আজকে শেখ হাসিনাকে নিয়ে আমরা আর বড় স্বপ্ন দেখছি না, সময় চলে গেছে, সামনে অনিশ্চয়তা। কিন্তু ১৯৮১ সালের ১৭ই মে ছিলো বিরাট আশা ও ভয়ের দিন; প্রায় ৬ বছর প্রবাসে থাকার পর, জে: জিয়ার বাংলাদেশে ফিরছিলেন শেখ হাসিনা; যেই মিলিটারী শেখ সাহেবকে হত্যা করেছিলো, সেই মিলিটারীর 'গণতান্ত্রিক' দেশে আসছেন শেখ হাসিনা, কি হবে কেহ জানতো না!
তবে, এটা ঠিক যে, শেখের যেই মেয়ে ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগষ্টে, জার্মানীতে বাংলাদশের রাষ্ট্রদুতের বাসায়, অসহায় হয়ে অঝোরে কাঁদছিলো, এটা সেই শেখ হাসিনা নন, এই হাসিনার হাতে ছিলো বিরাট লাঠি। উনি জেনেশুনেই দেশে ফিরছিলেন, যেখানে উনার বাবার হত্যাকারীরা দেশ চালাচ্ছিলো। তিনি এলেন, মিলিটারী-বিরোধীরা আশা করার শুরু করলো, বরফ গলা শুরু হবে, কিংবা শেখের শেষ চিহ্নও মুছে যাবে।
দেশবাসীর ভাগ্য ভালো, শেখ হাসিনা কিছু করার আগেই মিলিটারী নিজেদের মাঝে কিছুটা বুঝাপড়া করে নিয়েছিলো; মুল নায়ক অপসারিত।
শেখ হাসিনা কোন সাহসে বর্ডার দিয়ে ভেতরে এলেন, কে ছিলো পেছনে? পেছনে ছিলেন বিশাল এক শক্তি, ইন্দিরা গান্ধী। ততকালীন সরকারের সর্বোচ্চ ক্ষমতার সাথে শেখ হাসিনার নিজ দেশের ফেরার ব্যাাপারে নিশ্চয় ইন্দিরা গান্ধীর আলাপ হয়েছিলো; সেটা নিশ্চয় সোজা কিছু ছিলো না।
৪২ বছর পর, আজকে দিনটির গুরুত্ব কিছুটা কমে এসেছে মানুষের কাছে; কিন্তু শেখ হাসিনার নিজের কাছে দিনটি এখনো ভয়ংকর এক দু:সাহসের দিন; মিলিটারী-সরকার বিরোধীদের জন্যও ইহা একটি ঐতিহাসিক দিন।
সর্বশেষ এডিট : ১৭ ই মে, ২০২২ রাত ১১:৩৩