হিমু শিবির - ১
শাহবাগের পাশ দিয়ে হেঁটে যাচ্ছিল হিমু। হলুদ পাঞ্জাবী আর খালি পায়ে হাটলে এখন আর কোন সমস্যা হয় না। সবাই এখন জানে হুমায়ুন আহমেদ অদ্ভুত এক চরিত্র সৃষ্টি করেছেন, দলে দলে ছেলেরা সেই হিমুকে নকল করে যাচ্ছে। আসল হিমু যে আমি তা আর বুঝার উপায় নেই। এখন যদি টেলিভিশনে সেরা হিমু হান্ট শো চালু হয়, নিশ্চিত আমি বাছাই পর্ব থেকেই বাদ পরে যাব। আমি যখন যা ইচ্ছে হয় তাই করি, কিন্তু নকল হিমুরা জানে বইয়ের কোন পাতায় কিভাবে উত্তর দিতে হবে লেখা আছে। আজকাল রূপাকে ভীষণ মিস করছি। নীল শাড়ি পরে রূপাকে শাহবাগের প্রজন্মের আন্দোলনে আসতে বলেছিলাম গত শুক্রবারে, একসাথে ফুচকা খাবো বলেও কথা দিয়েছিলাম। আমি জানি রূপা
এসেছিল, আমি আসিনি। হিমুদের প্রেম ভালবাসার উদ্ধে থাকতে হয়। জাগতিক মায়া থেকে দূরে থাকতে হয়। গত শুক্রবার তাও আমি লুকিয়ে একবার দূর থেকে শাহবাগে রূপাকে শ্লোগানে সূর মেলাতে দেখতে চেয়েছিলাম। বায়তুল মোকাররম মসজিদের কাছে যেতেই মুসল্লি আর পুলিশের গোলাগুলি শুরু হয়ে গেল। আমি পাশের একটা দেয়ালের উপর উঠে অবলোকন করছিলাম এই দৃশ্য। আমার বাবা তার ডায়েরীতে লিখে গেছেন,
"হিমু তোকে সকল আন্দোলন থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ মহাপুরুষদের দুনিয়াতে কোন লোভ থাকতে নেই। আন্দোলন মানেই স্বাধীনভাবে বাচতে চাওয়ার লোভ, দাবী আদায়ের লোভ।"
পাঞ্জাবী পড়া এক লোক দেয়ালের নিচে এসে আমার পা ধরে টানতে লাগলো। চোখের নীচে সুরমা দেয়া, থুতনিতে হাতে গোনা কিছু দাড়ি। পা টানতে টানতে সে বলল,"হুজুর নেমে আসেন, ইটা মারি, আমার তো মনে চায় পুলিশ বেটাগো গোপন জায়গায় মারতে।"
গত তিনমাস দাড়ি না কামানোতে আর পাঞ্জাবী প্রায় যে কেউ আমাকে শিবির ভাবতেই পারে। আজকাল তো আবার দাড়ি আর পাঞ্জাবী দেখলেই মানুষের মনে চাপা ভয়, এই ব্যাটা শিবির নয় তো! আমি এক লাফে নীচে নেমে বললাম, "চল ব্যাটা, ইটা মারি।"
পুলিশকে ইটা মারতে বেসম্ভব রকমের আনন্দ। ততক্ষনে নাম জানলাম, আমার এই সাগরেদের নাম হাফেজ আজিজুদ্দিন শায়েখ। তার বংশের নাম শেখ, কিন্তু শরীয়তী কায়দায় সে বংসের নাম ঈষৎ পরিবর্তন করে রেখেছে শায়েখ। আজিজুদ্দিন বাস্তা থেকে ইটা ভেঙ্গে আমার হাতে দেয়, আর আমি "অত্যাচারী পুলিশ" বলেই সর্বশক্তিতে ইটা ছুড়ে মারি পুলিশের উপর। দুই একটা টুকরা পুলিশের গায়ে লাগলেই আজিজুদ্দিন খুশিতে লাফিয়ে উঠে বলে, "গুড শট ওস্তাদজি।"
আজকে শাহবাগে কিছুক্ষন দাঁড়িয়ে কিছুক্ষন স্লোগান দেখলাম। "তুই রাজাকার" তুই রাজাকার" শুনতে ভালই লাগছিল। আমিও কয়েকবার স্লোগান দিলাম, পরেই মনে পরল বাবার মহামানব তৈরির উপদেশ,
"হিমু, ইচ্ছাকে সংবরণ করাই প্রকৃত মহাপুরুষের আদর্শ।"
নাহ ইচ্ছাকে সংবরণ করতে পারলাম না। বলেই ফেললাম, "তুই রাজাকার।" পাশের থেকে এক ছেলে উঠে এসে বলল, "ভাই এইটা হিমু মেলা না, জোরে স্লোগান দেন, ফাটায়া ফালান গলা।"
আমি তাকে প্রাধান্য দিয়ে বললাম, "ভাইয়া, গলা ফাটাইলে কি হবে?"
সে চারিদিকে চেয়ে প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে লাগলো। এমন সময় পরিচিত এক ২২-২৩ বছরের ছেলে এসে বলল, "আপনি হিমুদা না? আমি আপনাকে ঠিকি চিনে ফেলেছি। আমি ব্লগার 'শকুনের চোখ' _ খিচুরি খাবেন হিমুদা?"
সকাল থেকে কিছু খাওয়া হয়নি। হরতালের কারণে হোটেল বন্ধ, তাই সকালে চা পাঠায়নি। ক্ষুধায় পেটে গুর গুর আওয়াজ হচ্ছে। আমি বললাম, "জ্বি খিচুরির সাথে একটা কোকা-কোলা হবে প্লিজ?" ছেলেটি দ্রুত ভিড়ের মধ্যে হারিয়ে গেল। আমি ঘুরে ঘুরে শাহবাগ দেখতে লাগলাম। এই বয়সের এত ছেলেমেয়ে কোনদিন একসাথে রাস্তায় দেখিনি। আমি একটু হেঁটে জাদুঘরের সিঁড়িতে যেয়ে বসলাম। অনেক্ষন পরে দেখি সেই ছেলেটি এক হাতে খিচুরির প্লেট অন্য হাতে কোকা নিয়ে হন্তদন্ত হয়ে এসে বলল,"জানতাম আপনাকে এক জায়গায় পাওয়া যাবে না। পুরা চত্বর চক্কর দিয়ে খুঁজে এইখানে পাইলাম।" আমি খিচুরি খাওয়া শুরু করলাম। এক ঢোঁক কোকাকোলা গিলে বললাম, "এই খিচুড়ি কে দিচ্ছে?" ছেলেটি বলল, "যার যখন ইচ্ছে সে কন্ট্রিবিউট করছে। তবে সরকার থেকে খিচুড়ি আসছে মাঝেমধ্যে।" আমি খিচুড়ি শেষ করে কোকা গিলতে গিলতে বললাম, "শকুনের চোখ, একটা সিগারেট হবে?" ছেলেটি লজ্জা মাখা মুখে পকেট থেকে বেনসনের প্যাকেট বের করে বলল, "আপনার কাছেই রেখে দেন হিমুদা।"
শাহবাগ থেকে আসার পথে পল্টনে ড্রেনের পাশে লাল টেপ প্যাঁচানো একটা টেনিস বল কুড়িয়ে পেলাম। আজকাল মেসে একা একা চিন্তা করতে ভালো লাগে না। ভাবলাম দেয়ালের বল মেরে ক্যাচ খেলা যাবে। অন্তত সময় কাটবে, চিন্তাও করা যাবে। পাঞ্জাবিতে পকেট না থাকায় বল হাতে নিয়েই হাটতে শুরু করলাম। বিপত্তি ঘটলো পথে। ইস্কাটনের টং দোকানে চা পান এবং সিগারেট টানতে থাকা একদল পুলিশ ভ্রু কুঁচকে আমার দিকে তাকিয়ে রইল। ঠিক আমার দিকে না, আমার হাতের বলটার দিকে। কিছু বুঝে উঠার আগেই দুইজন কনস্টেবল চাইনিজ গান তাক করে আমার দিকে ছুটে এসে বলল, "লড়বি না হারামজাদা, ফুটা কইরা ফালামু, হাত উডা উপ্রে।" আমি চুপচাপ হাত উপরে করলাম। ইনস্পেক্টর গোছের একজন এসে বলল, "ককটেল, আমারে দে, ফাটাবি না, খোমা চেইঞ্জ কইরা ফালামু কিন্তু।" আমি হাতের টেপ টেনিস বল তার হাতে দিলাম, তারপরের ঘটনা আমার মনে নেই।
এখন আমি থানায়। মাথার পেছনে চিনচিনে ব্যাথা করছে। পেছনে হাত ছিয়ে বুঝলাম ব্যাটারা মাথায় মেরেছিল। এতক্ষন সেন্সলেস ছিলাম। চোখ ভালোভাবে মেলতেই দেখলাম পাশে বসা কেউ একজন আমার ডানহাত টিপে দিচ্ছে আর বলছে, "ওস্তাদ, ও ওস্তাদ উঠেন" ভালো করে খেয়াল করলাম, হাফেজ আজিজুদ্দিন শায়েখ। তার পাঞ্জাবী ছিঁড়ে কোনমতে গায়ের সাথে ঝুলে আছে। আমাকে বললেন, "ওস্তাদ, আপনে আমার সাথে আছেন, এখন আর ভয় লাগতাছে না, পশ্চাতদেশে যা পিডাইছে, ঠিকমত বসতেও পারি না।"
জানতে পারলাম শুক্রবারে সে পুলিশের হাতে ধরা পরেছে। রাস্তায় এক ইনিংস এবং থানায় আনার পরে দ্বিতীয় ইনিংস লাঠিপেটা করা হয়েছে। ভাগ্য ভালো আমি সেন্সলেস ছিলাম, নইলে আমাকেও দুই ইনিংস খেলতে হত। থানায় সকাল বা রাত বুঝা যায় না। সারাক্ষন ১০০ ওয়াটের বাল্ব জ্বলছে। আনুমানির ঘন্টাদুয়েক পরে এক কনস্টেবল এসে বলল, "ওই আয়, তোর ডাক পরছে।" আজিজুদ্দিন আমার হাত চেপে বলল, ওস্তাদ আমারে ভিতরে ডেকে জিজঙ্গাসাবাদ করেছে, আমি কিছুই বলি নাই, অনেক পিটায়। আমি কনস্টেবলের পিছন পিছন একটা ছোট ঘরে ঢুকলাম। একটা টেবিল আর তিনটা চেয়ার ছাড়া কিছুই নেই। একজন সুঠাম দেহের লোক পেছন ফিরে দাঁড়িয়ে আছেন। বুঝলাম একটা চেয়ার আমার জন্যে, একটা তার জন্যে, কিন্তু অন্যটা কার জন্যে বুঝলাম না। চেয়ারে বসতেই সুঠাম দেহের লোকটি কাছে এসে চেয়ারে বসে বলল, "আমি গয়ান্দা বিভাগের মইনুদ্দিন বারেক, আপনি সেন্সলেস থাকায় আপনার নাম এখন জানা যায়নি, কি নাম আপনার?"
এ এক আজব রীতি। থানার কনস্টেবল তুই করে ডাকে আর অফিসার ডাকে আপনি, একটু সম্মানিত বোধ করলাম, বললাম, "একটা সিগারেট হবে বস?"
মইনুদ্দিন সাহের ভ্রু কুঁচকে সিগারেটের প্যাকেট টেবিলে রাখলেন। চায়ে চুমুক দিয়ে বললেন, "পেচ্ছাপের মত স্বাদ চায়ের। থানায় চায়ের স্বাদ নাই, আবার স্ত্রী নিলুর হাতের চা খেলে বাকি জীবন প্রশংসা করে যাবেন। নিন সিগারেট নিন। তা আপনার নাম?"
আমি একবার ভাবলাম জিজ্ঞেস করব পস্রাবের স্বাদ তিনি কিভাবে জানলেন, আবার ভাবলাম নাহ, এই সময়ে এমন মজা করা হারাম। আমি সিগারেট ধরিয়ে একমুখ ধোঁয়া ছেরে বললাম, "একদিন ভাবীর হাতের চা খাব, আমি হিমালয়।"
মইনুদ্দিনের চোখ মুখ ছোট হয়ে গেল। সম্ভবত এই ভেবে যে একজন মৌলবাদী তার স্ত্রীর হাতের চা খেতে চাইছে। তিনি নিজেকে স্বাভাবিক রাখার চেস্টা করে বললেন, "ফাজলামি করবেন না, হিমালয় আবার কারো নাম হয় নাকি?"
আমি উদাস হয়ে বললাম, "আমার বাবা আমার নাম রেখেছিলেন হিমালয়, সবাই ডাকে হিমু। হুমায়ূনের হিমু।"
মইনুদ্দিন সাহেব এবার ঠোঁট বাকিয়ে বললেন, "তা বলেছেন ঠিক, হুমায়ুন আহমেদ পোলাপানের মাথায় অদ্ভুত ভুত ঢুকিয়ে দিয়েছেন। আমার ছেলেটাও কিছুদিন এই ভ্যাক ধরেছিল। এখন আবার শাহবাগের আন্দোলনে নিয়মিত যাচ্ছে। সে নাকি আবার ব্লগার, বলে বাবা আমি 'শকুনের চোখ' নামের ব্লগার। কি যে দিনকাল, আমাদের সময় পত্রিকাতেই লেখালেখি করেছি, আজকাল কতকিছু, ব্লগ ফেসবুক। তা হিমু সাহেব আপনি কবে থেকে ছাত্র শিবিরের সাথে জড়িত?"
আমি ভাবলেশহীন মুখে তার দিকে তাকিয়ে বললাম, "জন্মের পর থেকে। তবে ছাত্র না হিমু শিবির"
গোয়েন্দা কর্মকর্তা খানিকটা বিরক্ত ও রেগে বললেন, "ফাজলামি করবেন না হিমু সাহেব, আমি কিন্তু এখনো আপনার সাথে জেন্টেলম্যানের মত কথা বলছি।"
আমি তার প্যাকেট থেকে আরেকটা সিগারেট ধরিয়ে বললাম, "ফাজলামি করছি না ভাই, আপনার ছেলে "শকুনের চোখ" কে ফোন করে দেখুন, সেও বলবে আমি হিমু। আজ দুপুরে সে আমাকে খিচুড়ি আর কোকা খাওয়াইছে শাহবাগে।"
মইনুদ্দিন এবার একটু ঠান্ডা হয়ে বলল, "আপনার হাতের ককটেল বিস্ফোরণ বিভাগে পরিক্ষার জন্যে পাঠানো হয়েছে। আমাদের আরেক কর্মকর্তা আজাদ সাহেব কিছুক্ষনের মধ্যেই রিপোর্ট নিয়ে আসবেন। তা আপনি কি নাশকতার চেস্টা করছিলেন, শাহবাগ থেকে সংবাদ নিয়ে সেখানেই নাশকতা করতে চেয়েছেন?"
এতক্ষনে বুঝতে পারলাম আরেকটা চেয়ার কার জন্যে, আমি তার কথা গুরুত্ব না দিয়ে বললাম "ভাই, একটা টেলিফোন করা যাবে।"
মইনুদ্দিন এগিয়ে এসে জিজ্ঞেস করলেন, "কার কাছে করবেন?"
আমি কৃত্তিম লজ্জা মুখে এনে বললাম, "আমার প্রেমিকা, রূপার কাছে।"
এমনি সময় দরজা খুলে একজন ঢুক্লেন রুমে। বুঝতে পারলাম ইনিই আজাদ সাহেব। আজাদ সাহেব এগিয়ে এসে আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, "আপনাকে চেনা চেনা লাগছে। হিমু ভাই না? আমাকে চিনতে পেরেছেন?"
আমি কৌতূহলী দৃষ্টিতে তাকিয়ে বললাম, "জ্বি কিন্তু আপনি আমাকে চিনেন কিভাবে?"
আজাদ সাহের হাসতে হাসতে বললেন, "আপনার দাড়ির জন্যে প্রথমে চিনতে পারি নাই, আমি মতিঝিল থানার ওসি আজাদ। মনে পরে আপনি আমাকে রাতে রাস্তায় বাড়ি ফেরার পথে ছিনতাইকারীর ছুড়ি পেটে অবস্থায় হাসপাতালে রেখে এসেছিলেন, দুই দিন দেখতেও গিয়েছিলেন। আমি এখন গোয়েন্দা বিভাগে।"
আমি অনেক দিনের চেনা এমন ভান করে বললাম, "কেমন আছেন আজাদ সাহেব? ভাবী কেমন আছেন?"
আজাদ সাহেব কৃতজ্ঞতার হাসি দিয়ে বললেন, "আপনার ভাবী তো প্রায় সময়েই আমার সাথে রাগ করে, বলে পুলিশ হয়ে এই শহরে হিমু ভাইকে খুঁজে বের করতে পার না? সে আপনাকে রান্না করে খাওয়াতে চায়।"
আমি তাকিয়ে দেখলাম পাশে মইনুদ্দিন ভ্যাবাচেকা খেয়ে গেছে। কিছুই বুঝতে পারছে না। আজাদ সাহেব একটা কাগজ মইনুদ্দিনের হাতে দিয়ে বললেন, "ইনি হিমু ভাই, আধ্যাত্মিক মানুষ, এইসবে ইনি নাই, আর ওইটা ককটেল না, টেনিস বল ছিল। হিমু ভাইকে ছেড়ে দিতে হবে, আমরা সাধারণ মানুষকে হয়রানি করতে পারি না।"
মইনুদ্দিন সাহের আমার দিকে তাকিয়ে বললেন, "ভাই আমি দুঃখিত, বুঝতেই পারেন দেশের অবস্থা, কে কি বুঝতেই দায়।"
আমি হাসিমুখে বললাম, "জ্বি ভাই, দাড়ি টুপি দেখে হাজতে ঢুকাবেন না, একটু বুঝেশুঝে নিয়েন। আর আমার পরিচিত এক হাফেজ আজিজুদ্দিন আছে থানায়। তাকেও ছেরে দিবেন আশাকরি, বেচারা হাফেজ মানুষ, না বুঝেই অন্যের প্রচারে ইসলাম রক্ষা করবে বলে রাজপথে নেমেছে। আর ভালো কথা, একটা সিগারেট হবে।"
মইনুদ্দিন সাহেব লজ্জাভরা মুখে সিগারেটের প্যাকেট এগিয়ে দিয়ে বললেন, "আপনি পুরা প্যাকেট রেখে দেন হিমু ভাই।"
আমি মনে মনে বললাম, "সাবাশ বাপ বেটা, অভ্যাসটাও একি রকম।" বাইরে এসে একটা সিগারেট ধরিয়ে হাটতে লাগলাম। রুপাদের বাড়ির সামনে যাওয়া দরকার। আজকে আর মিথ্যা না। আজকে রূপাকে খুব দেখতে ইচ্ছা করছে। নীল শাড়ি আর নীল টিপের রূপা। রাস্তায় দাঁড়িয়ে ছাদের রেলিং ধরে দাঁড়ানো রূপাকে দেখব। কিন্তু বলব না, "ভালবাসি" হিমুদের ভালবাসতে হয় না।
আপনি কি বেদ, উপনিষদ, পুরাণ, ঋগ্বেদ এর তত্ত্ব বিশ্বাস করেন?
ব্লগে কেন বারবার কোরআন ও ইসলামকে টেনে আনা হয়? আর এই ধর্ম বিশ্বাসকে নিয়েই তর্ক বিতর্কে জড়িয়ে পড়ে সবাই? অন্য ধর্ম কেন ব্লগে তেমন আলোচনা হয় না? আমাদের ভারত... ...বাকিটুকু পড়ুন
দুলে উঠে
দুলে উঠে
সাইফুল ইসলাম সাঈফ
মন খুশিতে দুলে দুলে উঠে
যখনই শুনতে পাই ঈদ শীঘ্রই
আসছে সুখকর করতে দিন, মুহূর্ত
তা প্রায় সবাকে করে আনন্দিত!
নতুন রঙিন পোশাক আনে কিনে
তখন ঐশী বাণী সবাই শুনে।
যদি কারো মনে... ...বাকিটুকু পড়ুন
তরে নিয়ে এ ভাবনা
তরে নিয়ে এ ভাবনা,
এর শুরু ঠিক আজ না
সেই কৈশোরে পা দেয়ার দিন
যখন পুরো দুনিয়া রঙীন
দিকে দিকে ফোটে ফুল বসন্ত বিহীন
চেনা সব মানুষগুলো, হয়ে ওঠে অচিন
জীবনের আবর্তে, জীবন নবীন
তোকে দেখেছিলাম,... ...বাকিটুকু পড়ুন
আপনি কি পথখাবার খান? তাহলে এই লেখাটি আপনার জন্য
আগে যখন মাঝে মাঝে বিকেল-সন্ধ্যায় বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম, তখন খাবার নিয়ে আমার জন্য ওরা বেশ বিড়ম্বনায় পড়ত। আমি পথখাবার খাই না। ফলে সোরওয়ার্দী উদ্যানে আড্ডা দিতে দিতে ক্ষিধে পেলে... ...বাকিটুকু পড়ুন
কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই
দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।
সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন