জানোইতো,
সবারই একটা DREAM GIRL বলে কিছু থাকে। একেক জন একেক ভাবে তার স্বপ্নবালিকাকে সঙ্গায়িত করে যেমন সৌন্দর্য, শিক্ষা, বংশমর্যাদা, ধনসম্পদ ইত্যাদি দিয়ে, তবে দৈহিক সৌন্দর্যটাই সবার ক্ষেত্রে প্রধান্য পায় । আমার কাছে তুমি কেন স্পেশাল, জানো?
তোমাকে প্রথম থেকে বলি,
ধরো, আমরা যারা পড়াশোনা শেষ করে এখন কর্মজিবনে এসে পৌছে গিয়েছি, তারা স্কুল লাইফের সুখের স্মৃতিগুলোকে খুব বেশি মিস করি। স্কুল লাইফটা যে যত বেশি উপভোগ্য করে রাখতে পেরেছে, যত ভাল বন্ধু বানাতে পেরেছে তার স্মৃতির ভান্ডার তত বেশি সমৃদ্ধ হয়েছে। শুধু যে স্কুল তা না, পুরো শৈশবটাই এমন। শৈশবের সুখস্মৃতি গুলোই আমাদের জিবনকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার প্রেরণা।
আমাদের শৈশব আর বর্তমানের যে চাহিদা, দুনিয়ার জিবন আর দুনিয়ার পরবর্তী জিবনের ব্যাপারটা ঠিক তেমন। শৈশবে আর স্কুলে যেমন আমরা অনুভব করতে পারি নি এর চাহাত, তেমনি এখন আমরা বুঝতে পারছিনা, একটি আদর্শ পরিবার গঠনের প্রয়োজনীয়তা টুকু। তখন যেমন আমরা স্কুলে যেতে হবে বলে গিয়েছিলাম, এখন ঠিক তেমনি, বিয়ে করতে হবে বলে করছি, বাচ্চা-কাচ্চা নিতে হবে বলে নিচ্ছি। সংসারটা কে গতানুগতিক করেই ভাবছি।
ধর্মগ্রন্থ আর ধর্মীয় পন্ডিতদের দ্বারা আমরা মৃত্যু পরবর্তি জিবন নিয়ে যা জানতে পেরেছি, তা থেকে আমার আন্ডার্সেন্ডিং থেকেই বলছি। যেমন একটা উদাহরন দেই শুনো, কোন এক ধর্মগুরুকে একবার বলতে শুনেছিলাম; দুনিয়াতে যারা কৃষিকাজ করতো, লাঙল দিয়ে হাল চাষ করে দিনানিপাত করতো, তারা যখন স্বর্গে যাবে তখন, সৃষ্টিকর্তার কাছে আবার হাল চাষ করার সুযোগ চেয়ে আকুতি জানাবেন, সৃষ্টিকর্তাও তার ইচ্ছে পুরণ করে দিবেন; তাকে স্বর্নের লাঙল, চাষের বলদ উপহার দিবেন, উর্বর চাষের জমি দিবেন। সে তাতে আবার দুনিয়ার মতন চাষবাস শুরু করবেন। যখন ফসল পেকে যাবে, সেই ফসল মনের আনন্দে গোলায় তুলবেন। কারণ দুনিয়ার সুখ স্মৃতি তার কাছে এটাই।
আমার আনন্দটা, আমার দুনিয়াটা, পুরোটাই তোমায় ঘিরে। আমাদের সংসারটা শুধু দুনিয়ায় শেষ হয়ে যাবে এমন না। আমরা পরলোকে গিয়ে আবার সংসার পাতবো। সৈকতে হেটে বেড়াবো, গল্প করবো, একসাথে রান্না করবো। অনন্তকাল ধরে চলবে আমাদের এই প্রেম। সেই প্রেমের কোন অতৃপ্তি থাকবে না, কোন শেষ থাকবে না, সহস্র বছর পেরিয়েও.......
সর্বশেষ এডিট : ০৮ ই মার্চ, ২০২০ সকাল ৭:২৯