আচ্ছা ধরেন, আমাদের দেশে দূর্নীতি আর একদমই হয় না, একজন সৎ, জনধরদি, ও জনগনের সরাসরি ভোটে নির্বাচিত সরকার প্রধান এসে দূর্নীতি একেবারে ০% এ নামিয়ে নিয়ে এসেছে, সর্বোনিম্ন বেতন বাড়িয়ে দিয়েছে ২০০ টাকা ঘন্টা। একজন শ্রমিক ও সারাদিনে ৮ ঘন্টা কাজ করলে ১ হাজার ৬০০ টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরছে, ইচ্ছে করলে প্রতি বেলায় ই তার সন্তানদের জন্যে মাছ মাংস পাতে তুলে দিতে পারছে।দ্রব্যমূল্যের দামের উপর ভিত্তি করে এই বেতন বছর বছর আপডেট করা হবে। মাসিক বেতনের নিয়ম পরিবর্তন করে করা হয়েছে সপ্তাহিক বা দ্বি-সপ্তাহিক। প্রত্যেকের বেতন থেকে মাসে মাসে ট্যাক্স পরিশোধ করছে নিয়মিত, সবার নামেই স্বাস্থ্যবীমা করা আছে। বার্ধ্যক্য আসলে সারাজিবনের প্রদত্ত ট্যাক্স হিসেব করে একটা নির্ধিষ্ট পরিমান রিটার্ট করা হবে মাসে মাসে। সন্তানদের অগ্রীম চাইল্ড ট্যাক্স রিফান্ড সিস্টেম ও থাকবে অসচ্ছল মা-বাবার জন্যে। সন্তান মানুষ করার চিন্তা নেই, বার্ধক্যের চিন্তা নেই, চিকিৎসার চিন্তা নেই। সরকার প্রথম তিনবছরেই এমন একটা কল্যান রাষ্ট হয়ে গেল। তারপরের দুইবছরে জিবনমান ও যোগাযোগ ব্যাবস্থার উন্নয়ন হয়ে গেলে। এখন মানুষ আর শহরমুখী নয়। কারন এত দিনে সকল সুযোগ সুবিধা সারা দেশময় হয়েগেছে। কেউ আপনাকে থাপ্পর দিলে আপনি তাকে উল্টো থাপ্পর না দিয়ে ৯৯৯ এ কল করে সহায়তা চাইলে তিন থেকে পাচ মিনিটের মধ্যে গঠনাস্থলে পুলিশ চলে আসলো। সুতরাং আপনার নিরাপত্তার ব্যাবস্থাও শতভাগ নিশ্চিত হলো। পুলিশ, এম্বুলেন্স, ফায়ার সার্ভিস সব হলো, হাতের নাগালেই।আপনাকে প্রশিক্ষন দিয়ে দক্ষ জনসম্পদ গড়ে তোলা ও চাকরি পাইয়ে দেবার কাজ ও করে যাচ্ছে কর্মসংস্থান মন্ত্রনালয়।
এর মধ্যে আপনাদের নির্বাচিত সরকার প্রধানের মেয়াদ শেষ হয়ে আসলো।
পরবর্তি নির্বাচনে এবার বিপুল জনপ্রিয়তা নিয়ে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হয়ে পুনরায় সরকার গঠন করলো। এইবার এসেই আইন পাশ করলেন কোন ব্যক্তি সর্বোচ্চ দুইবারের বেশি সরকার প্রধান হতে পারবে না। একই সাথে রাজনৈতিক দলের প্রধান ও সরকার প্রধান হতে পারবে না। অনেকে আত্নঘাতী আইন হিসেবে বর্ননা করলেও, এটা জনগনের জন্যে যে কত দরকারী হয়ে পরেছে, তা প্রজ্ঞা সমপ্ন লোক মাত্রই বুঝিতে পারিবেন।
নিয়ম করে এতদিনে সেনাবাহিনীর সহায়তায় প্রত্যেকটা নাগরিককে দক্ষকরে গড়ে তোলা হয়েছে। এবং এখন প্রজন্মকে গড়ে তোলার দ্বায়িত্ব পরেছে এবার তাদের ঘাড়েই। এখন আর মানুষ জেনারেল পড়াশোনা বা কেরানি হবার গতানুগতিক পড়াশোনায় আফিম মাতালের মত ছুটে না। সতের বছর বয়সেই স্কিল ট্রেনিং নিয়ে আঠারোতেই কাজে লেগে পড়ে। ট্যাক্স দিয়ে সরকারকে কল্যান রাষ্ট পরিচালনায় সহায়তা করে। পাশাপাশি মেধাবিরা স্কলারশিপ নিয়ে কাজের ফাকে ফাকে উচ্চ শিক্ষা শেষ করে, গভেষনা করে। আমাদের দেশের উৎপাদিত পন্য এখন বিশ্ব বাজারে সমাদ্রিত। দেশ আর এখন প্রবাসী ও গার্মেন্টস এর উপর নির্ভরশীল নয়। এখন বাংলাদেশ টুরিস্ট শিল্পেও নম্বর ওয়ান, ইলেক্ট্রনিক্স, অটোমোবাইল, মেশিনারিজ থেকে শুরুকরে উড়োজাহাজ, সেটেলাইট নির্মান সর্বক্ষেত্রেই এগিয়ে আসতেছে ধীরে ধীরে।
এখন দেশে আইনের শাষন প্রতিষ্টিত। সরকার দলের লোক বলে যে একটা এক্সট্রা কেয়ার পাবে, তা এখন আর হয় না। ধর্মীয়, বর্নীয়, গ্রোত্রীয় বা রাজনৈতিক সামপ্রদায়িক সকলকে এখন সমান ভাবে ট্রিট করা হচ্ছে। এখন মানুষের আর চায়ের দোকানে আড্ডা বা প্রতিবেশীর সাথে জগড়া করে সময় কাটায় না, ৮টা-৫টা কাজ করে প্রোডাক্টিভ সময় কাটায়, বাকি সময় ফ্যামিলির সাথে Quality time spend করে।
আমার স্বপ্ন, আশা যাই বলেন, এখানেই লেখা শেষ করলাম। বিভিন্ন জন কমেন্ট করবে সমস্যা চিহ্নিত হলো, কিন্তু বিড়ালের গলায় ঘন্টা বাধবে কে? আমি আওয়ামী বা বিএনপি বিরোধী কেউ না, আমি চাই এরাই দেশ চালাক, কিন্তু গনতান্ত্রিক উপায়ে। মানুষের ভোটাধিকার নিশ্চিত হোক, পরিবারতন্ত্রে আটকে না থেকে, যোগ্য নেত্রিত্বকে স্বাগত জানাক। যুগ যুগ ধরে এই বাংলায় চলমান ঘৃন্য রাজনৈতিক সংস্কৃতির পরিবর্তন হোক। সর্বপরি আমার দেশের মানুষগুলো সুখী ও নিশ্চিন্ত জিবন কাটাক।
সবাই ভাল থাকুক।