গায় যাবো, তমুকের সাথে খাবো, ঘুরে বেড়াবো, বাড়ি যাবো- ভুলেও এসব করতে যাবেন না। প্লীজ। ভুলে যাবেন না- লকডাউন না থাকলেও করোনা কিন্তু আছে। নিজে কিভাবে বাচবেন এবং নিজের পরিবারকে কিভাবে বাচাবেন তা আপনাকেই খুজে বের করতে হবে। আপনার নিজের এবং পাশের জনের সুরক্ষার দায়িত্বও আপনার। নামে মাত্র করোনা ইউনিট খুলেছিল ইউনাইটেড হাসপাতাল। ভেতরে দাহ্য পদার্থের ছড়াছড়ি। আবার আগুন নেভানোর জন্য রাখা ১২ এক্সটিংগুইশারের ৯ টাই ছিল বিকল। সুস্থ থাকলে হলে- কিছু বিষয় খেয়াল রাখা জরুরী।
১। পরিবারের সিনিয়র সিটিজেনদের এবং অন্য রোগে অসুস্থ যারা তাদের আলাদা ভাবে যত্নের সাথে রাখুন। তাদেরকে পুষ্টিকর খাবার খাওয়ান। খাবারের সাথে লেবু অবশ্যই রাখবেন। ভিটামিস সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। আল্লাহ না করুক করোনা হয়েই গেলে যাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি তারাই বেঁচে যাবেন।
২। শখের শপিং বাদ দিন, বিনা কারনে বাইরে যাওয়া সম্পূর্ন বন্ধ করুন। খুব জরুরী ছাড়া কিছুই কিনতে বের হবেন না। আগে বাচুন। বাচলে বহু কেনাকাটা করতে পারবেন।
৩। প্রতিদিনের বাজার প্রতিদিন না করে সপ্তাহে একদিন করুন, পনের দিনে একদিন বা মাসে একদিন করার চেষ্টা করুন। মনে রাখবেন বাইরের বিপদ। ঘরে বিপদ নাই। নিজের বুঝ তো পাগলেও বুঝে। আপনি বুঝবেন না কেন?
৪। রাস্তার মোড়ে দাঁড়িয়ে আড্ডা বাদ দিন। আড্ডা যদি দিতেই হয়- ফোনে আড্ডা দিন বন্ধুদের সাথে। কিছু কিছু মানুষ কাজ নেই তবু রাস্তায় ঘুরাঘুরি করে। এই আহাম্মক শ্রেনী দেশের শত্রু। বাসায় থাকুন। বই পড়ুন। মুভি দেখুন। রান্না শিখুন। ঘরের কাজ করুন।
৫। চাকরির খাতিতে যদি বাইরে যেতেই হয়- ভীড়ের বাস এড়াতে সাইকেল কিনে ফেলুন। সাইকেল না থাকলে আর অফিস যদি কাছেই হয় হেঁটে অফিস যান। মোট কথা ভিড়ের মধ্যে যাবেন না। বন্ধু হোক, কলিগ হোক, হোক মামা চাচা।
৬। পারলে বাসায় পার্মানেন্ট কাজের মানুষ রাখুন কিন্তু কোনোভাবেই ছুটা কাজের মানুষ রাখবেন না। ছুটা বুয়াকে ছুটি দিয়ে দেন। তবে হ্যা তাকে সেলারি অবশ্যই দিবেন। করোনায় দয়া করে অমানবিক হবেন না।
৭। কারো বাসায় যাবেন না। ভাই, বন্ধু, কলিগ, আত্মীয়স্বজনের বাসায় বেড়াতে যাওয়া পরিহার করুন। বিয়ে, দাওয়াত, মেজবান, চল্লিশা, জন্মদিনের পার্টির মত বিষয়গুলো আপাতত শিকেয় তুলে রাখুন। বিয়ে যদি করতেই হয় তবে অনুষ্ঠান না করে কাজি আর দুপরিবার মিলে করুন। নিচে বাচুন। অন্যকেও বাচতে দিন।
৮। যেসব অফিসে হোম অফিসে কাজ করা সম্ভব তারা এমপ্লয়িদের বাসায় রেখেই কাজ করান। অবশ্য কিছু খাইস্ট্রা মালিক আছেন। তারা কর্মীদের অফিসে নিবেনই। কিছু করার নেই। বদ লোক তো দুনিয়ায় ভরা। যদি আপনার টাকার সমস্যা না থাকে তাহলে অফিসেও যাবেন না।
৯। অবশ্যই মাস্ক ব্যবহার করুন এবং হাত সাবান দিয়ে অনেকবার ধোন। নাকে, চোখে, মুখে হাত দেবেন না। সচেতন হোন, সর্তক থাকুন। বেঁচে থাকুন। অন্যকেও বাচতে দেন।