আমি পড়াশোনা শেষ করে ফেলেছি; স্কুল কলেজের বন্ধু গুলো এতদিনে হারিয়ে গেছে। তারপর কাজের ক্ষেত্রে যারা বন্ধু হয়েছে তারা আসলে পুরো বন্ধুর মতন না। যতদিন একসাথে কাজ করি একটা রিলেশন থাকে, যখন আর একসাথে নেই, বন্ধুও নেই। কোন কমিউনিটি ছাড়া ছন্ন ছাড়া একটা লাইফ। যেহেতু পড়াশোনা করে দিন মজুরের কাজে ঢুকেছি তার জন্যেও হয়তো এই কমিউনিটিটার সাথে আমার তেমনটা মেচ ও হয় না। এদের আচার আচরনে শত গুন তফাৎ। আমি অনেক সময় চাই এদের সাথে নিজেকে মিশিয়ে নিতে। কিন্তু শেষমেষ আর হয়ে উঠেনা।
ব্লগিং করি কেমন একটা নেশা থেকে। ছোট থেকেই লেখালেখির নেশা। প্রথম প্রথম কবিতা চর্চা করতাম, কিন্তু এইদেশে কবিদের সম্মান নেই আমার অবচেন মন না চাইতেও বুঝে গেছে, বুঝে গিয়ে সরে গেছে। তারপর ছোট গল্প , ব্লগ ও সমসাময়িক বিষয়াসয় নিয়ে লিখা শুরু করলাম। কিন্তু মাঝে একটা বড় এক্সিডেন্টে সেও থেমে গিয়েছিল। একপ্রকার ছেড়েই দিয়েছিলাম। কিন্তু জিবনের এই সময়ে এসে বড্ড একা হয়ে পরেছি।
এখন যখন লেখি, তখন মনে হয় আমি পাঠকে গল্প শোনাচ্ছি, আর পাঠক তীব্র মনোযোগ সহকারে আমার কথা গুলো শুনছেন। আমি বলেই যাচ্ছি আর কেউ একজন শুনেই যাচ্ছে। দূর হয়ে গেল আমার একাকিত্ব। আমি আমার গল্প ধীরে ধীরে আমার অচেনা বহুআপন বন্ধুকে বহুদিন ধরে শুনিয়ে যেতে চাই। এই অচেনা বন্ধু গুলোর লেখা যখন আমি পড়ি তখন মনে হয়, এখন আমার বন্ধুর টার্ন, এখন আমি শ্রোতা।
ব্লগিং আর সাধারন লেখালেখির এই তফাৎ। সাধরন লেখালেখিতে শুধু একপক্ষ বলে অন্যপক্ষ শুধু শুনেই যায়। আর ব্লগিং এ লেখক-পাঠক, পাঠক-লেখক একটা সমান্তরাল সম্পর্কের সৃষ্টি হয়। এই রকম সমমনা লোকদের সাথে একটা হৃদ্দতা গড়ে উঠে। হয়তো এটা খুব দূর্বল হৃদ্দতা, হয়তোবা খুব শক্ত।
তবে আমি ভালবাসি, ভালবাসতে ভালবাসি, ভালবেসেই মরবো হয়তো, তবুও... শিরোনামে ফিরে যেতে চাই না।।
সর্বশেষ এডিট : ০৪ ঠা সেপ্টেম্বর, ২০২০ দুপুর ২:৫৩