মাদকবিরোধী!
নাকি
মানবতাবিরোধী?
ধর্ষন, মাদক বা অন্য যেকোন অপরাধ কখনো হঠ্যাৎ শুরু হয়ে যায়না, আর এগুলো হঠাৎ বন্ধকরাও যাবে না। আইনের শাষনের অভাবেই আজ সমাজে অপরাধ প্রবনতা এত বেশি।
এখন প্রশ্ন হল; আইনের শাষন আমাদের সমাজে কেন নাই, বা কিভাবে ফিরিয়ে আনা সম্ভব?
পুলিশের চাকরির শুরুতে তো টাকা দিয়ে ডুকতে হয় এটা সবাই জানে, কিন্তু বছর বছর একটু মোটামুটি ভাল থানাতে বদলির জন্যেও কনস্টবলের ই লাগে 50k+ টাকা। এই টাকা তুলে তার আবার ব্যাবসাও করতে হয়। এইজন্যেই ঐ পুলিশ মাদকব্যাবসায়ির কাছ থেকে মান্থি(মাসিক চাদা) নেয়। অপরাধিকে ধরেও টাকা নিয়ে ছেড়ে দেয়।
ছোট কালে বিজ্ঞান বইয়ে বাস্তুসংস্থান পড়েছিলাম। বিষায়টা অনেকটা তেমনই। এখন প্রশ্ন হলো নিয়োগ বা বদলীর এই টাকা যায় কোথায়! এইটাকা চলে যায় সোজা ডিআইজির কাছে। আবার এই ডিআইজিও নিজের পদ ধরে রাখার জন্যে মন্ত্রনালয়ে দিতে হয়। আর মন্ত্রীর মন্ত্রীত্ব ধরেরাখার জন্যে ডোনেট করতে হয় পার্টিকে। এইটাকা দিয়েই জনসভা,মিছিল,মিটিং,পোস্টার,ব্যানার ছাপা হয়।
শুধু নিয়োগ আর বদলী না, এমন অনেক উপায়ে ই ওদের পকেট ভারি হয়। এগুলো সবার ই জানা।
শুধু এমন কিছু সিস্টেম পরিবর্তন হলেই দেশ অল্প দিনেই সিংগাপুর থেকেও উন্নত হয়ে যাবে।
সবই সবাই জানে, কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে?