somewhere in... blog
x
ফোনেটিক ইউনিজয় বিজয়

মিলিটারী ক্যু'এর বড় খুঁটি ও উৎসাহ ছিলো আমাদের ব্যুরোক্রেটরা।

৩১ শে জুলাই, ২০২২ দুপুর ২:২৮
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :



আমাদের জাতির সংগ্রামের শুরুটা ছিলো মিলিটারী শাসনের(১৯৫৮-১৯৬৯ সাল) বিপক্ষে, জেনারেল আইয়ুব খানের বিরু্দ্ধে; সময় লেগেছে, কিন্তু জাতি আইয়ুব খানের গদি উল্টায়ে দিয়েছিলো (১৯৬৯ সাল); পশ্চিম পাকিস্তানের সাধারণ মানুষের সামান্য অংশ ইহাতে পরোক্ষভাবে সাপোর্ট জানায়েছিলো, বড় অংশ হতভম্ব, বাংগালীরা একি করছে!। ব্যুরোক্রেটরা কার পক্ষে ছিলো? তারা সাধারণ মানুষের সাথে ছিলো না, তারা নতুন মিলিটারী শাসনকর্তা ইয়াহিয়া খানের সাথে ছিলো।

তারা যদি সাধারণ মানুষের সাথে থাকতো, ইয়াহিয়া খান আসতে পারতো না; জোর করে এলেও ২/১মাস ক্ষমতায় থেকে, কমপক্ষে সাময়িক কোন সিভিলিয়ান সরকার গঠন করে, সেটার হাতে ক্ষমতা দিতে বাধ্য হতো।

১৯৬৯-১৯৭০ সালে বাংগালীরা যখন পুর্ব পাকিস্তানে শেখ সাহেব ও মাওলানার নেতৃত্বে সমাগত ভোটের জন্য ঐক্যবদ্ধ হচ্ছিলো, ব্যুরোক্রেটরা পুরোপুরি মুসলিম লীগের পক্ষে ছিলো, তারা শেখ সাহেবকে সহ্যই করতো না। দেশ যখন স্বাধীন হলো, তাজুদ্দিন সাহেব ভয়ংকর বেকুবী করলেন, ১৯৭১ সালের (স্বাধীনতা যুদ্ধ চলাকালীন ) ১৪/১৫ই ডিসেম্বরেও যেসব ব্যুরোক্রেটরা ইয়াহিয়া খানের সরকার চালাচ্ছিলো, তাদের হাতে দেশ ছেড়ে দিলেন; এসব ব্যুরোক্রেটরা শেখ সাহেবকে মোটাই সহ্য করতো না, ওরা মনেপ্রাণে পাকিস্তানী সিষ্টেমের মানুষ ছিলো, তারা নতুন জাতিকে ক্রমেই পাকিস্তানের পথে নিয়ে গেছে।

জেনারেল জিয়ার ক্যু'টা আমাদের মিলিটারীর প্ল্যানে হয়নি, ইহার ডিজাইনে ছিলো সিআইএ ও পাকীদের মিলিটারি ইনটেলিজেন্স, আইএসআই; ব্যুরোক্রেটদের লাইন-আপ করানো হয়েছিলো ইহার জন্য, শেখ-বিরোধী ব্যুরোক্রেটদের জন্য ইহা ছিলো একটি ঈদের দিন।

১৫ই আগষ্ট ভোরবেলা যেভাবে আওয়ামী লীগ হাওয়া হয়ে গিয়েছিলো, সেভাবে যদি ব্যুরোক্রেটরা কাজ থেকে পালিয়ে যেতো, সকালে কেহ কাজে না যেতো, আমেরিকা, পাকিস্তান, জিয়া ও মিলিটারীর অন্যন্য জেনারেলরা চুপ হয়ে যেতো; তারা বাধ্য হয়ে নতুন সাময়িক সিভিলিয়ান সরকার গঠন করে ক্ষমতা থেকে সরে, ক্যান্টনমেন্টে ফিরে যেতো।


সর্বশেষ এডিট : ৩১ শে জুলাই, ২০২২ বিকাল ৪:৩৪
১৩টি মন্তব্য ১৪টি উত্তর

আপনার মন্তব্য লিখুন

ছবি সংযুক্ত করতে এখানে ড্রাগ করে আনুন অথবা কম্পিউটারের নির্ধারিত স্থান থেকে সংযুক্ত করুন (সর্বোচ্চ ইমেজ সাইজঃ ১০ মেগাবাইট)
Shore O Shore A Hrosho I Dirgho I Hrosho U Dirgho U Ri E OI O OU Ka Kha Ga Gha Uma Cha Chha Ja Jha Yon To TTho Do Dho MurdhonNo TTo Tho DDo DDho No Po Fo Bo Vo Mo Ontoshto Zo Ro Lo Talobyo Sho Murdhonyo So Dontyo So Ho Zukto Kho Doye Bindu Ro Dhoye Bindu Ro Ontosthyo Yo Khondo Tto Uniswor Bisworgo Chondro Bindu A Kar E Kar O Kar Hrosho I Kar Dirgho I Kar Hrosho U Kar Dirgho U Kar Ou Kar Oi Kar Joiner Ro Fola Zo Fola Ref Ri Kar Hoshonto Doi Bo Dari SpaceBar
এই পোস্টটি শেয়ার করতে চাইলে :
আলোচিত ব্লগ

কুড়ি শব্দের গল্প

লিখেছেন করুণাধারা, ২৪ শে এপ্রিল, ২০২৪ রাত ৯:১৭



জলে ভাসা পদ্ম আমি
কোরা বাংলায় ঘোষণা দিলাম, "বিদায় সামু" !
কিন্তু সামু সিগারেটের নেশার মতো, ছাড়া যায় না! আমি কি সত্যি যাবো? নো... নেভার!

সানমুন
চিলেকোঠার জানালায় পূর্ণিমার চাঁদ। ঘুমন্ত... ...বাকিটুকু পড়ুন

ধর্ম ও বিজ্ঞান

লিখেছেন এমএলজি, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ ভোর ৪:২৪

করোনার (COVID) শুরুর দিকে আমি দেশবাসীর কাছে উদাত্ত আহবান জানিয়ে একটা পোস্ট দিয়েছিলাম, যা শেয়ার হয়েছিল প্রায় ৩ হাজারবার। জীবন বাঁচাতে মরিয়া পাঠকবৃন্দ আশা করেছিলেন এ পোস্ট শেয়ারে কেউ একজন... ...বাকিটুকু পড়ুন

তালগোল

লিখেছেন বাকপ্রবাস, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ সকাল ৯:৩৫


তু‌মি যাও চ‌লে
আ‌মি যাই গ‌লে
চ‌লে যায় ঋতু, শীত গ্রীষ্ম বর্ষা
রাত ফু‌রা‌লেই দি‌নের আ‌লোয় ফর্সা
ঘু‌রেঘু‌রে ফি‌রে‌তো আ‌সে, আ‌সে‌তো ফি‌রে
তু‌মি চ‌লে যাও, তু‌মি চ‌লে যাও, আমা‌কে ঘি‌রে
জড়ায়ে মোহ বাতা‌সে ম‌দির ঘ্রাণ,... ...বাকিটুকু পড়ুন

মা

লিখেছেন মায়াস্পর্শ, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ১২:৩৩


মায়াবী রাতের চাঁদনী আলো
কিছুই যে আর লাগে না ভালো,
হারিয়ে গেছে মনের আলো
আধার ঘেরা এই মনটা কালো,
মা যেদিন তুই চলে গেলি , আমায় রেখে ওই অন্য পারে।

অন্য... ...বাকিটুকু পড়ুন

কপি করা পোস্ট নিজের নামে চালিয়েও অস্বীকার করলো ব্লগার গেছে দাদা।

লিখেছেন প্রকৌশলী মোঃ সাদ্দাম হোসেন, ২৫ শে এপ্রিল, ২০২৪ দুপুর ২:১৮



একটা পোস্ট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে বেশ আগে থেকেই ঘুরে বেড়াচ্ছে। পোস্টটিতে মদ্য পান নিয়ে কবি মির্জা গালিব, কবি আল্লামা ইকবাল, কবি আহমদ ফারাজ, কবি ওয়াসি এবং কবি... ...বাকিটুকু পড়ুন

×