আমি জিয়াকে পছন্দ করি।
কারন উনি একজন সৎ লোক ছিলেন। ক্ষমতায় থাকাকালীন সময়ে উনি কোনো দূর্নীতি করেন নি। কিন্তু অনেক ভুল কাজ করেছেন। রাজাকার গোলাম আযমকে দেশে ফিরিয়ে এনেছেন। বড় পদে বসিয়েছেন। বঙ্গবন্ধু তাকে ‘বীর উত্তম’ খেতাব দিয়েছিলেন। এবং সেনা বাহিনির প্রধান করেছিলেন। উনি 'বীর উত্তম' এর মযার্দা রাখতে পারেন নি। অথচ জিয়াউর রহমান দেশকে ভালোবাসতেন। এবং বলা যায়- দেশের জন্যেই প্রান দিয়েছেন। মাঝে মাঝে আমার মনে হয় জিয়ার মধ্যে বদমাশ, ক্ষমতালোভী খন্দকার মোশতাকের ছায়া পড়েছিলো।
১৯৮১ সালে সরকারি সফরে জিয়া চিটাগাং যান।
সেখানেই একদল সেনা সদস্য তাকে হত্যা করে। এবং রাউজান এলাকায় কবর দিয়ে দেয়। অবশ্য তিন দিন পর লাশ উঠিয়ে ঢাকায় এনে কবর দেওয়া হয়। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নিহত হওয়ার ১০ দিন পর জিয়া বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর প্রধান নিযুক্ত হন। ১৯৭৮ সালের ডিসেম্বরে তিনি বাংলাদেশ সেনাবাহিনী থেকে অবসরগ্রহণ করেন। জিয়াউর রহমান অনুভব করেছিলেন যে একটি দেশকে ভালোভাবে শাসন করতে হলে দল গঠন অপরিহার্য। ১৯৭৭ সালে জিয়া বিএনপি দল গঠন করে। বর্তমানে তার দলের অবস্থা একেবারে খারাপ। এরকম চললে হয়তো তার দল চিরতরে মুছে যাবে।
জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের সপ্তম রাষ্ট্রপতি ছিলেন।
জিয়াউর রহমান হত্যাকাণ্ডের সময় সেনাবাহিনীর প্রধান ছিলেন হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ। জিয়াউর রহমান রাজনীতিতে আসেন ১৯৭৫ সালের ৭ নভেম্বরের সিপাহি-জনতা বিপ্লবের মাধ্যমে। জিয়াউর রহমান প্রথমে সেক্টর কমান্ডার এবং পরে জেড ফোর্সের কমান্ডার হিসেবে স্বাধীনতাযুদ্ধ করেন। জিয়াউর রহমান বলতেন, I will make politics difficult for the politicians. রাষ্ট্র পরিচালনাকালীন জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে অনেক উচ্চপদস্থ সামরিক কর্মকর্তা ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হন।
সৌদি বাদশা ফাহাদ জিয়াকে আমন্ত্রন জানান।
জিয়াউর রহমান বাদশার জন্য উপহার হিসাবে নিয়ে গেলেন পাঁচ শ' নিম গাছের চারা। এরকম অদ্ভুত উপহার পেয়ে বাদশা ভীষন খুশি। সৌদিতে এই নিম গাছকে বলা হয় 'জিয়া গাছ'। মুজিব হত্যার পর এলোমেলো বাংলাদেশ সঠিক দিকনির্দেশনা দিয়েছিলেন জিয়া। যাই হোক, জিয়া ক্ষমতায় থাকাকালীন অনেক ভুল করেছেন। এগারো হাজার রাজাকারকে মুক্তি দিয়েছেন। ১৯৭৭ এর হ্যা ভোট করেছিলেন। ইতিহাস কখনো মিথ্যা হয়ে যায় না। অনেকে হয়তো বিকৃত করার চেষ্টা করে বাট সত্য চিরকালই সত্য থাকে। জানার আগ্রহ থাকলে জানা যায়।
সর্বশেষ এডিট : ৩০ শে মে, ২০২০ বিকাল ৫:৫৬