
আমি মানুষকে ভালোবাসি।
বলা হয়, মানুষ সৃষ্টির সেরা জীব। মানুষের অনেক ক্ষমতা। সেই গুহা থেকে বের হয়ে মানুষ আধুনিক পৃথিবী গড়ে তুলেছে। বিজ্ঞান মানুষের জীবনকে করেছে, সহজ সরল সুন্দর। মানুষ বিজ্ঞানের আবিস্কার ব্যবহার করবে, উপভোগ করবে অথচ ধর্মের তাবেদারি করবে। ধর্ম মানুষের কোনো উপকারে আসে না। দুনিয়াতে যা করার মানুষই সব করেছে। আকাশ থেকে ফেরেশতা নেমে কিছু করে দিয়ে যায়নি। মানুষের অক্লান্ত পরিশ্রমের ফসল এই আধুনিক সভ্যতা। ঈশ্বর তো শুধু পৃথিবী তৈরি করে আর কুরআন ও নবীজিকে দুনিয়াতে পাঠিয়ে তার কাজ শেষ করেছেন। বাকি লম্বাপথ মানুষ পাড়ি দিয়েছেন। কত দুর্ভোগ, কত পরিশ্রম, কত সময়, কত ধৈর্য্য, কত আন্তরিকতা! জীবনের উদ্দেশ্য হওয়া উচিৎ- সত্যের অনুসন্ধান করা। গাড়ি, বাড়ি, নারী আর ব্যাংক-ব্যালেন্স নয়।
মানুষ বড় হারামী প্রানী। কুৎসিত প্রানী।
হিংস্র বনের পশুর চেয়ে মানুষ বেশি হিংস্র। একজন মানুষ আরেকজন মানুষকে কুপিয়ে মারে। মেরে ফেলে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মেরে ফেলে। বিষ খাইয়ে হত্যা করে। হিটলার কিভাবে মানুষ মেরেছে আমরা জানি। ইজরায়েল গাজা ধ্বংস করে দিয়েছে। ছোট ছোট বাচ্চাদের কি ভয়ংকর মৃত্যু হয়েছে। নিষ্ঠুরতার দিক থেকে মানুষ এগিয়ে। যুগের সাথে সাথে মানুষের নিষ্ঠুরতা বেড়েছে। প্রত্যেক মানুষের মধ্যে কিছু মন্দ দিক থাকে। কেউ কেউ সেই মন্দ দিক লুকিয়ে রাখতে পারেন সযত্নে। একেবারে লুকিয়ে রাখা যায় না। সেটা আচারআচরনে ঠিকই প্রকাশ পেয়ে যায়। আসলে মানুষ তার ভালো দিক, মন্দ দিক পুরোপুরি লুকিয়ে রাখতে না। বিভিন্ন পরিবেশে সেটা প্রকাশ পেয়ে যায়।
হুমায়ূন আহমেদের একটা নাটক দেখেছিলাম, নাটকের নাম পক্ষীরাজ। চমৎকার নাটক।
সহজ সরল সুন্দর অভিনয়। সেই নাটকে একটা ডায়লগ আছে, "মানুষ খারাপ"। এই দুটা শব্দ দিয়ে লেখক এক হাজার শব্দ প্রকাশ করে দিয়েছেন। আমি আমার এটুকু বয়সে দেখেছি এবং জেনেছি, মানুষ খারাপ। খুব কাছ থেকে মানুষের হিংস্রতা দেখেছি, নোংরামী দেখেছি। একবার আমি নিজে একটা নোংরা কাজে অংশ নিতে বাধ্য হয়ছিলাম। ঘটনা সংক্ষেপে বলি: আমার অফিস শেষ। আমি বাসায় ফিরবো। হঠাৎ আমাকে বসের খাস লোক ডেকে কনফারেন্স রুমে নিয়ে গেলো। সেখানে গিয়ে দেখি বসের ড্রাইভারকে লোহার রড দিয়ে পিটানো হচ্ছে। আমাকে বলা হলো, ভিডিও করো। একজন মানুষকে পিটানো হচ্ছে। আমি ভিডিও করছি। সেই ভিডিও বসকে পাঠানো হলো।
মানুষের চেয়ে খারাপ দুনিয়াতে আর কিছু নেই।
সমাজে যাদের অনেক টাকা তারা টাকা অন্যায় করায়। যাদের টাকা নেই, তারা টাকার বিনিময়ে অন্যায় করে। অর্থাৎ যাদের প্রচুর টাকা আছে বলে তারা অন্যায় করে। আর কিছু মানুষের টাকা নেই বলে তারা অন্যায় করে। এযুগের মানুষের মনুষ্যত্ব নেই, টাকা হচ্ছে সবচেয়ে বড় প্রভু। এজন্য সব মানুষ মনুষ্যত্ব ভুলে গিয়ে টাকার পেছনে ছুটছে। বেশি টাকা ইনকাম করতে গিয়ে মানুষকে মন্দ কাজ করতে হয়। একজন মানুষ আর কত বছর বাচে! তবু সে সীমাহীন টাকা দূর্নীতি করে। লোভ মানুষকে ধ্বংস করে দেয়। একদম অধপাতের দ্বারপ্রান্তে নিয়ে যায়। দরিদ্র দেশ গুলোর মানুষ বেশি খারাপ। আমি মনে করি, দুষ্ট লোকদের গৌতম বুদ্ধের জীবনী পড়া উচিৎ। বুদ্ধের জীবন যাপন অনুসরণ করা উচিৎ।
জাতি হিসেবে বাঙালি উন্নত নয়। এরা দালালি আর চাটুকারিতায় এগিয়ে।
সরলতার অভাব। ভন্ড। পরিশ্রমী নয় একেবারেই। বাঙালি মিথ্যুক জাতি। এরা প্রতারণা করতে ভালোবাসে। মানুষকে ঠকাতে পারলেই মনে করে জিতে গেছি। কেউ কারো দায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন করে না। একজন অতি সাধারণ মানুষ, রাস্তায় বের হলেই অমানুষ হয়ে যায়। কিন্তু ঘরে তার মমতাময়ী স্ত্রী আছে, আদরের ছেলেমেয়ে আছে। সব জাতির চেয়ে বাঙালি জাতি বদ। এরা নিজ দেশে থেজেও ইংরেজের গোলামি করেছে। নিজ দেশে পরাধীন থেকে তারা সন্তুষ্ট। আমাদের সমাজের মানুষ গুলো ইতর। জাস্ট ইতর। এর কারণ হচ্ছে বাঙালি শংকর জাতি। এজন্য আমাদের ভাগ্যে জুটেছে রাজাকার আর মীরজাফর। তাছাড়া যে জাতি ধর্মকে আকড়ে ধরবে, তাদের আর বাইরের শত্রুর প্রয়োজন নেই। তাদের সর্বনাশ এমনিতেই হয়ে যাবে। ধর্মের চেয়ে ক্ষতিকর আর কিছু নেই।
জাতি হিসেবে জাপানের লোকজন অনেক ভালো। অনেক মানবিক।
বাঙালির সাহস কম। দম কম। একবার ছাত্রলীগের পোলাপান এক ছেলেকে কুপিয়ে মারছে। কেউ ছেলেটাকে বাচাতে যায়নি। সেদিন নিজের চোখে দেখলাম, একটা আইসক্রিমের গাড়ি রাস্তায় উলটে গেলো। গ্রামবাসী আইসক্রিমের গাড়ির ড্রাইভারকে উদ্ধার না করেই আইসক্রিম লুট করতে শুরু করলো। আমাদের সমাজে ভালো মানুষ খুজে পাওয়া কঠিন। আমাদের জাতি রাজাকারদের সাপোর্ট করে। লাল গালিচা সংবর্ধনা দেয়। মন্ত্রী বানায়। দেশের মানুষ গুলো পচেগলে গেছে। নষ্ট হয়ে গেছে। শেখ মুজিবের বাড়ি ভেঙে গুড়িয়ে দিলো। তবে আশার কথা হচ্ছে সমাজের সব লোক খারাপ হয়ে যায়নি। হাতে গোনা কিছু ভালো লোক অবশিষ্ট আছে। এদের জন্য এই জাতি আজও টিকে আছে।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুলাই, ২০২৫ সকাল ১০:০৫

অনুগ্রহ করে অপেক্ষা করুন। ছবি আটো ইন্সার্ট হবে।



