বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধের ইতিহাসে শেখ মুজিব এক অভিসংবাদিত নাম। দেবতার মত আভির্বাব এবং প্রস্থান যার। যাকে বাংলার সর্বস্তরের মানুষ জাতির পিতা হিসেবে পুজো করে থাকেন। অনেকে এমন ভাবে ব্যাখ্যা করেন যে, তিনার জন্ম না হলে বাংলাদেশের জন্মই হত না। যার জন্ম, বংশ, পরিবার, সংসার, রাজনিতি সবই আমাদের মুখস্ত।
আসুন জেনে নেই, কে এই ডেনিয়েল ওর্তেগা।
ওর্তেগা বড় হয়েছেন তার বিদ্রোহী বাবার গল্প শুনে, যিনি দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে মার্কিন বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন।
পঞ্চাশের দশকে মিঃ ওর্তেগা নিজেই মার্কিন সমর্থিত সোমোজা সাম্রাজ্যের বিরুদ্ধে লড়াই এ যুক্ত হন। পরে তিনি সন্ত্রাসের অভিযোগে অভিযুক্ত হয়ে সাত বছর জেল খাটেন। ১৯৭৪ সালে জেল থেকে বেরিয়ে তিনি সান্দিনিস্তা ন্যাশনাল লিবারেশন ফ্রন্টে যোগ দেন।
১৯৭৯ সালে সোমোজা সাম্রাজ্যের পতন হয়। সান্দিনিস্তা আন্দোলনে জনপ্রিয় নেতা হয়ে ওঠেন মিঃ ওর্তেগা।
নিকারাগুয়ার জাতীয় সংস্কার কর্মসূচীর সমন্বয়ক নির্বাচিত করা হয় তাকে। নতুন এক নিকারাগুয়া তৈরির সংকল্প নিয়ে শিক্ষা, সামাজিক সংস্কার এবং ভূমি সংস্কারের কাজ শুরু হয়।
এভাবেই তিনি জনগনের কাছে হয়ে উঠেন এক বিপ্লবী নেতা।
আর এই গল্পটুকু পুরোপুরি মিলে যায় আমাদের বিপ্লবী নেতা শেখ মজিব সাহেবের সাথে। কিন্তু শেখ মুজিব সাহেবকে নিহত হতে হয়েছিল ক্ষমতা হাতে নেবার অল্প কদিনের ব্যবধানে। আর এতে সাধারন মানুষের হৃদয়ের ভালবাসা মোহর অংকিত হয়ে পরে।
কিন্তু ওর্তেগার সেই সৌভাগ্য হয়নি! তিনি আজ তার ক্ষমতায় থাকার ৩৯ বছর উজ্জাপনে ব্যাস্ত। আর সেই উজ্জাপন করতে গিয়ে তিনি সাধারণ মানুষের রক্ত দিয়ে হোলি খেলার আয়োজন করে বসে আছেন। ক্ষমতা লোভী এই ভেমপায়ার শিকারী আজ নিজেই হেড অব দা ভেমপায়ার।
তবে আমরা বিশ্বাস করতে ভালবাসি যে, যদি প্রেসিডেন্ট শেখ মুজিব সাহেব বেচে থাকতেন, তবে আমরা অর্থনিতিতে মার্কিনিদের মত উন্নত না হলেও সিংগাপুর থেকে কোন কিছু তেই কম থাকতাম না। কারন তিনি জানতেন কোথায় আঘাত হানলে কি রকম রাজনৈতিক সুর বাজে। তিনি ছিলেন এক মহান যুদ্ধ বিজেতা নেতা।
আজ সেই মুজিবের প্রেতাত্মার সন্ধানে...
তান্ত্রিকের খোঁজে...