জিবন এগিয়ে যাচ্ছে জিবনের গতিতেই। এই গতির নিয়ন্ত্রন কখনোই আমাদের হাতে ছিল না, হাজার চেষ্টায় সম্ভবও না। এটা ঠিক করে দেবে নিয়তি। মানুষ বলে, আল্লাহ আমাদের সৃষ্টির বহুবছর আগেই আমাদের নিয়তি বা রিজিক লিখে রেখেছেন। অথচ এই অধম, জিবনের এই অনিয়ন্ত্রনযোগ্য গতির প্রতিকুলে এসে কত কিছুর স্বপ্ন বুনি। দিন শেষে এই সব কিছুই বৃথা চেষ্টা ছাড়া আর কিছুই নয়।
সুখি তো সত্যিকার অর্থে সেই যে ততটুকুতেই সন্তুষ্ট যা তার আছে বা আল্লাহ সুবহানাহুতাআলা না চাইতেই যেই তাকে হাজারো নেয়ামত দিয়ে ঢুবিয়ে রেখেছেন।আমি নিজে গ্রাজুয়েশন শেষ করতে পারিনি, অথচ কত ইচ্ছে ছিল। জিবন দিনকে দিনকে কেমন অনিশ্চয়তার অন্ধকারে ঢুবে ঢুবে যাচ্ছে। বেচে থাকার আশাগুলো দিন দিন কেমন ধুসর হয়ে আসছে। জিবন বৃক্ষের ঢাল গুলো একটার পর একটা ঝড় এসে ভেঙ্গে গুড়িয়ে দিচ্ছে। ভেবেছিলাম তুখুর ইন্ডাস্ট্রিয়াল ইন্জিনিয়ার হয়ে করপোরেট জগতে ধাপিয়ে বেরাবো অথচ এখন একজন নির্মান শ্রমিক হিসেবে জিবন চলিয়ে নিতে হচ্ছে।আলহামদুল্লিল্লাহ এখনো সুস্থ শরিরে কাজ করে চলছি।
বিভিন্ন অপূর্নতা যেমন জিবনমানের অপূর্নতা, প্রেমের অপ্রাপ্তি ইত্যাদি থেকে জিবনে শক্ত কিছু লেছন শিখেছি। তার মধ্যে সবচেয়ে মুল্যবান হল, কারো সাথে নিজের সিচুয়েশনের তুলনা না করা। এখন আর উচ্চাকাঙ্খা নেই বল্লেই চলে। এখন চিন্তা হয় শুধু বেচে থাকা নিয়ে। দোয়া করি আল্লাহ যতদিন বাচিয়ে রাখেন, যেন কর্মক্ষম রাখেন, কারো উপর যেনো নির্ভর করতে না হয় কখনো।দিন গুলো পূর্ণ করে, সৃষ্টিকর্তাকে সন্তুষ্ট করে যেন যেতে পারি।
কাউকে উপদেশ দিচ্ছি না। নিজের কথা গুলোই বলছি। জানি না কতটুকু সত্যি, তবে যতটুকু বুঝি দুনিয়ার জিবন কখনোই পরিপূর্ন নয়।এটা সম্ভবত সবার ক্ষেত্রেই সমান সত্যি। তাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে যতটুকু আছে ততটুকুতেই সন্তুষ্ট থাকা।
সর্বশেষ এডিট : ০৫ ই অক্টোবর, ২০২১ সন্ধ্যা ৭:০৪