ফিরে দেখুন আমাদের ইতিহাস - ১
ফিরে দেখুন আমাদের ইতিহাস - ২
ফিরে দেখুন আমাদের ইতিহাস - ৩
ফিরে দেখুন আমাদের ইতিহাস - ৪
ফিরে দেখুন আমাদের ইতিহাস - ৫
ফিরে দেখুন আমাদের ইতিহাস - ৬
আগের পোষ্টসমূহের ধারাবাহিকতায়-
প্রবাসী বাংলাদেশীদের ভুমিকা
পাকিস্তান শাসনামলে সরকারের বৈষম্যমূলক আচরনের কারনে খুব কম সংখ্যক বাঙ্গালী উচ্চ শিক্ষা, চাকুরী অথবা ব্যবসার জন্য বিদেশ যেতে পারতো। তারপরও এই স্বল্প সংখ্যক বাঙ্গালী বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ব্যাপক জনমত গড়ে তুলেছিল। তারা পুরো বিশ্বকে জানাতে চেয়েছিল কিভাবে পাকিস্তানীরা বাঙ্গালীদের উপর অত্যাচার চালায় এবং এর সাথে সাথে বাঙ্গালী স্মরনার্থীদের জন্য আর্থিক সাহায্য সংগ্রহ করে।
যুক্তরাজ্যঃ
১. যুক্তরাজ্যের প্রধান শহরগুলোতে বড় বড় রেলী*, সভা আয়োজন করা হয়। লন্ডনের ট্রাফালগার স্কয়ারে ৪ঠা এপ্রিল ও ১লা আগষ্ট এবং হাইড পার্কে ১৯শে জুন বড় আকারে সম্মেলন করা হয়। রেলী* থেকে বৃটেনের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে স্মারকলিপি দেয়া হয়।
২. সভায় বাংলাদেশীদের পাশাপাশী লর্ড ব্রুকওয়ে, পার্লামেন্ট সদস্য পিটার শোর, জর্জ স্টোন, মাইকেল বার্নস ও বাংলাদেশীদের প্রতি সহমর্মিতা প্রকাশ করে ভাষন দেয়।
৩. ২৪শে এপ্রিল পাঁচ সদস্যবিশিষ্ট কার্যকরী কমিটি গঠন করা হয় যার দায়িত্ব দেয়া হয় (পরবর্তীতে বিচারপতি) আবু সাঈদ চৌধুরীকে। এই কমিটির উদ্দেশ্য ছিল আন্তর্জাতিক ক্যাম্পেইন করা।
৪. বৃটেনে পাকিস্তানী দূতাবাসে কর্মরত কিছু বাঙ্গালী কুটনৈতিক চাকুরী ছেড়ে এই ক্যাম্পেইনে যোগ দেয়।
ভারতঃ
১. রাজনীতিবিদ, শিক্ষাবিদ এবং সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব ভারতের বিভিন্ন প্রদেশে ভারত ক্যাপেইনে যোগ দেয়।
২. কলকাতা এবং নয়া দিল্লীতে অবস্থিত পাকিস্তানী দূতাবাসে কর্মরত বাঙ্গালীরা পাকিস্তানের বিরোধিতা করে এবং ভারত ক্যাম্পেইনে যোগ দেয়।
৩. শিল্পীরা স্মরনার্থী শিবির এবং মুক্তিযোদ্ধা ক্যাপ গুলোতে বিভিন্ন পরিবেশনার মাধ্যমে তাদের সাহস যোগায়।
৪. চিকিৎসকরা স্মরনার্থী শিবির এবং আহত মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসা সেবা দিয়ে সাহায্য করে।
যুক্তরাষ্ট্রঃ
১. ২৯শে মার্চ ১৯৭১, যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাঙ্গালীরা ওয়াশিংটনের ক্যাপিটেল হিলে সম্মেলন করে। তারা যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নিক্সন এবং জাতিসংঘের সচিব ইউ. থান্টের কাছে স্মারকলিপি পেষ করে।
২. যুক্তরাষ্ট্র অবস্থিত পাকিস্তান দূতাবাসে কর্মরত ২২জন বাঙ্গালী পদত্যাগ করে বাংলাদেশের পক্ষে ক্যাম্পেইনে যোগ দেয়। তাদের কার্যক্রম মূলত বাংলাদেশের স্বাধীনতার প্রয়োজন বুঝিয়ে বুদ্ধিজীবি, চিন্তাবিদ এবং সিনেটরদের দৃষ্টি আকর্ষন করে। ফলশ্রুতিতে ৪৫জন সিনেটর এবং কংগ্রেস সদস্য পাকিস্তানের এমন কাজের বিরোধিতা করে বিবৃতি দেয়।
জাপানঃ
১. জনাব এস. এ. জালাল তার সহকর্মীদের নিয়ে নির্ভয়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে ক্যাম্পেইন চালিয়ে যায়।
২. তারা জাপানের প্রধান প্রধান রাজনীতিবিদ, গবেষক এবং বুদ্ধিজীবিদের সমর্থন পায় এবং যার দ্বারা জাপানের সংবাদ পত্রগুলো বাংলাদেশের পক্ষে খবর প্রকাশ করে।
[চলবে]
*র এর পরে য-ফলা দিতে পারছিনা। অনেক বার চেষ্টা করে বানানটা ঠিক করে লিখতে পারলাম না।
সর্বশেষ এডিট : ২২ শে জুন, ২০০৮ বিকাল ৫:২২