পর্ব-১
পর্ব-২
পর্ব-৩
পর্ব-৪
পর্ব-৫
পর্ব-৬
- হাতটি ধরলে কি আপনার ইমেজ নষ্ট হবে?
- না, আসলে কখনও এভাবে কারও হাত ধরিনি তো, তাই!
- ইশ্, ন্যাকা!
নিজেই এগিয়ে এসে আমার হাতটি তার ছোট্ট কোমল ফর্সা হাতের মুঠোয় নিয়ে প্রতিটি আঙ্গুলের মাঝে তার সরু সরু আঙ্গুলগুলো গুঁজে দিয়ে শক্ত করে চেপে ধরল। আমার সারা দেহে যেন ১০ হাজার ভোল্টের বিদ্যুতের ঝটকা বয়ে গেল। আমার চোখের দৃষ্টি কেমন যেন ঝাপসা হয়ে গেল! ও আমার হাতটি তার হাত দিয়ে আলিঙ্গন করে আমার সামনে দাঁড়িয়ে আমার চোখের দিকে তার হরিণ নয়ণের কালো মণিটি স্থির করে রাখল।
- শতাব্দী পার হয়ে যাক,
হারিয়ে যাক হৃদয়ের দুখ,
আমরা দুটি পাখি,
মেলি মোদের আঁখি,
ভেসে বেড়াই মেঘ-
আর বিজলীর অবসরে!
তার হাতের ঝাঁকুনিতে আমার তন্দ্রা ছুটে যায়। আমি সচেতন জগতে ফিরে আসি। তার হাতের বন্ধন থেকে আমার হাতটি মুক্ত করার জন্য আলতো করে টেনে নেওয়ার চেষ্টা করি। সে আরো শক্ত করে জড়িয়ে ধরে হাতটি আমার।
- ছাড়বো না ছাড়বো না
দেখি কেমনে ছাড়াও
পারবো না পারবো না,
দেখি কেমনে পালাও
এই নরম-কোমল হস্তবন্ধন ছেড়ে!
ছাড়াতে যদি চাও
তবে তুমি কেটে নাও
আমার পাঞ্জাটি,
উপহার দিলাম তোমায়
হৃদয়ের বন্ধন! সে কি ছেঁড়া যায়!!
আমার চোখে জলের অস্তিত্ব টের পেলাম না, কিন্তু তার পদ্মকলি নেত্রপল্লব কখন যে ভিজে গেছে টের পেলাম যখন কয়েকটি মুক্তবিন্দু আমাদের হাতের আলিঙ্গনে এসে হৃদয়ের উষ্ণতার ছোঁয়া দিয়ে গেলো।
-আমি ছাড়তে চাইনাকো
সখি তবু ছাড়তে আমায় হবে গো
জীবন আমার ক্ষণস্থায়ী,
সময় বড় নাহিকো
জীবনে গোধুলী, আমি এবার যাই।
ভাষাহীন, নির্বাক, নিষ্পলক দুটি পাখি আমরা দাঁড়িয়ে রয়েছি মুখোমুখি। এতক্ষণ সে আমার একটি হাত জড়িয়ে ছিল এবার বাকি হাতটিও টেনে নিল তার অপর হাতের বন্ধনে!
উৎসর্গ- প্রাণপ্রিয় সামুপাগলা০০৭ । যিনি এই ব্লগটি মাতিয়ে রেখেছেন অনেকদিন ধরে। যার প্রেরণায় আমার এ গল্পের অবতারণা।
বিঃ দ্রঃ আর আজকের পর থেকে হয়ত এই বিতর্কিত আইডিটির অপমৃত্যু হয়ে যাবে। অনেকেই এই আইডি খোলা নিয়ে গোস্বা করেছেন, এমনকি আমাদের সবার প্রিয় পাগলী আপুনি সবচেয়ে বেশি কষ্ট পেয়েছেন।