somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

রোহিঙ্গা সমস্যা তিন বছরে

০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২১
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :




আমি আজ রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর কথা লিখছি
দেশ থেকে, নিজ বাসভূমি থেকে বিতাড়িত মানবতার কথা লিখছি
অনেক দশক ধরে তাঁদের উপর চলমান নির্যাতন
বারবার ভিটে মাটি থেকে উচ্ছেদ, অত্যাচার, অবিচার আর
নাগরিক অধিকার থেকে বঞ্চনার কথা লিখছি।
আরাকানে তাঁদের বসবাস ছিল যুগে যুগে
আলাওল, মাগন ঠাকুর আরও কত বিখ্যাত মনীষী
আরাকানের রাজ্য সভা আলোকিত ছিল তাঁদের উপস্থিতিতে।
আরাকান স্বাধীন ছিল বহুকাল
বর্মী রাজার আক্রমনে পর্যুদস্ত, পরাজিত আর
সবশেষে আরাকান প্রায় জনশূন্য ছিল বহুকাল,
আমি সেসব ইতিহাসের কথা বলছি।
আরাকানে রোহিঙ্গাদের উপস্থিতি ছিল যুগে যুগে
আরাকানিদের সাথে ছিল তারা সহবস্থানে,
সেকথা মিথ্যা নয়, ইতিহাস বারবার জানিয়ে যায়
আমি সেই সুবর্ণ সময়ের কথা বলছি।
ব্রিটিশরা প্রথমে আরাকান দখল করে,
পরে পুরো বার্মাই তাঁদের দখলে আসে,
তারপর আসে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ, আমি সেই সময়ের কথা বলছি।
রোহিঙ্গারা ব্রিটিশদের পক্ষ নিয়ে জাপানিদের সাথে যুদ্ধ করেছে
তারা ক্রোধ জাগিয়ে ছিল আরাকানি ও জাপানীদের মনে
আমি সেসব কথা বলছি।
ব্রিটিশরা কথা রাখেনি, রোহিঙ্গাদের স্বাধীনতার কথা তারা মনে রাখেনি
বর্মীরা ও তাঁদের অত্যাচার বন্ধ রাখেনি
সেই থেকে নির্যাতন থেমে থেমে চলছিল
সেই থেকে শুরু, তারপর তা চলছিল মাঝে মাঝে
আমি সেই চলে আসা অন্ধকার সময়ের কথা বলছি।
স্বাধীনতার কিছু পর আসে নে উইনের শাসন
সে সময় রোহিঙ্গাদের সংসদ সদস্য পদ কেড়ে নেয়া হয়
বঞ্চিত, পদচ্যুত করা হয় সরকারী পদ থেকে
তাদেরকে মিয়ানমারের নাগরিকত্ব দিতে অস্বীকার করা হয়।
আমি সেই তিক্ত সময়ের কথা লিখছি।
তারপর সেই আশির দশক থেকে নানা ছলনায়
একের পর এক তাঁদের উপর আক্রমন আসে
নিঃস্ব হতে হতে তারা পরিনত হয় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীতে
নাগরিকত্ব ছিনিয়ে নেয়া হয়, ভিটে বাড়ি থেকে উচ্ছেদ করা হয়
১৯৮৮, ১৯৯২, ১৯৯৬, ২০১২,২০১৬ সালে
চলতে থাকে রোহিঙ্গাদের জীবনের কালো অধ্যায়,
এসব ছাপিয়ে ২০১৭ সালের ২৫ আগস্টের কালোরাত
লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গা প্রানভয়ে বাংলাদেশে আশ্রয় নেয়
আমরা সেসব কথা সবাই জানি।
মানবতার জননী, শেখ হাসিনা তাঁদের আশ্রয় দেন বাংলার মাটিতে
পরম ভালবাসায়, মানবিকতায়
সেই থেকে অদ্যাবধি তারা বাংলাদেশে, তিন বছর পার হয়ে গেল
তবু ও তারা ফিরে যেতে পারেনি তাঁদের নিজ বাসভূমে
আমি সেই নিপীড়ন আর নির্যাতনের কথা বলার চেষ্টা করছি আর লেখনী দিয়ে লিখছি।
মানবতা, মানবিকতা আজ কোথায়
রোহিঙ্গাদের ডাকে সাড়া দিয়ে, তাঁদের বাসভূমে ফেরার নিশ্চয়তা নিয়ে
তুমি আসো, তুমি এগিয়ে আসো, হে বিশ্ব বিবেক।।
সর্বশেষ এডিট : ০৩ রা সেপ্টেম্বর, ২০২০ রাত ১১:২৪
১টি মন্তব্য ১টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

শাহ সাহেবের ডায়রি ।। রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যা ও পদ্মশ্রী পুরস্কার

লিখেছেন শাহ আজিজ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ১১:৫৬



এ বছরের পদ্মশ্রী (ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ অসামরিক সম্মাননা) পদকে ভূষিত করা হয়েছে, বাংলাদেশের রবীন্দ্র সংগীত এর কিংবদন্তি শিল্পী রেজওয়ানা চৌধুরী বন্যাকে।

আমরা গর্বিত বন্যাকে নিয়ে । ...বাকিটুকু পড়ুন

কষ্ট থেকে আত্মরক্ষা করতে চাই

লিখেছেন মহাজাগতিক চিন্তা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৯



দেহটা মনের সাথে দৌড়ে পারে না
মন উড়ে চলে যায় বহু দূর স্থানে
ক্লান্ত দেহ পড়ে থাকে বিশ্রামে
একরাশ হতাশায় মন দেহে ফিরে।

সময়ের চাকা ঘুরতে থাকে অবিরত
কি অর্জন হলো হিসাব... ...বাকিটুকু পড়ুন

রম্য : মদ্যপান !

লিখেছেন গেছো দাদা, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৫৩

প্রখ্যাত শায়র মীর্জা গালিব একদিন তাঁর বোতল নিয়ে মসজিদে বসে মদ্যপান করছিলেন। বেশ মৌতাতে রয়েছেন তিনি। এদিকে মুসল্লিদের নজরে পড়েছে এই ঘটনা। তখন মুসল্লীরা রে রে করে এসে তাকে... ...বাকিটুকু পড়ুন

= নিরস জীবনের প্রতিচ্ছবি=

লিখেছেন কাজী ফাতেমা ছবি, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৪১



এখন সময় নেই আর ভালোবাসার
ব্যস্ততার ঘাড়ে পা ঝুলিয়ে নিথর বসেছি,
চাইলেও ফেরত আসা যাবে না এখানে
সময় অল্প, গুছাতে হবে জমে যাওয়া কাজ।

বাতাসে সময় কুঁড়িয়েছি মুঠো ভরে
অবসরের বুকে শুয়ে বসে... ...বাকিটুকু পড়ুন

Instrumentation & Control (INC) সাবজেক্ট বাংলাদেশে নেই

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৩ শে এপ্রিল, ২০২৪ বিকাল ৪:৫৫




শিক্ষা ব্যবস্থার মান যে বাংলাদেশে এক্কেবারেই খারাপ তা বলার কোনো সুযোগ নেই। সারাদিন শিক্ষার মান নিয়ে চেঁচামেচি করলেও বাংলাদেশের শিক্ষার্থীরাই বিশ্বের অনেক উন্নত দেশে সার্ভিস দিয়ে... ...বাকিটুকু পড়ুন

×