হে ঈমানদারগণ, আল্লাহ ও তার রসূলের নির্দেশ মান্য কর, যখন তোমাদের সে কাজের প্রতি আহবান করা হয়, যাতে রয়েছে তোমাদের জীবন। জেনে রেখো, আল্লাহ মানুষের এবং তার অন্তরের মাঝে অন্তরায় হয়ে যান। বস্তুতঃ তোমরা সবাই তারই নিকট সমবেত হবে। সুরা আনফাল।
আল আনফাল কুরআনের ৮ নম্বর সূরা।
এর আয়াত সংখ্যা ৭৫ টি। আল আনফাল সূরাটি মদিনায় অবতীর্ণ হয়েছে। এ সূরার নাম সূরা আল-আনফাল; কারণ সূরার প্রথম আয়াতেই এ শব্দটির উল্লেখ আছে, যার অর্থ যুদ্ধলব্ধ সম্পদ। কেউ কেউ এ সূরাকে সূরা ‘জিহাদ' নামেও অভিহিত করেছেন। এ সূরাটি বদর যুদ্ধের পর নাযিল হয়। আনফাল হচ্ছে গনীমত। এটি রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের জন্য খাস ছিল, এ থেকে আর কারও কোনো অংশ ছিল না। সূরা আল আনফাল পড়তে চাইলে।
আল আনফাল সূরাটিতে বদরের যুদ্ধের ঘটনা,
গনীমতের মালের বিধান, বদরের যুদ্ধে আল্লাহর সাহায্য লাভ, বন্দিদের বিধান, যুদ্ধের ময়দান থেকে পলায়ন করার শাস্তি, রাসূলকে হত্যার ষড়যন্ত্রকারীদের ষড়যন্ত্রকে বানচাল করা ইত্যাদি বিষয়গুলো আলোচনা করা হয়েছে। ক্কার কাফেররা রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে হত্যার ষড়যন্ত্র করলে তাদের ষড়যন্ত্রকে বানচাল করে আল্লাহ তা‘আলা তাঁর রাসূলকে কীভাবে রক্ষা করলেন তা এ সূরায় খুব সুন্দরভাবে চিত্রায়িত করা হয়। ইসলামের ইতিহাসে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ঘটনা বদরের যুদ্ধ। এ যুদ্ধে আল্লাহ তা‘আলা আসমান থেকে ফিরিশতা অবতরণ করে মুসলিম সৈন্য ও মুজাহিদদের সাহায্য করেছিলেন। আসমানী সাহায্য লাভের কথাও এ সূরায় তুলে ধরা হয়।
'মুমিন তো তারাই আল্লাহর কথা আলোচিত হলেই যাদের অন্তর কেঁপে উঠে, আর তাদের কাছে যখন তাঁর আয়াত পঠিত হয়, তখন তা তাদের ঈমান বৃদ্ধি করে আর তারা তাদের রবের ওপর নির্ভর করে। তারা সালাত ক্বায়িম করে, আর আমি তাদেরকে যে জীবিকা দিয়েছি তাত্থেকে ব্যয় করে। এসব লোকেরাই প্রকৃত মুমিন। এদের জন্য এদের রবের নিকট আছে নানা মর্যাদা, ক্ষমা আর সম্মানজনক জীবিকা' সূরা আনফাল।
তওবার মাধ্যমে দুনিয়া ও আখিরাতে সমূহ বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘এবং আল্লাহ এমন নন যে তারা ক্ষমা প্রার্থনা করবে অথচ তিনি তাদের শাস্তি দেবেন।’ (সুরা আনফাল, আয়াত : ৩৩)
আগের পোষ্ট গুলোঃ
১। সূরা আল ফাতিহা
২। সূরা বাকারা
৩। সূরা আল ইমরান
৪। সূরা আন নিসা
৫। সূরা মায়েদা
৬। সুরা আন’য়াম
৭। সূরা আল আরাফ
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা ফেব্রুয়ারি, ২০২১ রাত ১১:৪৮