১। মিরপুর বেনারসী পল্লীর ঘটনা।
লোকজন বিয়ের শাড়ি কেনাকাটা করতে মিরপুর আসেন। এখানকার শাড়ি ব্যবসায়ীদের কোনো নিয়ম নীতি নেই। যার যা মন চায় তাই করছে। দেখার কেউ নেই। ধরুন, আপনি একটা শাড়ি কিনতে গেলেন। পাচ হাজার টাকা দামের শাড়ি আপনে দেখিয়ে, আপনার কাছে দাম চাইবে ৯৫ হাজার টাকা। এখন আপনি কত টাকা বলবেন? যুগ যুগ ধরে এরকমটাই চলছে। মানুষের অনেক শখ থাকে বিয়ে করবে। খুব ধূমধাম করবে। প্রবাসীরা মধ্যপ্রাচ্যের দেশ গুলোতে সীমাহীন পরিশ্রম করে টাকা জমায়। দেশে আসে, বিয়ে করতে। কিন্তু আমাদের দেশের দোকানদাররা সাধারন মানুষকে ঠকাচ্ছে। দেখার কেউ নাই। বলার কেউ নাই। বেনারসি পল্লী মানুষের গলা কাটছে যুগ যুগ ধরে। মূলত ব্যবসার নাম দিয়ে তারা প্রতারনা করছে বছরের পর বছর ধরে। বাংলাদেশের সব মানুষ সবাই সবাইকে ঠকাচ্ছে।
২। দোকানদার একটা নেবুলাইজার কিনেন। ৭শ' থেকে ৯শ টাকা দিয়ে।
সেই নেবুলাইজার বিক্রি করা হয়- ১৮শ' থেকে ২২শ' টাকা পর্যন্ত। হ্যা দোকান তো লাভের জন্য দিয়েছে। তাই বলে ৯শ টাকার জিনিস ১৮ শ' টাকা বিক্রি করতে হবে? কাস্টমারকে এত ঠকাতে হবে? কাস্টমার দেখে প্যাকেটের গায়েই দুই হাজার টাকা লেখা আছে। দোকানদার দুইশ' টাকা কম রাখছে। কাস্টমার খুশি হয়ে ৯শ' টাকার নেবুলাইজার ১৮ শ' টাকা দিয়ে কিনে নিয়ে যাচ্ছে। নেবুলাইজার দিয়ে একটা উদাহরণ দিলাম। অনেক পণ্যের একই ঘটনা। সরকারের এসব বিষয়ে কোনো তদারকি নেই। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে সাধারন মানুষ। ঢাকার মিডফোর্ড এলাকায় নকল ওষুধ বিক্রি করা হয়। গ্রাম থেকে লোকজন এসে বেশি দাম দিয়ে নকল ওষুধ কিনে নিয়ে যাচ্ছে। দেখার কেউ নেই। সরকারি কাজের জবাবদিহিতা থাকলে জনগন উপকার পেতো।
৩। একই রাস্তায় তিনটা মসজিদ।
বেশ বড় মসজিদ। তিনটা মসজিদ একই সাথে, একই সময়ে আযান দেয়। আযানের স্বর শ্রুতিমধুর। কিন্তু তিন মসজিদ থেকে যখন একসাথে আযান দেওয়া হয়, তখন বিরক্ত লাগে। প্রচণ্ড বিরক্তকর। যেন হুজুরেরা পাল্লা লাগিয়েছে। কে কত চিল্লাইতে পারে। হুজুররা কেন এরকম বিরক্ত করছে? আবার যখন শুক্রবার জুম্মা নামাজ পড়ানো হয়, তখন এক মসজিদের আওয়াজ আরেক মসজিদে যায়। ফলে নামাজিদের সমস্যা হয়। তিনটা মসজিদের ইমাম একসাথে বসে এই সমস্যার সমাধান করতে পারেন। একজন মাইকের সাউন্ড সামান্য কমালেই সমস্যার সমাধান হয়ে যায়। এক মসজিদের সাউন্ড তাহলে আরেক মসজিদে যায় না। কিন্তু কোনো মসজিদ সাউন্ড কমায় না। ভাবটা এরকম- আমি কেন কমাবো, তোরা কমা। আপনারা হয়তো ভাববেন আমি মিথ্যা বলছি। এজন্য মসজিদের ঠিকানা দিয়ে দিলাম। মিরপুর দশ নম্বর। বেনারসি পল্লী। যে গলিতে রাব্বানী হোটেল। সেই গলিতেই এই তিনটা মসজিদ।
৪। আমার এক আত্মীয়ের গল্প।
মেয়েটা কি একটা কোর্স করতে আমেরিকা যায়। ৯ মাসের কোর্স। মেয়ে আমেরিকা গিয়ে এক ছেলের সাথে প্রেম ভালোবাসা করে ফেলে। অল্প বয়সী ছেলেটা আমেরিকান। সেই আমেরিকান ছেলে বাংলাদেশে চলে আসে। টানা ছয় মাস থাকে। খুব ধূমধাম করে বিয়ে হয়। সেই বিয়েতে আমিও উপস্থিত ছিলাম। নাচ করেছি। গান করেছি। আমার এখনও মনে আছে, সেই বিয়ের অনুষ্ঠানের খাবার দারুন হয়েছিলো। আমি দশে দশ দিবো প্রতিটা খাবার।। যাইহোক, ছেলেটা আমেরিকা চলে গেলো। কথা দিয়ে গেলো ছয় মাসের মধ্যে সে তার স্ত্রীকে নিয়ে যাবে। এক বছর হয়ে গেলো সেই ছেলের আর কোনো খোজ নেই। এদিকে মেয়েটা সবার কাছ থেকে বিদায় নিয়ে বসে আছে। আমার কাছেও থেকেও বিদায় নিলো। বলল, রাজীব মামা আমি আমেরিকা চলে যাচ্ছি। তোমরা ভালো থেকো। আরো কত সব কথা।