:::বুনো পাখির গান:::
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
Tweet
চলছে বসন্তকাল। বসন্ত বললেই কবি সাহিত্যিকরা লেখে গাছে গাছে পাখি ডাকে, দিকে দিকে ফুল ফোটে। আরেকদল বলে ‘ফুল ফুটুক আর নাই ফুটুক আজ বসন্ত’। বসন্ত চলে এসেছে ইট কাঠ পাথরের দঙ্গলে বসে তা বোঝার উপায় নেই। সরকারী আর বিরোধী দলের চাপাচাপি’তে প্রাণ ওষ্ঠাগত। ঢাকার বাইরে যে বেরুবো সেও উপায়ও নেই। লং ডিসটেন্সের সব বাস বন্ধ।
এক ছোট ভাইকে সঙ্গে নিয়ে বেরুলাম ঢাকার পার্কগুলোতে বসন্ত দেখতে। রাজপথের ডিভাইডারের গাছেও ফুল ফোটে। তাহলে চোখের আড়ালে থাকা পার্ক গুলো (যদিও এখন এদের একমাত্র ব্যাবহার নেশাখোরদের আড্ডা আর স্কুল ড্রেস পড়ে ডেটিং করনেওয়ালাদের আশ্রয়স্থল)। বসন্তকাল অধিকাংশ দিশি পাখিদের মনে রোমান্স জাগে প্রাকৃতিক নিয়মেই। স্ত্রীপাখিদের দৃষ্টি আকর্ষনে সাজুগুজু করে মিষ্টি স্বরে ডাকাডাকি করে পুরুষ পাখিরা, তাদের খুঁজে পাওয়াও সহজ হবে ভেবেছিলাম। সম্বল বলতে আমার ভয়ঙ্কর স্লো ৫৫-২৫০এমএম লেন্সটা। ছোট ভাইএর অবস্থা আমার চেয়েও খারাপ ওর ১৮-১৩৫। কি আর করা যার যা আছে তাই নিয়ে ঝাপিয়ে পড়লাম।
ফুলে ফুলে দোলে দোলে... অচেনা ফুলের শাখায় দোল খেতে খেতে শুয়া পোকা ভোজনে ব্যাস্ত একটা বেনে বৌ (ব্ল্যাক হেডেড ওরিওল)।
প্রেমে ব্যাস্ত পক্ষী দম্পত্তি। গাছের একেবারে মগডালে থাকায় ঠিক মতো চিনতে পারি নাই। সম্ভবত চোখ গেলো গো পাখি (হিন্দি নামটা অনেক পরিচিত পিউ কাঁহা)
প্রহর শেষে রাঙ্গা আলোয় সেদিন চৈত্রমাস। শুধু পাখি নয় মানুষের মনেও রঙ লেগেছে।
এটা কি ফুল কেউ বলতে পারেন? অন্য গাছের গুড়ির উপরে জন্মেছিলো পরগাছা ধরনের।
আচমকা উড়াল দেয়া বাংলা বুলবুল (রেড ভেন্টেড বুলবুল)। গোধুলী আলোয় ছবিটার আলো আর শাটার স্পিড নিয়ন্ত্রন করতে পারি নাই।
এটা কে বলে চোখ গেলো গো বা পিউ কাহা। ইংরেজীওয়ালারা বলে কমন হক কাক্কু।
হাড়ি চাচা। টেনিদার একটা বিখ্যাত গল্প ছিল- কুন্ডু মশাই মুন্ডু নাচায়, গান জুড়েছে হাড়ি চাচায়।
সেই বেগুনি রঙের জংলি ফুলগুলিই আমার কানে শুনাইয়া দিল বসন্তের আগমন বাণী। বাতাবি লেবুর ফুল নয়, ঘেঁটু ফুল নয়, আম্রমুকুল নয়, কামিনী ফুল নয়, রক্তপলাশ বা শিমুল নয়, কী একটা নাম গোত্রহীন, রূপহীন নগণ্য জংলি কাঁটাগাছের ফুল...।’--- আরণ্যক বিভুতীভুষন।
ব্লগার সাঈদুর ভাই আইডেন্টিফাই করলেন এটার নাম ভাট ফুল।
আমাদের জাতীয় পাখি।
আমি কিন্তু সব দেখতেছি...
কাঠশালিক। ইংরেজীতে বলে গ্রে হেডেড ময়না।
দেশী টিঁয়া।
ভালো করে দেখি। (নাম পরিচয় আগেই দিছি)।
প্রজাপতি ছাড়া কি বসন্ত জমে?
শেষ। কেমন লাগলো ছবি গুলান???
ভালো করে পুরো সিরিজটা দেখতে চাইলে এখানে ক্লিক করেন
ওহ ছবিগুলো অনেক কষ্ট করে তুলেছি। সারাদিন না খেয়ে না দেয়ে অনেক দৌড়া দৌড়ি করে তুলতে হয়েছে। বিনা অনুমতিতে কোথাও ব্যাবহার নিষেধ।
২০টি মন্তব্য ১৫টি উত্তর
আলোচিত ব্লগ
শ্রমিক সংঘ অটুট থাকুক
আপনারা যখন কাব্য চর্চায় ব্যস্ত
অধিক নিরস একটি বিষয় শান্তি ও যুদ্ধ নিয়ে
আমি তখন নিরেট অলস ব্যক্তি মেধাহীনতা নিয়ে
মে দিবসের কবিতা লিখি।
“শ্রমিকের জয় হোক, শ্রমিক ঐক্য অটুট থাকুক
দুনিয়ার মজদুর, এক হও,... ...বাকিটুকু পড়ুন
কিভাবে বুঝবেন ভুল নারীর পিছনে জীবন নষ্ট করছেন? - ফ্রি এটেনশন ও বেটা অরবিটাল এর আসল রহস্য
ফ্রি এটেনশন না দেয়া এবং বেটা অরবিটার
(ভার্সিটির দ্বিতীয়-চতুর্থ বর্ষের ছেলেরা যেসব প্রবলেম নিয়ে টেক্সট দেয়, তার মধ্যে এই সমস্যা খুব বেশী থাকে। গত বছর থেকে এখন পর্যন্ত কমসে কম... ...বাকিটুকু পড়ুন
প্রতিদিন একটি করে গল্প তৈরি হয়-৩৭
ছবি-মেয়ে ও পাশের জন আমার ভাই এর ছোট ছেলে। আমার মেয়ে যেখাবে যাবে যা করবে ভাইপোরও তাই করতে হবে।
এখন সবখানে শুধু গাছ নিয়ে আলোচনা। ট্রেনিং আসছি... ...বাকিটুকু পড়ুন
একাত্তরের এই দিনে
শহীদুল ইসলাম প্রামানিক
আজ মে মাসের এক তারিখ অর্থাৎ মে দিবস। ১৯৭১ সালের মে মাসের এই দিনটির কথা মনে পড়লে এখনো গা শিউরে উঠে। এই দিনে আমার গ্রামের... ...বাকিটুকু পড়ুন
হুজুররা প্রেমিক হলে বাংলাদেশ বদলে যাবে
তখন প্রথম বর্ষের ছাত্র। আমরা কয়েকজন বন্ধু মিলে আমাদের আরেক বন্ধুর জন্মদিনের উপহার কিনতে গেছি মৌচাক মার্কেটের পিছনে, আনারকলি মার্কেটের সামনের ক্রাফটের দোকানগুলোতে। একটা নারীর ভাস্কর্য দেখে আমার... ...বাকিটুকু পড়ুন