মনে হয়, আমেরিকা চাপ দিচ্ছে প্যালেষ্টাইনিয়ান অথরিটির নতুন ক্যাবিনেট গঠন করতে। আমেরিকা কি করার চেষ্টা করছে, তা পরিস্কার নয়; পুরো ফিলিস্তিনে কেহ এখন আর প্যালেষ্টাইনিয়ান অথরিটিকে বিশ্বাস করে না। ফিলিস্তিনের দরকার আমেরিকা ও ইুউরোপের স্বীকৃতি। নতুন প্যালেষ্টাইনিয়ান অথারিটি গঠন করে এখন আর লাভ নেই।
প্যালেষ্টাইনিয়ান অথরিটি ছিলো অধিকৃত ফিলিস্তিন দেশের স্বীকৃত সরকার; তাদের কাজ ছিলো ১৯৯৩ সালের চুক্তি অনুসারে ফিলিস্তিনের জন্য আমেরিকা ও ইসরায়েলের স্বীকৃতি পাওয়া। তারা সেটা পারেনি, মুল বাধা ছিলো হামাস। এখন সব ফিলিস্তিনীই হামাস, কিংবা হামাস সাপোর্টার! কি হবে, প্যালেষ্টাইনিয়ান অথরিটির ক্যাবিনেট রেখে, কি হবে মাহমুদ আব্বাসকে রেখে?
বাইডেন এখন বেশ সমস্যায় আছে; ফিলিস্তিনকে স্বীকৃতি না'দিয়ে যতকিছুই করুক না কেন, ফিলিস্তিন সমস্যার কোন সমাধান হবে না। ফিলিস্তিন দেশ প্রতিষ্ঠিত না'হওয়া অবধি ইসরায়েলও আর স্হিতিশীল হতে পারবে না। সমস্যার সমাধান করতে হবে আমেরিকাকেই, অন্য কারো পক্ষে এই সমস্যা সমাধান করার ক্ষমতা নেই।
এখন যেই হত্যাকান্ড চলছে, আমেরিকা কোনভাবে ইউরোপের সাধারণ মানুষকে ইসরায়েলের পক্ষে আনতে পারবে না আর; ইউরোপের সরকারগুলোও ইসরায়েল অন্ধভাবে আর সাপোর্ট দিয়ে যেতে পারবে না।
নেতানিয়াহু আজকেও বলছে যে, আগামী ২/৪ সপ্তাহের মাঝে সে রাফা দখল করে, গাজাকে হামাসমুক্ত করবে। কিন্তু ইডিয়ট বুঝেছে না যে, ৬ মিলিয়ন ফিলিস্তিনীদের সবাই এখন হামাস। আসলে, উত্তর গাজায় এখন হামাস নতুন করে গঠিত হচ্ছে। যুদ্ধবিরতি শুরু হলে, উহা পরিস্কার হয়ে যাবে।
প্যালেষ্টাইনিয়ান অথরিটির সাথে মাহমুদ আব্বাসকেও সরায়ে দেয়ার দরকার ছিলো; আব্বাস ও তার পরিবার দুর্নীতি করছে দীর্ঘদিন ধরে।