ভালোবাসার মূর্ত প্রতীক হয়ে আজও যে আছো বেঁচে
তোমার কথা আজও কানে লাগে
তোমার যে চিরচেনা দারুন কন্ঠস্বর;
তোমার অবাক জীবন বোধ আর দারুন মানবিকতা
তোমার মৃত্যু ভাবনা আজও যে দেয় নাড়া
প্রাণের খোরাক হয়ে চেতনা হয়ে ওঠে তোমার কথা
তুমি মরে যেন—
আরও বেশি জীবিত আজ বেঁচে থাকার চেয়ে।
নাটক সিনেমা টক শোতে তোমার অভাব,
দিনে দিনে যায় যেন বেড়ে ।
বাংলা সিনেমার ভিলেন হয়েও তুমিই যেন মহানায়ক
তুমি আজও যে সমান জনপ্রিয় মৃত্যুর এক যুগেরও পরে।
মৃত হয়েও আজ যেন তুমি তাই ঢের বেশি জীবিত
আপন কর্মমাঝে ।
তুমি শুধু নও যে অভিনেতা,
তুমি দার্শনিকও বটে !
আজ তোমার জন্মদিন
অনেক কিছুই অব্যক্ত থেকে যেত যে
তোমার জন্ম না হলে — এই ভবে।
অনেক কঠিন চরিত্রের স্বার্থক রূপকার হে
আর ক’ টাদিন বাঁচলে তুমি
কতৈ না ভালো হতো ।
নতুন নতুন সৃষ্টি তোমার মোদের করতো বিমোহিত
কেন আর কটা দিন বাঁচলে না হায়
প্রাণে দুঃখ লাগে ভেবে।
আজ তোমার জন্মদিন বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই তাই
শুভ জন্মদিন, হে হমায়ূন ফরীদি বাংলার অভিনয় সম্রাট,
হে মানবতার বাতিঘর —বিশাল হৃদয় প্রাণ
বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই তোমায়, গভীর ভালোবেসে
ভালো থেকো তুমি চিরদিন না ফেরার ঐ দেশে।
বহুমূখী প্রতিভাবান এই অভিনেতা সম্পর্কে নতুন করে বলার কিছু নেই। তিনি ১৯৫২ সালের মে মাসের ২৯ তারিখে জন্মগ্রহণ করেন। আর মৃত্যু বরণ করেন ২০১২ সালের ফ্রেব্রুয়ারির ১৩ তারিখ পহেলা ফাল্গুনে। মৃত্যুর সময় তিনি ছিলেন একা। ছবিটি দেয়ার পেছনের কারণ ছবিটির সাথে আমিও জড়িয়ে আছি। তখন বইমেলা চলছিল আর আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র । ফরীদি বইমেলা চলাকালীন সময়ে ঢাকাবিশ্ববিদ্যালয়ে স্যুটিং করা নিয়ে টেনশনে ছিলেন । আমি উনাদের আশ্বস্ত করলাম। তারা স্যুটিং করার সিদ্ধান্ত নিলেন । ফরীদি আর অপিকরিম রিকশায় বসা আর আমিও আছি তাদের নিরাপত্তা হয়ে। নাটকের নাম বিহঙ্গ। সেই সময়ে একটা ঘটনা রূপালি পর্দার বিখ্যাত পরিচালক শহীদুল ইসলাম খোকন বসা ছিলেন আর একটা চেয়ার ফাঁকা ফরীদি স্যুটিং এ ব্যস্ত।। আমি চেয়ারটিতে প্রায় বসে পড়েছিলাম। তখন খোকন সাহেব বলে ওঠলেন ওটা ফরীদির চেয়ার ওখানে অন্য কেউ বসে না। আমি থেমে গেলাম । ফরীদি তাঁর গাড়িতে করে চেয়ারখানা বয়ে বেড়াতেন। সেটাতে তিনিই বসতেন। আজ প্রিয় অভিনেতা অভিনয় জগতের উজ্জ্বলতম নক্ষত্র হুমায়ূন ফরীদির জন্মদিন। উনার শেষ জন্মদিন বালাই ষাট অনুষ্ঠানে আমি উপস্থিত ছিলাম। অনুষ্ঠানটি করা হয়েছিল তার দীর্ঘায়ূ কামনা করে। জন্মদিনের অনুষ্ঠান ছিল তারার মিছিল। উপচে পড়া ভীর। বিশাল আয়োজন। সেসব এখন শুধুই স্মৃতি। জন্মিলে মরিতে হইবে প্রমাণ করে এখন ফরীদি আমাদের মাঝে নেই। অভিনয় বিষয়টি আসলে অনেকেই গর্ব করে বলতেন আমাদের একজন ফরীদি আছে। প্রয়াত এই অভিনেতার জন্মদিনে ফুলেল শভেচ্ছা জানাই বিনম্র শ্রদ্ধা জানাই। তিনি এমন একজন মুক্তিযুদ্ধা যার মুখে কোনদিন এই কথা শুনিনি তিনি একজন মহান মুক্তিযুদ্ধা। মুক্তিযুদ্ধা অভিনেতা প্রেমিক পুরুষ হুমায়ূন ফরীদির জন্মদিনে তার জন্য একরাশ শুভেচ্ছা ও শুভকামনা তিনি যেন ভালো থাকেন না ফেরার দেশে। মরিয়া তিনি এও প্রমাণ করেছিলেন কীর্তিমানের মৃত্যু নেই। শুভজন্মদিন হুমায়ূন ফরীদি বাংলার অহংকার।
ছবি নেট থেকে নেয়া ।
সর্বশেষ এডিট : ২৯ শে মে, ২০২৩ সকাল ১০:১৭