নতুন নতুন আমি যখন চাকরিতে জয়েন করি তখন একটা জিনিস নিয়ে আমি খুব টেনশনে পরে গিয়েছিলাম!
আমার ডিউটি ছিল ১২ ঘণ্টা! জয়েন করার কিছুদিনের মধ্যে আমি খুব আউলা ঝাউলা হয়ে গেছিলাম।
এইটা ভেবে এমন হয়েছিল যে, প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা করে সারাটা বছর আমাকে ডিউটি করে যেতে হবে-_- এমনটা ভেবে আমি খুব ভেঙ্গে পরেছিলাম।
কিন্তু তার কিছুদিন পরে আমার এই ভাবনা খানা আমি নিজেই বদলে ফেললাম।
আমি ১২ ঘণ্টা করে ডিউটি টা সারা জীবন করতে হবে তা আমি ভুলে গেলাম। আমি ভাবতে লাগলাম আমাকে প্রতিদিন ১২ ঘণ্টা ডিউটি করতে হবে। তারপর বাসায় যাইতে হবে, রাতে বাসায় বসে ফেসবুকে বন্ধুদের সাথে আড্ডা দিতে হবে, ডিনার করতে হবে, তারপর একটা হাসি খুশি ঘুম দিয়ে দিবো।
আবার সকাল হবে আমি ডিউটি তে যাবো, কলিগদের সাথে ফেসবুকে রাতে কার সাথে কি কথা হয়েছে এই বিষয়ে ডিসকাস করবো ইত্যাদি ইত্যাদি।
আমি আমার চাকরির আয়ুটাকে ১২ ঘণ্টার ভিতরে বন্দি করে ফেললাম!
এরপর দেখলাম সব কিছুই আমি খুব সহজ ভাবে নিতে পারতেছি। ডিউটি নিয়ে আমার কোন আর টেনশন নেই। ১২ ঘণ্টার ডিউটি শেষ করে বাসায় এসে কত কিছুই না করতেছি একেক দিন তার কোন ইয়ত্তা নেই।
আর এই ভাবে দেখে আমার চাকরির বয়সটা তিন বছর হতে চলল।
আসলে কিছু কিছু ব্যাপারে ভবিষ্যতের ভাবনাটা আগে থেকে ভেবে রাখাটা অতোটা সুফল বয়ে আনে না।
এসব ব্যাপারে আজকের কাজ আজকেই শেষ করে সুস্থ ভাবে বাসায় ফিরবো বলে ভেবে রাখা উচিৎ।
এক্ষেত্রে দৈহিক ও মানসিক ভাবে চাপ থেকে কিছুটা হলেও মুক্তি পাওয়া যায়।
এক কথায় জীবনটা নিজের যদি নিজের মতো করে ভাবতে ও সাজাতে পারেন