somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মধ্যরাতের টক শো টক! সরকারের মিডিয়া ফোবিয়ার এই ডিজিটাল উপসর্গ কিসের বার্তাবাহক?

২১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৭
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :

মেয়াদকালের শেষ সময়ে এসে মিডিয়ার প্রতি সরকারের এই ধরণের ফোবিয়া কোন ভালো লক্ষণ বলে মনে হচ্ছে না। সরকার যদি প্রকৃতই জনগনের কল্যানে ব্যাপক কাজ করে থাকে তাহলে মিডিয়ার প্রতি তো আরো সহিষ্ণু হওয়ার কথা। প্রশংসার ঢাক ঢোলের তীব্রতা বাড়ানোর জন্য সরকারী অফিসে নিজেদের অর্থে ক্রয়কৃত পত্রিকার প্রকারভেদ সীমিত না করে আরও বাড়িয়ে দেওয়ার কথা। কিন্তু রুঢ় হলেও সত্য যে এখন থেকে সরকারী কর্মকর্তা ও কর্মচারীদেরকে অফিসে বসে দেশের উন্নয়নের (?) ডিজিটাল জোয়ারের সচিত্র প্রতিবেদন মাত্র গুটি কয়েক চিহ্নিত পত্রিকার মাধ্যমে দেখতে হবে। কিন্তু কেন? মিডিয়া ফোবিয়ার এই ডিজিটাল উপসর্গ আসলে সরকারের কোন্‌ রোগের সক্রমনের ইঙ্গিত বহন করছে?

বেশ কিছুদিন আগে থেকেই সরকারের মধ্যে গনমাধ্যমের প্রতি অল্প অল্প করে বিরক্তিকর ভাবের লক্ষণ ক্রমশ প্রতীয়মান হচ্ছে। তবে গণমাধ্যমের প্রতি তাদের এই লক্ষণের মাত্রা জলাতঙ্ক রোগীর জলভীতির মতো প্রবল না হলেও তা ক্রমান্বয়ে জনগনের সহিষ্ণুতার মাত্রাকে স্পর্শ করে সেটাকে ছাড়িয়ে যাবার উপক্রম হয়েছে। রাতে টেলিভিশনের টকশো গুলো টক লাগছে তাই সেগুলো বন্ধ করো, আমাদের খবর গুলো প্রথম পৃষ্ঠায় আসছেনা তাই আমাদের অনুষ্ঠানে তাদের নিষিদ্ধ করো এসব কথা প্রায়ই শোনা যায় সরকারের অনেক উপরের মহলের করিৎকর্মাদের মুখে। আর এখন এসব করো করো শব্দের সংগে নতুন করে যুক্ত হয়েছে আমাদের অফিস গুলোতে শুধুমাত্র অমুক অমুক পত্রিকা ক্রয় করো জাতীয় লক্ষণ।

এসব লক্ষণকে অনেকটা ক্যান্সার আক্রান্ত ব্যাক্তির শুরুর দিকে দিনের পর দিন চলতে থাকা হালকা জ্বর জ্বর ভাব বা এইডস আক্রান্ত ব্যক্তির রাতে মাত্রাতিরিক্ত ঘর্ম জনিত লক্ষণের সাথে তুলনা করা যেতে পারে। লক্ষণের এই পর্যায়ে এসে রোগী যদি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয় তাহলে বড়ো ধরণের সমূহ বিপদ থেকে রক্ষা পাওয়ার যথেষ্ঠ সম্ভবনা থাকে। তাই সরকারের অন্দর মহলে যদি সামনের নির্বাচনে নিজেদের পতনের আশঙ্কা এসব ঘাতক ব্যাধির মতো বাসা বেঁধে থাকে এবং এসব ‘করো করো’ লক্ষণ গুলো যদি তা থেকে উৎসৃত হয়ে থাকে তবে এখনো সময় আছে সজাগ হওয়ার। জনগণের বাক স্বাধীনতাকে হরণ করার হীন উদ্দেশ্যে গণমাধ্যমের টুটি চেপে ধরার প্রয়াসে সৃষ্ট বিরূপ জনমত গুলোকে বিবেচনা করে দ্রুত নিজেদের সমস্যা সমাধানে মনোযোগী হওয়াটাই হবে বুদ্ধিমানের কাজ। নতুবা এধরণের অগণতান্ত্রিক ও অসহিষ্ণু মনোভাব (বাকশালী) ক্রমান্বয়ে বেড়ে এমন মাত্রাই গিয়ে পৌছবে যেটা নিজেদের পতনকেই ত্বরান্নিত করবে বৈকি। তখন আর কিছুই করার থাকবেনা।
সর্বশেষ এডিট : ২১ শে ডিসেম্বর, ২০১২ সন্ধ্যা ৭:১৭
০টি মন্তব্য ০টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

আমরা কেন এমন হলাম না!

লিখেছেন সায়েমুজজ্জামান, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ৯:৪১


জাপানের আইচি প্রদেশের নাগোইয়া শহর থেকে ফিরছি৷ গন্তব্য হোক্কাইদো প্রদেশের সাপ্পোরো৷ সাপ্পোরো থেকেই নাগোইয়া এসেছিলাম৷ দুইটা কারণে নাগোইয়া ভালো লেগেছিল৷ সাপ্পোরোতে তখন বিশ ফুটের বেশি পুরু বরফের ম্তুপ৷ পৃথিবীর... ...বাকিটুকু পড়ুন

অভিমানের দেয়াল

লিখেছেন মোঃ মাইদুল সরকার, ১৪ ই মে, ২০২৪ সকাল ১১:২৪




অভিমানের পাহাড় জমেছে তোমার বুকে, বলোনিতো আগে
হাসিমুখ দিয়ে যতনে লুকিয়ে রেখেছো সব বিষাদ, বুঝিনি তা
একবার যদি জানতাম তোমার অন্তরটাকে ভুল দূর হতো চোখের পলকে
দিলেনা সুযোগ, জ্বলে পুড়ে বুক, জড়িয়ে ধরেছে... ...বাকিটুকু পড়ুন

আমাদের গ্রামে মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি

লিখেছেন প্রামানিক, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ১:৩১



২৬শে মার্চের পরে গাইবান্ধা কলেজ মাঠে মুক্তিযুদ্ধের উপর ট্রেনিং শুরু হয়। আমার বড় ভাই তখন ওই কলেজের বিএসসি সেকেন্ড ইয়ারের ছাত্র ছিলেন। কলেজে থাকা অবস্থায় তিনি রোভার স্কাউটে নাম... ...বাকিটুকু পড়ুন

বিকেল বেলা লাস ভেগাস – ছবি ব্লগ ১

লিখেছেন শোভন শামস, ১৪ ই মে, ২০২৪ দুপুর ২:৪৫


তিনটার সময় হোটেল সার্কাস সার্কাসের রিসিপশনে আসলাম, ১৬ তালায় আমাদের হোটেল রুম। বিকেলে গাড়িতে করে শহর দেখতে রওয়ানা হলাম, এম জি এম হোটেলের পার্কিং এ গাড়ি রেখে হেঁটে শহরটা ঘুরে... ...বাকিটুকু পড়ুন

One lost eye will open thousands of Muslims' blind eyes

লিখেছেন জ্যাক স্মিথ, ১৫ ই মে, ২০২৪ রাত ২:২৭



শিরোনাম'টি একজনের কমেন্ট থেকে ধার করা। Mar Mari Emmanuel যিনি অস্ট্রেলীয়ার নিউ সাউথ ওয়েলসের একটি চার্চের একজন যাজক; খুবই নিরীহ এবং গোবেচারা টাইপের বয়স্ক এই লোকটি যে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×