আজকে দৈনিক যুগান্তরে প্রকাশিত খবরটির দিকে একটু নজর দিলেই বুঝতে পারবেন শীর্ষ সন্ত্রাসী বিকাশের নিরাপদে জেল থেকে বেরিয়ে যাওয়ার পেছনে সরকারের প্রভাবশালী মহলের সহযোগীতার ধরন গুলো ছিলো কত কৌশলী। সকল প্রকার ঝামেলা এড়ানোর জন্য তাকে কারামুক্তির ক্ষেত্রে বিভিন্ন ভাবে সহযোগীতা করা হয়। যেমনঃ
১) সর্বপ্রথম সরকারের একজন প্রভাবশালী মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রী তার মুক্তির কলকাঠি নাড়ে
২) মুক্তি দেওয়ার ক্ষেত্রে সরকারের ইশারায় কারা কর্তৃপক্ষের গোপনীয়তা চোখে পড়ার মতো
৩) মুক্তির বার্তা কারা ফটকে পৌছানোর পর অবিশাস্য দ্রুততর সময়ে (মাত্র ৪৫ মিনিটে) তাকে মুক্তি দেওয়া হয়
৪) মুক্তির সময়টি ছিলো ১৪ই ডিসেম্বর অর্থাৎ সরকারী ছুটির দিন এবং কারা ফটকে ঐ সময় ছিলোনা কোন গোয়েন্দা নজরদারী
৫) মুক্তির মুহূর্তে কারা ফটকের সামনের সিসি ক্যামেরাটি আগে থেকেই বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর মাধ্যমে কারা তাকে গ্রহন করতে এসেছিলো সেই আলামত ও রাখা হয়নি
৬) মুক্তির আগেরদিন বিকালে কারাগারের ডেপুটি জেলারের মারফতে একজন উর্দ্ধতন গোয়েন্দা কর্মকর্তা জানার পরও বিকাশের মুক্তির পক্ষে মন্ত্রনালয়ের শুপারিশ থাকায় তিনি কোন ব্যাবস্থা নিতে পারেননি
৭) সব শেষে মুক্তির পর গনমাধ্যমের সমালোচনা ঠেকাতে বিকাশের মুক্তির পক্ষে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মখা আলমগীরের নির্লজ্জ সাফাই। “সব কিছুই আইনের মাধ্যমে হয়েছে” এই কুখ্যাত উক্তির মাধ্যমে জনগনকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানানোর অপচেষ্টা।
আমরা নতুন প্রজন্ম ডিজিটাল বাংলাদেশ দেখার প্রত্যাশায় আকুন্ঠ সমর্থন দিয়েছিলাম যাদেরকে আজ তাদেরকেই দেখতে পাচ্ছি আমাদের নিরাপত্তাকে কোন তোয়াক্কা না করে ফাঁসীর আসামী ও শীর্ষ সন্ত্রাসীদেরকে ছেড়ে দিয়ে কীভাবে আমাদেরকে এক অজানা আতঙ্কের মধ্যে ফেলে দিচ্ছেন। মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী যতই আইনের মহান বানী শুনাক না কেন বা মহামান্য রাষ্ট্রপতি যতই ক্ষমাশীলতার উজ্জ্বল (?) দৃষ্টান্ত দেখাক না কেন আমরা সাধারন জনগন কিন্তু মোটেই স্বস্তিতে নেই।
খবরটির সূত্রঃ দৈনিক যুগান্তরের এইখানে